লঞ্চ ভাড়া
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে সমন্বয় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে।
এতে বলা হয়, প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা বাড়িয়ে ৩ টাকা করা হয়েছে।
দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের বেশি হলে প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ২ টাকা থেকে ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা থেকে ৮ টাকা বাড়িয়ে ৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে নতুন ভাড়া আদায় কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ভাড়া বৃদ্ধির জন্য লঞ্চ মালিকদের প্রস্তাবের পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সমস্ত অংশীজনদের জন্য সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে নতুন ভাড়ার সুপারিশ করার জন্য একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে।
ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর গত বছরের নভেম্বরেই লঞ্চের ভাড়া ৩৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছিল। নভেম্বরের আগে লঞ্চে ১০০ কিলোমিটার মধ্যে দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। তখন তা থেকে বাড়িয়ে দুই টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছিল।
১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া নভেম্বরের আগে ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। তা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল দুই টাকা। আর লঞ্চের সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছিল নভেম্বরে।
পড়ুন: লঞ্চের ভাড়া বাড়াতে ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে: সচিব
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
২ বছর আগে
লঞ্চের ভাড়া বেড়েছে ৬০ শতাংশ, আজ থেকে কার্যকর
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস-ট্রেনের মতই নৌযানেও ৫০ ভাগ আসন খালি রেখে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও লঞ্চ মালিকদেরকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারা আলোচনা করে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করেছি। আমরা মনে করেছি যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে গেলে ভাড়া বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। কারণ মালিকরা সম্মত হয়েছে, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বহন করবেন। আমরা যাত্রীপরিবহনের ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ বৃদ্ধি করেছি। তবে এটি কেবিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এটি অনুমোদন করেছি।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: বাস ভাড়া বাড়াল সরকার
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত করোনার ইস্যু থাকবে ততদিন এই বর্ধিত ভাড়া থাকবে। এটা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভাড়া বাড়ানো, অন্য কোন বিষয় নয়। যে স্বাস্থ্যবিধি দেয়া হয়েছে অর্থাৎ নির্দেশনাবলী, সেটাকেই অনুসরণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লঞ্চের সংকট আছে। সেখানে সকলেই যদি লঞ্চে উঠতে চায় তাহলে আমরা সে প্রটোকল ধরে রাখতে পারব না। সরকারের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন যদি না হয়, শুধু ঈদ যাত্রা না, এখন থেকেই স্থানান্তর না হওয়া যেন আমরা অনুসরণ করি এবং সেভাবেই চলি।’
রও পড়ুন: করোনা: রেলে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি শুরু
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশকে সুরক্ষার জন্য লঞ্চ মালিকদেরও দায় আছে। তারা যেন ব্যবসায়িক চিন্তা পরিহার করে সেবার একটা মনোবৃত্তি নিয়ে কাজগুলো করে, সেগুলো আমরা জানিয়েছি। তারাও আমাদের সাথে একমত হয়েছে।
৩ বছর আগে