গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেপ্তার
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১৭ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেই ১৭ জনের সবার নাম আমরা বলতে পারছি না নিরাপত্তাজনিত কারণে। এছাড়া যাতে এই আদেশ পৌঁছানোর আগে তারা পালিয়ে যেতে না পারেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনিসহ বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছি, আদালত তা জারি করেছেন। আদালত তাদের ২০ নভেম্বর উপস্থিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এর অংশ হিসেবে একটি প্রসিকিউশন টিম ও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং দলের ১৪ নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম ও গণহত্যার অভিযোগে ৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক ১০ মন্ত্রী-সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে, জামিন নামঞ্জুর
১ মাস আগে
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার দুটি আদালত।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিকে, আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার শাখার মতিঝিল থানাধীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহা আলম জানান, সময় আবেদন খারিজ করে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।৪৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলা তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের ২৪ জুন ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করতে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আতাউর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
২ বছর আগে
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস ছালাম খান এই পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোবহান মোল্লা বর্তমানে বক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা সদরের ২০ নং চন্দন প্রতাপ গ্রামের আব্দুস সবুর মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে ২০২০ সালের ১২ মে ফারজানা বিনতে ফাকের নামে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন সোবহান। সোবহান তখন নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। একাধিকবার স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করান। উপায় না পেয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফারজানা বিনতে ফাকের।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ‘খুনি’ মোশতাকের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে কিছুটা গোঁজামিল প্রতিবেদন দিলে এই নিয়ে আদালতে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার আদালত সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
২ বছর আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) দায়ের করা একটি মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
বিএসটিআয় এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আশরাফ খন্দকার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের কিছু সয়াবিন তেল জব্দ করেছিল বিএসটিআই। জব্দ করা তেল পরীক্ষা করে সরকারের নির্ধারিত মাত্রার ভিটামিন-এ না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করে বিএসটিআই। এ মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হননি। দু’বছর ধরে তিনি আদালত থেকে সময় চেয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২ বছর আগে
শাবিপ্রবিতে সুমন হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রবিবার নির্ধারিত দিনে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত।
তারা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক ও ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন না মঞ্জুর করে চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তারা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, মোস্তাক আহমদ মিয়াজী ও ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: করোনায় কর্মজীবন নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষন্নতা-মানসিক চাপ বেড়েছে: শাবিপ্রবির গবেষণা
এর আগে গত ২১ এপ্রিল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এস কে হাসিবুর রহমান, নূরে আলম, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ ও মো. জেসমুল হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকেও কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছয় বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে গত বছরের জানুয়ারিতে এ চার্জশিট আমলে নেয় আদালত।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যানার
২ বছর আগে
কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের রৌশনাবাগ এলাকার আসমা প্রধান নামে এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিন নামার বলে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী আসমা প্রধান জানান, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল ভুয়া কাবিননামা করে আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর কোন নারী যেন সেবা নিতে গিয়ে নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার না হয় এজন্য তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিলন পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজু জানান, প্রাপ্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল একসময় পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
২ বছর আগে
স্বামীর যৌতুক মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা!
শরীয়তপুরে স্বামী নয়ন দাসের করা যৌতুক মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতের বিচারক মো. মেজবাউল এই আদেশ দেন।
এর আগে গত (১০ নভেম্বর) শরীয়তপুর সদর আমলী আদালতে স্বামী নয়ন দাস যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্ত্রী মাধবী সরকারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আদালত তিন আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
বুধবার ধার্য তারিখে মামলায় দুই আসামি হাজির হলেও ১নং আসামি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই মাসে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়ারী ইউনিয়নের বিশ্বজিত সরকারের মেয়ে মাধবী সরকারের (২৪) সঙ্গে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার কাশাভোগ গ্রামের নয়ন দাসের (২৭) বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে চার মাস পর থেকে স্বামী নয়নকে যশোর অথবা গোপালগঞ্জ শহরে বাড়ি করে দিতে চাপ দিতে থাকে স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। বাড়ি করে দিতে না পাড়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে সু-কৌশলে মেয়ে নিয়ে চলে যায় তার মা-বাবা। যৌতুক ছাড়া সংসারে ফিরাতে গত একবছর ধরে স্ত্রীসহ তার পরিবারকে অনুরোধ করে আসছিল নয়নের পরিবার। একপর্যায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলে তাতেও স্বামীর সংসারে ফিরেনি মাধবী সরকার। এরপর গত ১০ নভেম্বর শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ৩ ধারা মতে নালিশী মামলা দায়ের করেন স্বামী নয়ন দাস।
পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীর করা যৌতুকের মামলায় স্ত্রী কারাগারে
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সি বলেন, মামলায় স্ত্রী মাধবী সরকার (২৪), তার মা অর্চনা সরকার (৩৭) এবং বাবা বিশ্বজিত সরকারকে (৪০) আসামি করা হয়। আদালতে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সবাইকে স্ব-শরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন। তবে আজ ধার্য তারিখে ২ ও ৩ নং আসামি হাজির হলেও ১ নং আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার বাদী নয়ন দাস বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেও যৌতুক দিতে না পারায় গত এক বছর ধরে স্ত্রীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। মীমাংসার জন্য ওদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসা হলেও স্ত্রীর পরিবার গ্রাম্য আদালতের আদেশ মানে নাই। অবশেষে যৌতুক ছাড়া সংসারে ফিরাতে ব্যর্থ হয়ে কোন প্রকার মীমাংসা না করতে পেরে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। তবে ওরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। আসামিরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।
পড়ুন: বগুড়ায় যৌতুক নিয়ে বিরোধে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন
২ বছর আগে
রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর বাড্ডা থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ ৩৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।
তিনি বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটি দায়ের করে পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রিজভীসহ আট জন আদালতে উপস্থিত হননি। বিচারক অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ: খুলনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৩ বছর আগে
সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ: খুলনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
খুলনায় সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতে দুদকের করা মামলায় মেসার্স স্টার সি ফুডের এমডি মো. সালাউদ্দিনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার মহানগর দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন, সোনালী ব্যাংকের গোডাউন কিপার মো. আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও সাপোটিং স্টাফ মো. আব্দুর রহিম বাবু।
আরও পড়ুন: খুলনায় সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সোনালী ব্যাংক থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্লেজ গোডাউন বাবদ ঋণ নিয়ে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। গোডাউনে থাকা মাছ বিদেশে বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু আসামিরা পরস্পরের যোগসাজসে ওই মাছ খোলা বাজারে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় গত ১১ আগস্ট দুদক কর্মকর্তা শাওন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে আসামি মো. সালাউদ্দিন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেয়।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকে দিন দুপুরে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি
৩ বছর আগে
স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চিকিৎসক স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। এর আগে চলতি বছরের ২৬ আগস্ট মামলাটি করেন।
মামলার আসামি সার্জেন্ট ইকবাল হোসেন বর্তমানে খুলনায় কর্মরত। বাদী ডা. সোনিয়া সামাদ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট এলাকায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন: র্যাব অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার, নরসিংদীতে আটক ২
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন,তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন সমাজসেবা কর্মকর্তা। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সার্জেন্ট ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি সোনিয়া সামাদের সাথে ইকবাল হোসেনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে বাদীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন ইকবাল। বাদীর মা-বাবা ইতালিপ্রবাসী। অভিযুক্তের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে গত ৬ এপ্রিল যৌতুকের এক লাখ টাকা তাকে বুঝিয়ে দেন বাদী। এরপর ঢাকার সাভারে থাকা পাঁচ তলা বাড়ি, একটি প্রাইভেটকার ইকবালের নামে লিখে দিতে বাদীকে চাপ দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: অপপ্রচারের অভিযোগে ফেনীতে ৩ যুবক আটক: র্যাব
ওই সময় বাদী উপজেলার জোরারগঞ্জে একটি ক্লিনিকে কমর্রত ছিলেন। গত ২৫ জুলাই বাদীর জোরারগঞ্জের বাসায় এসে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলাটি করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার সাভারে একটি বাড়ি ও একটি প্রাইভেটকার দখলে নিতে চাপ দিচ্ছিলেন ইকবাল। তাছাড়া কিছু টাকা ও স্ত্রীর গহনা আত্মসাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির অর্থসহ আটক ৫: র্যাব
গত ২৫ জুলাই যৌতুকের জন্য মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের বাসায় ইকবাল স্ত্রীকে মারধর করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে মীরসরাই উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে গত ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
৩ বছর আগে