গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে গত ১৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার আসামিদেরকে (২২ এপ্রিল) আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
সমন পেয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে— ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, মেহের আফরোজ শাওনের ভাই মাহিন, বোন শিঞ্জন ও সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন। ১২ আসামির মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
অপর ১০ আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত, যা গতকাল বুধবার জানাজানি হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাওনের পিতা মোহাম্মদ আলী আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নিশি ইসলামকে বিয়ে করে। পরে নিশি জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিয়ে করেছেন। তার আগের সংসারে একটি ছেলে ও তিনটি কন্যা সন্তান আছে।
গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের কথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।
তখন মোহাম্মদ আলীর আগের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান বাদী।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন শাওন ও সোহানা সাবা
এ সময় অন্য আসামিরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। সই দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন বাদীকে মারধর করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানে শাওনসহ অন্য আসামিরা নিশিকে মারধর করেন।
ডিবিপ্রধান হারুনের নির্দেশে বাড্ডা থানার ওসি বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নেন। বাদীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে তাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে।
১০ দিন আগে
হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজধানীর পূর্বাচলে প্লট অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: হাসিনা-রেহানাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বাকি আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস, (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য শফি উল হক।
দুদকের আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেলো কি না সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য ২৮ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলায় গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ মোট আসামি ১২ জন।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় ও তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করেন এবং পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন-বিধি ও নীতিমালা ও আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা, পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মামলার বিবরণে জানা যায়, তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৯ নম্বর প্লট নিজ নামে বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
গত মাসের প্রথমার্ধে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। গত ১০ এপ্রিল প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শেখ হাসিনা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে ৩০ কাঠা প্লট গ্রহণের পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিকসহ ৫৩ বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
১৯ দিন আগে
যবিপ্রবির সাবেক ভিসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
দুর্নীতির মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
অন্য দুই আসামি হলেন— যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।
মামলার অভিযোগ পত্রের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আসামিদের বিরুদ্ধে সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের এক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ড. আব্দুস সাত্তার নিয়মবহির্ভূতভাবে আব্দুর রউফকে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
যথাযথ যোগ্যতা না থাকায় পরবর্তীতে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ফ্রি র্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন ও ক্যাট শো আয়োজন
এভাবে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে আব্দুর রউফ পরে পদোন্নতি পেয়ে ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে উন্নীত হন। ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সরকারি বেতন-ভাতা বাবদ ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট দুদকের যশোর কার্যালয়ের তৎকালীন উপপরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে তিন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
৩৭ দিন আগে
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেপ্তার
চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ১৭ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। সেই ১৭ জনের সবার নাম আমরা বলতে পারছি না নিরাপত্তাজনিত কারণে। এছাড়া যাতে এই আদেশ পৌঁছানোর আগে তারা পালিয়ে যেতে না পারেন।
তিনি আরও বলেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনিসহ বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছি, আদালত তা জারি করেছেন। আদালত তাদের ২০ নভেম্বর উপস্থিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং এর অংশ হিসেবে একটি প্রসিকিউশন টিম ও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং দলের ১৪ নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম ও গণহত্যার অভিযোগে ৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় সাবেক ১০ মন্ত্রী-সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে, জামিন নামঞ্জুর
১৮৮ দিন আগে
রিজভী ও ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার দুটি আদালত।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তেজগাঁও এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লাবাহী ট্রাক ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রিজভী আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতিকুর রহমান বলেন, অপর দুই আসামি হলেন- খন্দকার এনামুল হক ও কাজী রেজাউল হক।
এদিকে, আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
এদিকে ২০২০ সালের মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সোমবার ঢাকার একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: সব বাধা ডিঙিয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা আব্বাস
আদালতের জেনারেল রেজিস্ট্রার শাখার মতিঝিল থানাধীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহা আলম জানান, সময় আবেদন খারিজ করে এ পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী।৪৫ আসামির মধ্যে ১৩ আসামি আদালতে হাজিরা না দিয়ে সময়ের আবেদন করেন।
মামলা তথ্যানুসারে, ২০২০ সালের ২৪ জুন ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করতে অভিযুক্তরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশে মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই আতাউর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ঢাকার জনসভা সফল করব: ফখরুল
৮৮০ দিন আগে
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় সোনাডাঙ্গা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আবদুস ছালাম খান এই পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
সোবহান মোল্লা বর্তমানে বক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত রয়েছেন। তিনি মাগুরা জেলা সদরের ২০ নং চন্দন প্রতাপ গ্রামের আব্দুস সবুর মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: স্ত্রী নির্যাতন মামলা: চট্টগ্রামে সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম জানান, প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করে ২০২০ সালের ১২ মে ফারজানা বিনতে ফাকের নামে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন সোবহান। সোবহান তখন নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতে থাকেন তিনি। একাধিকবার স্ত্রীকে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করান। উপায় না পেয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ফারজানা বিনতে ফাকের।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর ‘খুনি’ মোশতাকের ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
তিনি জানান, আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে কিছুটা গোঁজামিল প্রতিবেদন দিলে এই নিয়ে আদালতে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার আদালত সোবহান মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
৯৬৩ দিন আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) দায়ের করা একটি মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
বিএসটিআয় এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আশরাফ খন্দকার আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সিটি গ্রুপের তীর ব্র্যান্ডের কিছু সয়াবিন তেল জব্দ করেছিল বিএসটিআই। জব্দ করা তেল পরীক্ষা করে সরকারের নির্ধারিত মাত্রার ভিটামিন-এ না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর আদালতে মামলা দায়ের করে বিএসটিআই। এ মামলায় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি নিম্ন আদালতে হাজির হননি। দু’বছর ধরে তিনি আদালত থেকে সময় চেয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
১০২৪ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে সুমন হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রবিবার নির্ধারিত দিনে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত।
তারা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক ও ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন না মঞ্জুর করে চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
তারা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, মোস্তাক আহমদ মিয়াজী ও ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: করোনায় কর্মজীবন নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষন্নতা-মানসিক চাপ বেড়েছে: শাবিপ্রবির গবেষণা
এর আগে গত ২১ এপ্রিল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এস কে হাসিবুর রহমান, নূরে আলম, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ ও মো. জেসমুল হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকেও কারাগারে পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছয় বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে গত বছরের জানুয়ারিতে এ চার্জশিট আমলে নেয় আদালত।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে শাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে সতর্কতামূলক ব্যানার
১০৯১ দিন আগে
কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের রৌশনাবাগ এলাকার আসমা প্রধান নামে এক নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরি তদন্ত করতে গিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিন নামার বলে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিয়ের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ভূক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওই উপপরিদর্শকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ভুক্তভোগী আসমা প্রধান জানান, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল ভুয়া কাবিননামা করে আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আর কোন নারী যেন সেবা নিতে গিয়ে নির্যাতন বা ধর্ষণের শিকার না হয় এজন্য তিনি তার শাস্তি দাবি করেন।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিলন পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আবরারের মৃত্যু: প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজার রহমান আজু জানান, প্রাপ্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
উল্লেখ্য, পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল জলিল একসময় পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
১১৯৬ দিন আগে
স্বামীর যৌতুক মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা!
শরীয়তপুরে স্বামী নয়ন দাসের করা যৌতুক মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতের বিচারক মো. মেজবাউল এই আদেশ দেন।
এর আগে গত (১০ নভেম্বর) শরীয়তপুর সদর আমলী আদালতে স্বামী নয়ন দাস যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় স্ত্রী মাধবী সরকারসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আদালত তিন আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করেন।
বুধবার ধার্য তারিখে মামলায় দুই আসামি হাজির হলেও ১নং আসামি হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
স্থানীয় ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই মাসে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়ারী ইউনিয়নের বিশ্বজিত সরকারের মেয়ে মাধবী সরকারের (২৪) সঙ্গে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার কাশাভোগ গ্রামের নয়ন দাসের (২৭) বিয়ে হয়। বিয়ের সাড়ে চার মাস পর থেকে স্বামী নয়নকে যশোর অথবা গোপালগঞ্জ শহরে বাড়ি করে দিতে চাপ দিতে থাকে স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। বাড়ি করে দিতে না পাড়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে সু-কৌশলে মেয়ে নিয়ে চলে যায় তার মা-বাবা। যৌতুক ছাড়া সংসারে ফিরাতে গত একবছর ধরে স্ত্রীসহ তার পরিবারকে অনুরোধ করে আসছিল নয়নের পরিবার। একপর্যায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলে তাতেও স্বামীর সংসারে ফিরেনি মাধবী সরকার। এরপর গত ১০ নভেম্বর শরীয়তপুর পালং আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ৩ ধারা মতে নালিশী মামলা দায়ের করেন স্বামী নয়ন দাস।
পড়ুন: চাঁদপুরে স্বামীর করা যৌতুকের মামলায় স্ত্রী কারাগারে
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেন মুন্সি বলেন, মামলায় স্ত্রী মাধবী সরকার (২৪), তার মা অর্চনা সরকার (৩৭) এবং বাবা বিশ্বজিত সরকারকে (৪০) আসামি করা হয়। আদালতে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সবাইকে স্ব-শরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন। তবে আজ ধার্য তারিখে ২ ও ৩ নং আসামি হাজির হলেও ১ নং আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মামলার বাদী নয়ন দাস বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করেও যৌতুক দিতে না পারায় গত এক বছর ধরে স্ত্রীর পরিবারের নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। মীমাংসার জন্য ওদের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসা হলেও স্ত্রীর পরিবার গ্রাম্য আদালতের আদেশ মানে নাই। অবশেষে যৌতুক ছাড়া সংসারে ফিরাতে ব্যর্থ হয়ে কোন প্রকার মীমাংসা না করতে পেরে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। তবে ওরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। আসামিরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।
পড়ুন: বগুড়ায় যৌতুক নিয়ে বিরোধে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন
১২২১ দিন আগে