প্রজাতি
কাপ্তাইয়ে দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি বিটের গভীর অরণ্য থেকে বিপন্ন প্রজাতির 'বেঙ্গল স্লো লরিস' নামের একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকায় থাকা লজ্জাবতী বানরটি শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কাপ্তাই বনবিভাগ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ জানান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের ব্যাঙছড়ি বিটের গহীন অরণ্যে এক পাহাড়ি ব্যক্তি লজ্জাবতী বানরটি পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই পাচারকারী বানরটি কাগজের বাক্স বন্দী অবস্থায় ফেলে রেখে দৌড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পরে কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদেরর নেতৃত্বে বনপ্রহরী মো. গিয়াসউদ্দিন, মো. আবু বক্কর, মো. আক্তার হোসেন পিএম বানরটিকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়ার পর প্রাণিটি রাঙামাটির বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ছালেহ মো. শোয়ইব খানের নির্দেশে শনিবার রাত ৮টায় কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মাহমুদুল হক মুরাদ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বিপন্ন প্রজাতীর লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
২ বছর আগে
বিরল প্রজাতির বন্য হনুমান উদ্ধার
মাগুরায় যাত্রীবাহী বাস থেকে বিরল প্রজাতির একটি বন্য হনুমান উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার শহরের পারনান্দুয়ালী গ্রামের রাবেয়া চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় সাতক্ষীরাগামী গোল্ডেন লাইনের একটি কোচে তল্লাশি চালিয়ে হনুমানটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অপহরণ, ১০ দিন পর সাভারে উদ্ধার
এ সময় বন্যপ্রাণী পাচারের অভিযোগে বাসের সুপারভাইজার সুব্রত কুমার ধরকে আটক করেছে পুলিশ।
তার বাড়ি সাতক্ষীরা ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবকাটি গ্রামে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) বলেন, বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাগুরা বাস টার্মিনালের অদূরে রাবেয়া চক্ষু হাসপাতালের সামনে সাতক্ষীরাগামী গোল্ডেন লাইনের একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে বিরল প্রজাতির এই বন্য হনুমানটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় বাসের সুপারভাইজার ও পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য সুব্রত কুমার ধর (৩০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আটক সুব্রতর দেয়া তথ্যমতে জানা গেছে, ঢাকার সাভার থেকে রানা নামে সাতক্ষীরার এক ব্যক্তির উদ্দেশ্যে হনুমানটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। উদ্ধার করা হনুমান বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
সান ফ্রান্সিসকো চিড়িয়াখানায় ৪০ বছর বয়সী পেঙ্গুইনের মৃত্যু
বিশ্বের প্রাচীনতম পেঙ্গুইনগুলোর মধ্যে একটি ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইন ৪০ বছর বয়সে সান ফ্রান্সিসকো চিড়িয়াখানায় মারা গেছে।
সান ফ্রান্সিসকো চিড়িয়াখানা ও উদ্যান কতৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন ইও নামক পুরুষ পেঙ্গুইনটি এমন প্রজাতির, যাদের গড় আয়ু ২০ থেকে ৩০ বছর হয়ে থাকে।
১৯৮০ এর দশকে মাইকেল জ্যাকসনের শর্ট ফিল্মের জন্য পেঙ্গুইনটির ক্যাপ্টেন ইও নামকরণ করা হয়েছিল।
চিড়িয়াখানা বলেছে, প্রাণীটি তার দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি হারিয়েছিলো এবং বিশেষ কৌশলে তাকে খাবার দিতে হত।
ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইনগুলো দক্ষিণ আমেরিকার অধিবাসী। তারা ২ ফুট (৬০ সেন্টিমিটার) লম্বা এবং ওজনে ১৪ পাউন্ড এর বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে প্যারেডে হামলা: সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
রাঙ্গামাটিতে বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালী উদ্ধার
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম জীববৈচিত্রপূর্ণ রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় বিরল প্রজাতির চারটি উড়ন্ত কাঠবিড়ালী উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টায় নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকায় ৭নং টিলার পাশে বনের ঝোঁপে কাঠাল গাছে মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে মো. সরোয়ার (১৬) এর হাতে ধরা পড়ে এই উড়ন্ত কাঠবিড়ালী গুলো।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী রহমান তিন্নী এবং থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির রহমানের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় বনবিভাগ কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের কাছে চারটি কাঠবিড়ালী হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ উদ্ধার
পরে বুড়িঘাট ৭নং টিলা এলাকার গভীর জঙ্গলে প্রাণীগুলোকে অবমুক্ত করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বনবিভাগের মো. সফিউল ইসলাম, নেকজান বেগম, কবির হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, গ্রাম পুলিশ ছগির হোসেন, ভিডিপির পিসি মিন্টু মিয়া ও এমদাদুল হক।
এসময় বনবিভাগ কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, পাহাড়ে এই প্রাণী এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখন আর বনে জঙ্গলে দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এটি বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে গাছপালা কেটে বন উজাড় করার ফলে বন্য প্রাণীদের আবাসস্থলের ক্ষতি ও খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই খাদ্যের খোঁজে বিভিন্ন সময় বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় মানুষের হাতে ধরা পড়ে।
লোকালয়ে ঢুকে পড়া প্রাণীরা যাতে মানুষের মাধ্যমে আক্রান্ত না হয় সেদিকে উপজেলা বনবিভাগ কড়া নজর রাখছে বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে
ফরিদপুরে বিরল প্রজাতির হলুদ কচ্ছপ উদ্ধার
ফরিদপুরে হলুদ রঙের বিরল প্রজাতির একটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে কচ্ছপটি ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
গত রবিবার জেলার অম্বিকাপুরের বিশ্বাস ডাংগী এলাকায় বন্যার পানি থেকে কচ্ছপটি পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। ওইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার অম্বিকাপুরের বিশ্বাস ডাংগী এলাকায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে যান অম্বিকাপুর গ্রামের রিয়াদ নামের এক যুবক। তার জালে এ কচ্ছপটি ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
খবর পেয়ে ফরিদপুর জেলা সামাজিক বন বিভাগ কচ্ছপটি উদ্ধার করে। বর্তমানে কচ্ছপটি ফরিদপুর সদরের গঙ্গাবর্দীতে বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
ফরিদপুর বিভাগীয় সামাজিক বন কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারী জানান, কচ্ছপটি একেবারেই নতুন প্রজাতির। এটি হলুদ রঙের। কচ্ছপটির ওজন আনুমানিক দেড় কেজি ও ব্যাসার্ধ ৮ ইঞ্চির মতো। ওই কচ্ছপটির খবর খুলনার বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তার পরামর্শ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাঘ আতঙ্ক শেষে পঞ্চগড়ে বনবিড়াল আটক
এদিকে খবর পেয়ে ফরিদপুর বন বিভাগের অফিসে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের বন্য প্রাণী শাখার এক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান শমী। তিনি জানান, এটি সুন্ধী জাতীয় কচ্ছপ হলেও এই প্রজাতির হলুদ বর্ণের কচ্ছপ সাধারণত দেখা যায়না। তিনি জানান, সুন্ধি জাতীয় কচ্ছপ মেটে ও ধুসর রঙের হয়। এটির ক্ষেত্রে জ্বিনগত পরিবর্তন কিংবা অন্য কারণে হলুদ রং হয়ে থাকতে পারে।
৩ বছর আগে
চাঁদপুরে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির চিতা বিড়াল
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার হরিনা এলাকায় ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির ‘চিতা বিড়াল’’।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিরল প্রজাতির এই চিতা বিড়ালটি কে ধরে স্থানীয় লোকজন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে এলো ২ বুনো হাতি
জানা যায়, হরিনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি চিতা বিড়ালকে দেখে কিশোররা তাড়া করছিল। পরে তারা এলাকাবাসীসহ বিড়ালটিকে ধরে ফেলে। এ নিয়ে এলাকায় নানা জন নানা মত প্রকাশ করলে, পরে সেটিকে মতলব উওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা ফারুক হোসেন বলেন, ‘দেখতে চিতা বাঘের শাবকের মতো হলেও এটি একটি চিতা বিড়াল।’
আরও পড়ুন: ইনকিউবেটরে জন্ম নিল ২৮ অজগরের বাচ্চা
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আহসান হাবিব শামীম এটিকে ‘চিতা বিড়াল’’ বলে শনাক্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘চিতা বিড়াল একটি বিড়ল প্রজাতির বিড়াল। এলাকাবাসী এটিকে না মেরে সুস্থ্য ভাবে ধরে এনেছে এজন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। এটি সংশ্লিষ্ট বণ্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে পঠানো হবে।’
৩ বছর আগে
লালমাই পাহাড়ে গোলাপের রঙের মেলা
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে হাজার গোলাপের বর্ণিল পসরা বসেছে। লাল, গোলাপী, সাদা, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপ। বিকালের ঝিরঝিরে বাতাসে গোলাপ সৌরভ ছড়াচ্ছে।
গোলাপের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই সেখানে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। শিশুরা গোলাপ বাগানের পাশে ছুটাছুটি করছে। কুমিল্লার কোটবাড়ি সালমানপুরে লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে এই রঙের মেলা বসেছে। ২০ রঙের হাজারের বেশি গোলাপ এখানে তার রূপের পসরা সাজিয়ে বসেছে। চৈত্রের খরতাপের স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে গোলাপ।
আরও পড়ুন: করোনা ও আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চান গদখালীর ফুল চাষিরা
৩ বছর আগে