করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি
করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি: দেশে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন। এ নিয়ে মোট মারা গেলেন ৯ হাজার ২১৩ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জনে পৌঁছেছে।
এর আগে শুক্রবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে একদিনে রেকর্ড ৬ হাজার ৮৩০ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৫০ জন।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ২৪ হাজার ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ২৪ হাজার ৫৪৮টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.১৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৩৬৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমকি ২৩ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬১ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৭৯ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান করোনায় আক্রান্ত
করোনার টিকা পায়নি ৩৬টি দেশ: ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৭৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ২০৬ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৩ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯৬ জন।
৩ বছর আগে
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি: আইসিইউ বেড ও বিশেষজ্ঞের সঙ্কট
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলো করোনার রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। গুরুতর রোগী, যাদের নিবিড় পরিচর্যা প্রয়োজন তাদের আইসিইউ বেড পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী- রাজধানীর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ১০৮টি। তার মধ্যে খালি আছে মাত্র চারটি।
অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেড রয়েছে ১৮৮টি। তারমধ্যে রোগী ভর্তি আছে ১৪৪টিতে। সেখানে আইসিইউ বেড ফাঁকা আছে ৪৪টি ।
স্বল্প আয়ের লোকেরা সরকারি হাসপাতালকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কেননা সেখানে বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় চিকিৎসার খরচ অনেক কম।
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আইসিইউ বেডের তীব্র ঘাটতির অর্থ হলো গুরুতর রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটি অংশই কেবল আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৩৫৮ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা দেশে করোনা শনাক্তের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৫৩৫৮ জনের করোনা শনাক্ত, আরও ৫২ মৃত্যু
৩ বছর আগে