নতুন ধাক্কা
করোনার নতুন ধাক্কা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে কোভিড-১৯ মহামারির নতুন যে ধাক্কা আসছে তা মোকাবিলায় দলের নেতা-কর্মীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রবিবার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একটা নতুন ধাক্কা আসছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই ভাইরাসের ভিন্ন রূপ এসেছে। তাই, আমরা অতীতে যেমন করেছি, এখন আবার সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক সভা বা সিম্পোজিয়াম, সেমিনার বা প্রশিক্ষণ কর্মশালা সামাজিক দূরত্ব মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’আরও পড়ুন: স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রীসরকার প্রধান কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় আগের মতো আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।খাদ্য উৎপাদনখাদ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে শেখ হাসিনা দেশের এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেই জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আহ্বান জানান।তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও জানিনা করোনভাইরাস কখন যাবে। তবে জনগণ যাতে খাদ্য সংকটে না পড়েন সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে (ভালো উৎপাদনের জন্য), প্রয়োজনে আমরা অন্যান্য দেশগুলোকে সহায়তা করতে পারব।’কোভিড -১৯ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং মানুষের জীবন রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি উপহার হিসেবে আমাদের আরও টিকা দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী বাকি টিকার ডোজগুলোও আমরা যথাসময়ে পেয়ে যাব।’
আরও পড়ুন:স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ১২ বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে।তিনি বলেন,স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছা বার্তা আমরা পেয়েছি।‘এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও ২৬ মার্চ অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন, যার অর্থ কোনো অঞ্চলের কেউই বাদ নেই। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা,’বলেন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সব বার্তা রক্ষিত আছে। এগুলো তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছাবার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে এগুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ঈদুল ফিতরের পর স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেবে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জামান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কোচি ও হুমায়ুন কবির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শপথ নেয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৩ বছর আগে