ডিক্যাব
ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের নিয়ে ভারত সরকারের আয়োজিত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় হাইকমিশনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকার ভারতের হাইকমিশনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
চলতি বছরের মে মাসে ডিক্যাবের ২০ জন সদস্য সপ্তাহব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচ হিসেবে ভারত সফর করেছেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা যৌথ ইতিহাস ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, গণমাধ্যম একটি সেতু হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের জনগণকে সংযুক্ত করে, সংলাপকে সহজতর করে এবং বোঝাপড়ার উন্নয়ন ঘটায়।
হাইকমিশনার আমাদের দুই দেশের গণমাধ্যমের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততার গুরুত্ব এবং আমাদের যৌথ মূল্যবোধ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্বকারী ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক আখ্যান রচনায় গণমাধ্যমের অবদানের ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সদস্যরা তাদের ভারত সফরের অভিজ্ঞতা এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে নিজেদের উপলব্ধি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে সফরটির ইতিবাচক ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করেন।
ডিক্যাব সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সক্ষমতা-বিনির্মাণ বিষয়ক বিনিময় কার্যক্রমের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্যের অংশ।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৪ মাস আগে
লেখক সদস্যদের সম্মাননা দিয়েছে ডিক্যাব
সংগঠনের লেখক সদস্যদের মধ্যে চলতি বছর যাদের নতুন বই প্রকাশ হয়েছে, তাদের সম্মাননা দিয়েছে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লজ হলরুমে প্রথমবারের মতো লেখক সদস্য সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চলতি বছর ডিকাবের দুইজন সদস্যের বই বেরিয়েছে। তার মধ্যে ভিউজ বাংলাদেশের সম্পাদক রাশেদ মেহেদির কবিতার বই ‘ফেসবুকে দেখি চাঁদ’ প্রকাশ করেছে জাগতিক প্রকাশনী এবং যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মাহফুজ মিশুর সাক্ষাৎকার সংকলন ‘ঢাকা টক: ডিপ্লোমেটস অ্যান্ড মাহফুজ মিশু’ প্রকাশ করেছে নিমফিয়া পাবলিকেশন্স।
সম্মাননাপ্রাপ্ত দুই লেখককে সম্মাননা সনদ এবং ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার প্রধান অতিথি এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব নির্বাচন: সভাপতি হাসিব, সাধারণ সম্পাদক অপু
ডিক্যাব সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার বলেন, সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে লেখালেখির সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা এবং সৃজনশীল লেখনির জন্য ডিক্যাব সদস্যদের স্বীকৃতি দিতে এ আয়োজনে আসা।
তিনি আরও বলেন, নিয়মিত চর্চায় না থাকলে সৃজনশীল লেখালেখি হয় না। আপনারা সাংবাদিকরা যেহেতু লেখালেখির মধ্যে থাকেন, আপনাদের সেই সুযোগটা আছে।
তিনি বলেন, লেখনি যদি চালু না থাকে, প্রমিত বাংলায় লেখা হারিয়ে যাবে এবং সেটার পরিণতি হবে বেশ হতাশার।
আয়োজনের জন্য ডিক্যাবকে সাধুবাদ জানিয়ে সৃজনশীল লেখনির সঙ্গে জড়িত সদস্যদের এমন সম্মাননা দেওয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন গওসোল আযম সরকার।
বাংলা সাহিত্যের অনেক লেখক-কবির সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, সাংবাদিকতা যারা করেন, তাদের জন্য লেখালেখি করাটা খুব প্রয়োজন। পাশাপাশি পড়াশোনা করাটাও অনেক বেশি জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য হলেও সদস্যদের সম্মাননা দেওয়ার এই আয়োজন চালু থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শ্রদ্ধা
৮ মাস আগে
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো কূটনীতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাংবাদিকদের ব্রিফিং শেষে ডিক্যাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপুর নেতৃত্বে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সহসভাপতি রবিউল হক, সহসভাপতি (নির্বাচিত) তানজিম আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ আতিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক মোর্শেদ হাসিব, কার্যনির্বাহী সদস্য পান্থ রহমান, ইশরাত জাহান, মীর মোস্তাফিজুর রহমান, পরিমল পালমা ও মাসুম বিল্লাহ।
এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সভাপতি রাহীদ এজাজ ও আঙ্গুর নাহার মন্টি, সাবেক সহসভাপতি ও সাধারন সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন, সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহফুজ মিশু, তৌহিদুর রহমান, ইমরুল কায়েস।
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
এসময় তারা কুশল বিনিময় করেন। আগামীর পথে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এক সঙ্গে কাজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে এবারের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন ড.হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ডিক্যাবের
ঢাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
শনিবার(২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাজনৈতিক সমাবেশে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন এবং গণমাধ্যমের তাদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
কয়েকজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ডিক্যাব নেতারা আহত সাংবাদিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এসব ঘটনার নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে ডিক্যাব।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা থেকে বিরত থাকার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ডিক্যাব।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের সভাপতি লোটাস, সেক্রেটারি কায়েশ
১ বছর আগে
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ডিক্যাব সদস্যদের সংবর্ধনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার তার বাসভবনে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের জন্য এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে বাংলাদেশে কূটনৈতিক সংবাদদাতারা যে কাজ করে তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চান।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রদূত হাস ডিক্যাবের সদস্যদের বলেন, ‘আপনাদের এটি একটি মহৎ পেশা এবং ক্রমবর্ধমানভাবে সারা বিশ্বে এটি একটি কঠিন ও বিপজ্জনক পেশা।’
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের দেশে ঘটতে থাকা ঘটনা সম্পর্কে তাদের নিজ নাগরিকদের অবহিত করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ‘এই ভূমিকা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্য মিশনের বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
১ বছর আগে
জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার চর্চাকালে দেশের স্বার্থ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা সমস্যা তৈরি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার খুবই স্বচ্ছ। আমরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মোমেন বলেন, সেখানে সকল স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত এবং প্রত্যেকেরই মনে রাখতে হয় যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থিতিশীলতা ও চমৎকার প্রবৃদ্ধি রয়েছে।’ সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গুজব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, দেশ ও এর স্বার্থ যাতে কেউ ক্ষুণ্ন করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ‘আপনারা সবাই এই দেশকে ভালোবাসেন। আমরাও ভালোবাসি। মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রাখতে হবে।’
২ বছর আগে
শ্রীলঙ্কার মতো সংকটের মুখোমুখি হবে না বাংলাদেশ: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হবে না উল্লেখ্য করে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি সাবধানে ঋণ গ্রহণ এবং শক্তিশালী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্গে ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‘অত্যন্ত ভালো’ করছে।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, মূলত বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা নয় তবে দেশটির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
বাংলাদেশ চীন থেকে অল্প পরিমাণ ঋণ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর মানে এই নয় যে বাংলাদেশের অর্থনীতি মুদ্রাস্ফীতি বা ক্রমবর্ধমান খাদ্য মূল্যের মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
জাতীয় নির্বাচন
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচনের গুরুত্বের কথা বলছেন যেখানে জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করার অধিকার ও ক্ষমতা রয়েছে। তবে অবাধ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় শর্তগুলো কীভাবে তৈরি করা হবে তা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সহিংসতাহীনতা ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগণ, গণমাধ্যম এবং সুশীল সমাজের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
আইপিইএফ ও বাংলাদেশ
এক প্রশ্নের জবাবে হাস বলেন, সম্প্রতি চালু হওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারটি (আইপিইএফ) এ যোগদানের সুযোগ থাকবে অন্যান্য দেশের জন্য।
আইপিইএফ নিয়ে মার্চ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ এটি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।
অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি ১২টি ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের সঙ্গে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি করেছেন। দেশগুলো হলো, অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।বিশ্ব জিডিপির ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে দেশগুলো।
এলিট ফোর্স র্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন দূত বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এটা স্পষ্ট করেছেন যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা।
আরও পড়ুন: শাস্তি নয়, সতর্ক করতে নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের জবাবদিহিতা চায় এবং সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘন এড়াতে চায়। ভবিষ্যতে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন আর না হয় তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত।
তিরি আরও বলেন, এটি অবশ্যই পালনীয় এমন কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ের তালিকা প্রদান নয়। কিন্তু মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
২ বছর আগে
বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, তার দেশ ভবিষ্যত উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ থাকবে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূত হাস জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ এ তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন।
ওয়াশিংটন গিয়ে তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগামী ৫০ বছরেও বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবিচল অংশীদার থাকা যেমনটি গত ৫০ বছর ধরে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ
রাষ্ট্রদূত হাস তিনমাস ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশে আসার পর এটাই তার প্রথম ওয়াশিংটন সফর।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি এই দেশে এ পর্যন্ত আমার অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করার জন্য মার্কিন সরকারের অনেক কর্মকর্তা, কংগ্রেস কর্মী, এনজিও এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করছি।
হাস জানান, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বন্ধু আর কেউ ছিল না। এবং আগামী ৫০ বছরেও এর চেয়ে আর কোন ভালো বন্ধু হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জ দুটোই বাস্তব।
হাস বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হবে এবং দেশটি ক্রমাগত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই অর্জনগুলো বাস্তব এবং সত্যিই অসাধারণ।
আরও পড়ুন: শাস্তি নয়, সতর্ক করতে নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, দীর্ঘ উপকূলরেখা এবং বৃহৎ প্লাবনভূমিসহ অবস্থানগত কারণে বদ্বীপ রাষ্ট্র বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আছে।
তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা আসে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের উদ্বেগ প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগতভাবে উত্থাপন করে।
হাস বলেন, তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন বেশ কয়েকটি খসড়া আইন ও প্রবিধান নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রাষ্ট্রদূত হাস আরও বলেন, তারা বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং এর কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে অপর্যাপ্ত শ্রম অধিকার এবং কাজের পরিবেশের নিম্নমান নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেয়ার বিষয়টি দ্রুত ফয়সালা হওয়া উচিত: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
এই উদ্বেগগুলো দুর্ভাগ্যবশত, জিএসপি সুবিধাও বাংলাদেশকে ইউএস ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে বঞ্চিত করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং দারিদ্র্য হ্রাসে একত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে তা গড়ে তুলতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য নতুন এবং উদ্ভাবনী পন্থা চিহ্নিত করা, গণতন্ত্রের প্রচার এবং চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতেও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন হাস।
২ বছর আগে
আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিনকে হত্যায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নিন্দা
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় ১১ মে আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন শিরিনের হত্যায় জড়িতদের জবাবদিহিতার দাবি জানান।
শিরিনের মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শিরিন আবু আকলাকে হত্যায় আর্টিকেল নাইনটিনের নিন্দা
আরেক বিবৃতিতে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশও (ওক্যাব) এই হত্যার নিন্দা জানিয়েছে।
ওক্যাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোল ও সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম মিঠু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে শিরিনের হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রতিবেদন করতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এপির খবরে বলা হয়, শিরিন মধ্যপ্রাচ্যের একজন অত্যন্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক ছিলেন এবং তার অপ্রতিরোধ্য কভারেজ লাখো দর্শকের কাছে পরিচিত ছিল।
২ বছর আগে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ডিক্যাবের শ্রদ্ধা
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ডিক্যাব লাউঞ্জে’ বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৬ মার্চ ডিক্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
প্রথমবারের মতো ডিকাব মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ছবি স্থাপন
২ বছর আগে