তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ভোক্তাদের একটা প্রবণতা আছে, কোনো পণ্যের সংকট হচ্ছে এমন গুজব রটালেই আমরা সবাই গিয়ে এক কেজির জায়গায় পাঁচ কেজি কেনা শুরু করি। এতে করে ব্যসায়ীরা আরও সুযোগ পায়। এক্ষেত্রেও আমাদের সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। তবে পেঁয়াজের দাম শিগগিরই কমে যাবে। ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসবে। সবমিলে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। তবে বেশির ভাগ পণ্যের দাম গত দুই সপ্তাহে কমেছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত দুই সপ্তাহে বেশির ভাগ দ্রব্যের মূল্য কমেছে। গরুর মাংস আমার এলাকায় ৫৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে। যেখানে কয়দিন আগেও সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও কমেছে। পেঁয়াজের দামটা হঠাৎ করে বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম যে লাফিয়ে বেড়েছে সে বিষয়ে আমি একমত। এটি বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। ভারত পেঁয়াজ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি করা বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যাওয়া আমাদের সব পর্যায়ের ব্যবসায়ীর অসৎ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছু নয়।
মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে। তারা জরিমানা করেছে। এতে বাজারে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এলেও পুরোপুরি আসেনি। যেকোনো কিছু হলেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে মানসিকতা এটির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমেও যদি নিবন্ধ লেখা বা রিপোর্ট করা হয় তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। তবে পেঁয়াজের দাম দ্রুত কমে যাবে। কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের নবনির্বাচিত কমিটি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেটির জবাবও দিয়েছে। সেটি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, এটি দুই রাষ্ট্রের বিষয়। কেউ ছুটিতে যেতে পারে, আবার ছুটি থেকে আসতেও পারে। এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, এটি রুটিন কাজের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পাশাপাশি বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে। আমরা সে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন— নির্বাচনে বাইরের থাবা এসে পড়েছে এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে৷
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা চ্যালেঞ্জ কি না- প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর একটি নির্বাচন হোক।
মন্ত্রী বলেন, আমরাও সেটি চাই। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ইতোমধ্যে সারা দেশে নির্বাচনের যেভাবে সাড়া পড়েছে, যেভাবে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নির্বাচনে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া অন্য দলগুলো যারা এখনও নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়নি। তাদের অনেকেই শিগগির ঘোষণা দেবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দমন-পীড়ন চলছে।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীর মতামত চাইলে তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন সময় বিবৃতি বিক্রি করে। ফলে তাদের নিয়ে আমি তেমন কোনো কথা বলতে চাই না।
তিনি বলেন, দেশে যেমন কিছু বিবৃতিজীবী আছে আর আন্তর্জাতিকভাবেও কিছু বিবৃতিজীবী আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশে যে এত গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, সেটি যখন তাদের বিবৃতিতে অনুপস্থিত থাকে আর অন্যটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই বিবৃতিজীবীদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আর গাজায় হত্যাকাণ্ড হলে চুপ থাকে। আর বাংলাদেশে কেউ কাউকে ঘুষি মারলে বিবৃতি দেয়। এ সমস্ত বিবৃতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
১ বছর আগে
বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের অধিকার অবশ্যই আছে। তবে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করলে দেশের মানুষ তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কটের হুমকি দিলে কিছু যায় আসে না। তারা সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করলেও জনগণ তা বয়কট করেনি। ওই নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মহাসচিব ২১ আগস্টের ঘাতকদের মুখপাত্র: হাছান মাহমুদ
রবিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বিএনপিকে সতর্ক করে বলেন, এটা ২০১৪ নয়, ২০২৩ বা ২০২৪। তাই এখন দেশের মানুষ ২০১৩-২০১৪ সালের নৈরাজ্যের পুনরাবৃত্তি করতে দেবে না।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার জন্য বিএনপি নেতাদের দায়ী করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মোশতাক ও জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এবং তারেক জিয়া ২১ আগস্টের গণহত্যা করেছিলেন। তারা আসলে খুনের রাজনীতি করে।
জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও জিয়া হত্যার বিচার হয়নি। কারণ কেঁচোর খোঁজে সাপ বের হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের আইনজীবী বলরাম পোদ্দার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: বিজেপি মনে করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে: হাছান মাহমুদ
এডিস মশার চেয়েও ভয়াবহ বিএনপি: হাছান মাহমুদ
১ বছর আগে
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী সবুজ প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্রের ক্ষতি, সামুদ্রিক দূষণসহ পরিবেশগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাবে বাংলাদেশ’।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকালে সুইডেনের স্টকহোমে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে অনুষ্ঠিত ‘গ্রিন অপরচুনিটিস এন্ড গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস’-শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এস্তোনিয়া, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান কমিশনসহ ই্ইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এতে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন টেকসই উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও খরা, তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহাসাগরের অম্লায়ন ইত্যাদি, বিশেষত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে’।
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশের কার্বন নিঃসরণ বৈশ্বিক অনুপাতে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশের কম হলেও আমরা পরিবেশ পরিবর্তনের অসহায় শিকার। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় একটি দেশ হিসেবে জলবায়ু ও দুর্যোগজনিত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছি আমরা’।
এ অবস্থা উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা গোলটেবিলে তুলে ধরেন পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নিজস্ব জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সরকার ২০২২-২০৪১ সালব্যাপী মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বাধিক ব্যবহারে কাজ করছে’।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ ২৬-এ আমাদের শক্তির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমরা ছয় মিলিয়নেরও বেশি সোলার-হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে ২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় এনেছি, যা বিশ্বে এ ধরণের কাজের বৃহত্তম নজির’।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্ভাবন ও স্থাপনায় বিশ্বব্যাপী অগ্রগামী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সবুজ অংশীদারিত্বে যোগদানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অনুকূল সাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর কারিগরি, আর্থিক সহায়তা ও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে’।
হাছান বলেন, ‘পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবং ঝুঁকি প্রশমনের মধ্যে ভারসাম্য ও লাভ-ক্ষতি তহবিলের প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করার ক্ষেত্রে ইইউ ও অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ একত্রে কাজ করতে আগ্রহী’।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, দয়া করে আর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কোমর ভেঙেছে, আবার ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে পা ভেঙে যাবে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ক’দিন আগে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) রিপোর্ট দিয়েছে-বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৩৫তম। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, দেশ ছিল ৬০তম। আমরা গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশকে এবং পাকিস্তানকে বহু আগেই পেছনে ফেলেছি।
এই উন্নয়ন বিএনপি, খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের পছন্দ হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সরকার উন্নয়নের চাকাকে ধাবমান চাকায় পরিণত করে আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সরকারকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনও ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার দল নয়, বরং যে ধাক্কা দেয় সে-ই পড়ে যায়। ১০ তারিখ সেটিই প্রমাণ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পড়ে গিয়ে নয়াপল্টন থেকে গরুর হাটে চলে গেছে, তাই আজকে সুর পাল্টে ফেলেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বক্তব্য রেখেছেন আমরা কোনও সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না। অর্থাৎ ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে বুঝতে পেরেছে ১০ ডিসেম্বর তাদের কোমর ভেঙে গেছে। সুতরাং এখন লাইনে এসেছে, বলে কী—আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দেবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন কর্মসূচি দিয়েছে ১৬ তারিখ নাকি তারা গণমিছিল করবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথ ছাড়বো না, আমরা রাজপথে থাকবো। কারণ, এই রাজপথেই জন্ম আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। রাজপথ আর কাউকে দখলে নিতে দিবো না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যে দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেছিলেন, সে দিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা আজ পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছন, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা বৈশ্বিক ঐক্যমত তৈরি করার লক্ষ্যেই কপ সম্মেলনগুলো হয়।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কপ-২৭ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি: বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসউদুল হক, হাবিব রহমান প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি আমাদের বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত প্যারিস এগ্রিমেন্টের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে এটিকে স্বীকার করে নেয়া হলেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না।
মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় একশ’ রাষ্ট্রপ্রধান-সরকার প্রধানরা গিয়েছিলেন এবং এবারের অন্যতম অগ্রগতি হলো যে, বিশ্ব সম্প্রদায় ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সোলার, গ্রিনপাওয়ার, জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসবের জন্য একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এটি খুব ভালো দিক। ভাবনার বিষয় এতোকিছুর পরও বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৮০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এখন ১.১ ডিগ্রি বেড়েছে। আর তাতেই সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায় দাবানল, পাকিস্তানে যারা পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়, সেখানে বন্যা দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
২ বছর আগে
শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উপকৃত হতো: হাছান মাহমুদ
শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক উপকৃত হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ ছেলে শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল তার স্বল্প সময়ের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে চির জাগরূক হয়ে থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'শহীদ শেখ কামালকে দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করলেও তার স্বল্প বয়সের কর্মের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তিনি আমাদের মাঝে জাগরূক থাকবেন। এই অল্প বয়সের মধ্যেই যে প্রতিভা ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন, তাতে আমি মনে করি তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও অনেক উপকৃত হতো।'
ড. হাছান বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, সর্বোপরি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শহীদ শেখ কামাল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারতেন, আজকের এই দিনে আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
এরপর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে বীজ বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয়, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ড. হাছান মাহমুদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে এবং এর পূর্বে ঢাকায় আবাহনী মাঠে দলীয়ভাবে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ কামালের ভূমিকা যুব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ: রাবাব ফাতিমা
২ বছর আগে
অস্তিত্বহীন দলের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ইদানিং যে সমস্ত দলের সঙ্গে বৈঠক করছে, বাস্তবে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। এতে তারা সংবাদ পরিবেশন করছে মাত্র আর এর ফলে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বই প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব দেশে পণ্যের মূল্য নিয়ে কথা বলছেন। অপরদিকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের ফোন করে পণ্য মজুদ করো, দাম বাড়াও, দেশে পণ্যের সঙ্কট সৃষ্টি করো বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাদের ঘরানার ব্যবসায়ীরাসহ অন্যান্য কিছু ব্যবসায়ীও এই বার্তা পেয়ে উৎসাহিত হচ্ছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে নানা ধরণের পার্টি আছে। রাতের বেলা মানুষ গুম করে এমন একটা পার্টি, মরিচের গুঁড়া মারে সেটা একটা পার্টি, রাতের বেলা মলম মেখে দেয় সেটাও একটা পার্টি। সভাপতি থাকলে সেক্রেটারি নেই সেধরণের পার্টিও আছে। প্রতিদিন বিএনপি যেসব দলের সঙ্গে বৈঠক করছে, সেসব দল যে দেশে আছে, তা এসব বৈঠকের পরই মানুষ জানতে পারে।’
‘বিএনপি নাকি ডান-বাম সবার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে’- মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা ডান-বাম-অতিডান-অতিবাম সবার ঐক্য করেছিলেন। ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনও করেছিলেন। ফলাফল বিএনপির ঘরে মাত্র পাঁচটি আসন। সুতরাং এইবারও সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের সঙ্গে মিটিং করেও গতবারের চেয়ে বেশি ভালো ফল হবে বলে জনগণ মনে করে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, কিন্তু নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। যদি তারা আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে তাদের প্রতিহত করবো। গণমানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে সব সময় ছিল, আছে। ঢাক ও চট্টগ্রামে আমাদের আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের কর্মীরা মাঠে নেমেছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের নারী কর্মীরাই যথেষ্ট।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি দিলওয়ারা ইউসুফের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনার সঞ্চালনায় মানব বন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য বিএনপির দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশ পাঠানোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে দাবি সেটি সরকারের মানার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পান সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল চিকিৎসকদের দিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড হতে পারে, সেই বোর্ড পরামর্শ দিতে পারে।’
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভী আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবসহ বিএনপির নেতারা এখন ডাক্তার হয়ে গেছেন। আ স ম রব সাহেবও এখন বড় ডাক্তার, মান্না সাহেবও ডাক্তার, তারা এখন ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারাই বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া জীবন মরণাপন্ন বা সংকটাপন্ন। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতাল বা কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিছু বলেননি।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে তথ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও বিএনপি ধুঁয়া তুলেছিল যে বেগম জিয়াকে অবশ্যই বিদেশ পাঠাতে হবে, নইলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তখনও আমাদের দেশে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। তখনকার মতো এখনও তারা একই ধুঁয়া তুলছেন। আসলে বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবিটা তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, এই পুরো দাবিটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।’
৩ বছর আগে
কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র’ উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর
কলকাতা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র (বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার) উদ্বোধন করতে চারদিনের সরকারি সফরে ভারতে পৌঁছেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনববাগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতের উদ্দেশে সড়কপথে দেশ ত্যাগ করেন মন্ত্রী।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রেসক্লাব কলকাতা এবং কলাকাতার সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু’র জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংরাদেশ সরকার প্রেসক্লাব কলকাতায় একটি বঙ্গবন্ধু সংবাদ কেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে।
এতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কেন্দ্রটির শুভ উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: পীরগঞ্জের ঘটনায় ছাত্রলীগকে জড়ানোর অপচেষ্টা ব্যর্থ: তথ্যমন্ত্রী
হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
৩ বছর আগে