বিধি-নিষেধ
২৮ এপ্রিলের পর লকডাউন শিথিল করতে পারে সরকার
মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের দুই সপ্তাহ আগে ২৮ এপ্রিল থেকে লকডাউনে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হবে।
তবে, এখনও কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি এবং এই বিধি-নিষেধগুলো কী পরিমাণে শিথিল হবে তা এখনই পরিষ্কার নয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, 'এই সিদ্ধান্ত ২৮ এপ্রিল নেয়া হবে।'
তিনি বলেন, 'এমনকি যদি বিধি-নিষেধগুলো শিথিল করা হয়, তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে এবং সরকার ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতিটির কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে।'
আরও পড়ুন: লকডাউন: ২৫ এপ্রিল থেকে খুলবে দোকান শপিংমল
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ বলেন, ২৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমলগুলো পুনরায় চালু হওয়ার পর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা নিশ্চিত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে দুরুত্ব বজায় রাখি তাহলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিধি-নিষেধ মানলে অনেকটা উপকৃত ফলাফল পাবো আমরা। সে জন্য স্বাস্থ্যবিধির ওপর জোর দেয়া হবে।
গণপরিবহনের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
শিথিল লকডাউন কেমন হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ জানান, এখানে অনেক বাধা থাকবে না। 'বিদ্যমান বিধি-নিষেধ সীমিত থাকবে। প্রতিদিনের জন্য কিছু গাইডলাইন থাকবে।'
অফিস পরিচালনার বিষয়ে ২৮ এপ্রিলের মধ্যেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
ফরহাদ জানান, তারা গণপরিবহনের চলাচল নিয়ে আলোচনা করছেন। 'এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, একবার পুনরায় চালু হলে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা আমরা নিশ্চিত করব।'
গণপরিবহনে মাস্ক পরা এবং যথাযথ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় প্রাইভেট কারের চলাচল বৃদ্ধি
যদিও লকডাউন চলাকালীন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল, তবুও সরকার প্রথম ধাপের লকডাউনের তৃতীয় দিন ৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশন অঞ্চলে এর কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়।
২৫ এপ্রিল থেকে পুনরায় খুলছে দোকানপাট
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমলগুলো বন্ধ ছিল।
তবে, দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা আবার ব্যবসা চালু করার দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। তাদের যুক্তি দেখায়, গত বছর লকডাউনের সময় তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঈদ-উল-ফিতর সাধারণত ব্যবসায়ের ব্যস্ততম সময়। কিন্তু, কোভিডের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের ঈদ উদযাপিত হয়। এতে ব্যবসায়ে বড় ক্ষতি হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের যুক্তি গত বছরের অবস্থার পুনরাবৃত্তি তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই, সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে এপ্রিল ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেয়।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
শুক্রবার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি নোটিশ জারি করেছে যেখানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার শর্তে ২৫ এপ্রিল (সকাল ১০টা থেকে ৫টা) শপিংমলগুলো খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়।
সবচেয়ে মারাত্মক মাস
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃত্যু আকস্মিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার প্রথমে ১৮-দফা নির্দেশনা জারি করে। এই পরিস্থিতি এপ্রিলের শুরু থেকে এক সপ্তাহব্যাপী লকডাউন আরোপ করতে সরকারকে বাধ্য করে। তবে এই লকডাউন প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ১১ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করেছে এবং ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
শুধু এপ্রিলেই করোনাতে আক্রান্ত হন ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৫ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৮২৩ জন। এপ্রিলের এই প্রথম ২৩ দিনের মৃত্যুর সংখ্যাই গত তিন মাস জানুয়ারি (৫৬৮), ফেব্রুয়ারি (২৮১) এবং মার্চের (৬৩৮) মোট মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: ঈদে শিথিল হতে পারে লকডাউন: কাদের
১৬ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে দেশে করোনায় প্রতিদিন ১০০ জন মারা গেছেন। পরবর্তী তিন দিনে মৃতের সংখ্যা ৯০-এরও বেশি ছিল।
এই মাসে করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন আগামী জুন নাগাদ দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
৩ বছর আগে
আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর দাবি আটাবের
ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী ও নতুন ভিসা প্রাপ্তদের যাতায়াত সচল রাখার নিমিত্তে লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরর দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মলেন লিখিত বক্তব্যে আটাবের সভাপতি মনছুর আহামেদ কালাম এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউন: স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশ
তিনি বলেন, 'দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের বর্তমান অস্বাভাবিক প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের সাথে সহযোগিতা করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব।'
আটাবের সভাপতি বলেন, 'লকডাউনে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণপথে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অনেক প্রবাসী ছুটি নিয়ে বা জরুরি প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হতে চলেছে। তারা এয়ারলাইন্সের টিকেট সংগ্রহ করে কর্মস্থলে গমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। তাছাড়াও অনেক নতুন কর্মী ভিসা প্রাপ্ত হয়ে কর্মস্থলে গমনের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারলে নিয়োগকর্তা তাদের অনেকেরই ভিসা বাতিল করবেন।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক
তিনি বলেন, 'একজন প্রবাসীর আয়ের ওপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। সঠিক সময়ে নিজ কর্মস্থলে গমন করতে না পারার কারনে তাদের কর্মচ্যুতি হলে তাদের পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে।'
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মনছুর আহামেদ বলেন, ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী এবং নতুন ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীদের সময় মত কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টিও বর্তমান সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
‘লকডাউনের সময় যাদের ফ্লাইট র্নিধারিত ছিল বা যাদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণের পথে তারা সময়মত কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারলে ব্যক্তি, পরিবার এবং রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।'
তিনি বলেন, 'এছাড়া প্রবাসী কর্মীরা যে সকল দেশে গমন করবেন বিশেষত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অনেক দেশ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি যাত্রী প্রবেশে কোন প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
উল্লেখ্য, আটাব দেশের প্রায় ৩ হাজার ৫০০ সরকার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির একটি অলাভজনক সংগঠন। বিদেশগামী যাত্রীদের এয়ার টিকেট ও অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতাসহ দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে আটাব নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
৩ বছর আগে
দেশে ৭ দিনের লকডাউনে যানজট কম রাস্তাঘাটে
কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে সোমবার দেশে সাত দিনের লকডাউন শুরু হওয়ায় সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা নির্জন ছিল।
সকালে রাস্তায় অল্প সংখ্যক প্রাইভেট কার, রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিসগুলো 'সীমিত জনবল' দ্বারা পরিচালনার অনুমতি দেয়ায় অনেককে তাদের অফিসে পৌঁছানোর জন্য রিকশা ও অটোরিকশা ভাড়া করতে দেখা গেছে।
মতিঝিলে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এবং রামপুরার বাসিন্দা রেহানা বেগম বলছিলেন, 'আজ আমার অফিসে পৌঁছাতে অনেক বেশি ভাড়ায় একটি অটোরিকশা নিতে হয়েছে এবং প্রতিদিন এত পরিমাণ ব্যয় করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।'
তবে লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দোকান ও শপিংমলগুলো বন্ধ ছিল।
বিভিন্ন এলাকায় কাঁচাবাজারগুলো খোলা দেখা গেলেও ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
লকডাউন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দিনমজুর হারিস মিয়া বলেন, 'আগের বছরের কষ্টের দিনগুলো আমাদের জীবনে আবার ফিরে এসেছে, আমাদের নিয়ে ভাবার কেউ নেই। লকডাউন চলতে থাকলে ক্ষুধা আমাদের শেষ করে দেবে।'
আরও পড়ুন: সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত-জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের দৃঢ় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জনসাধারণের অপ্রয়োজনীয় চলাচল এবং সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে আনা এই লকডাউনের মূল লক্ষ্য।
প্রাণঘাতী করোনভাইরাস মোকাবিলায় এটি বাংলাদেশের প্রথম আনুষ্ঠানিক লকডাউন। গত বছরের ২৬ মার্চ সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন কার্যকর করার পরিবর্তে পরিবহন বন্ধের পাশাপাশি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল।
গত কয়েক দিন যাবত দেশে করোনায় আক্রান্তের পরিমাণ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেন।
এই সময় বেশিরভাগ অফিস এবং কারখানা খোলা থাকবে, তবে কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশিকা বজায় রেখে পালা করে কাজ করবেন।
গত সপ্তাহে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ১৮ দফা নির্দেশনাও জারি করে।
বিধি-নিষেধসমূহ
রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ করোনা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য এবং লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জনগণের চলাচল ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের উপর ৭ দিনের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
গেজেট অনুসারে, সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, নৌ, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লকডাউনের সময় অভ্যন্তরীণ বিমান ও যাত্রীবাহী ট্রেন স্থগিত করার এবং পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জরুরী পরিষেবা, পণ্য বহন, উত্পাদন, বিদেশী যাত্রী এবং ফেরত আসা প্রবাসীরা এই বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন-ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস ও আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। তারা শুধু প্রয়োজনীয় জনবলকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা-নেওয়া করতে পারবে।
শিল্প-কারখানা ও নির্মাণ কার্যাদি চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া করতে হবে।
এছাড়া, বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএকে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের চিকিত্সা সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ৭ হাজারের বেশি শনাক্ত, মৃত্যু আরও ৫৩
জনগণের চলাচল সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সীমিত থাকবে এবং অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খোলা জায়গা থেকে কেনাবেচা করা যাবে যা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।
অন্যদিকে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যংকিং কার্যক্রম চলবে। এর বাইরে কোনো সময়ে লেনদেন করা যাবে না।
এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী উপযুক্ত স্থানে মাঠ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
জেলা এবং মাঠ প্রশাসন একত্রে নির্দেশগুলো কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা টহল জোরদার করবে এবং যারা এই নির্দেশাবলী লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি
রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশে নতুন করে কোভিড-১৯ এ ৭ হাজার ৮৭ জন আক্রান্ত হয় যা গত বছরের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু ৯ হাজার ২৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবারের ১.৪৬ শতাংশ থেকে রবিবার মৃত্যুর হার কমে দাঁড়িয়েছে ১.৪৫ শতাংশে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর বিকল্প নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জানুয়ারিতে মারা যায় ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন এবং মার্চে ৬৩৮ জন।
এই পরিস্থিতিতে সরকার ক্রমবর্ধমান রোগীদের সংখ্যা মোকাবেলায় কোভিড-মনোনীত হাসপাতাল এবং আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়াচ্ছে।
৩ বছর আগে
করোনা: সিলেটে ১১টি বিধি-নিষেধ জারি করল জেলা প্রশাসন
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সিলেটে ১১টি বিধি-নিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার এ সকল বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব বিধি-নিষেধ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এগুলো অমান্য করলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন:করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয়সহ সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধসহ পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে অন্য জেলার পর্যটক/দর্শনার্থীদের আগমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হাট-বাজার, মার্কেট, শপিংমলসহ বিভিন্ন স্থানে কেনা-বেচা রাত ৯টা পর্যন্ত চালু থাকবে।
এছাড়া সকল প্রকার গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং গণপরিবহণে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
আরও পড়ুন:সব পর্যটন স্পট ২ সপ্তাহ বন্ধের ঘোষণা সিলেটে
একই সাথে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা বা আড্ডা নিষিদ্ধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪৬৯ শনাক্ত, মৃত্যু ৫৯
সর্বোপরি সকল স্থানে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।
৩ বছর আগে