পিস্তলের গুলিতে ‘আত্মহত্যা’
চট্টগ্রামে পুলিশ বাবার পিস্তলের গুলিতে ছেলের ‘আত্মহত্যা’
পারিবারিক কলহের জেরে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ কর্মকর্তা বাবার পিস্তলের গুলিতে ছেলে ‘আত্মহত্যা’ করেছে।
শুক্রবার দুপুরে আকবর শাহ থানার সিটি গেইট শাপলা আবাসিক এলাকার এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহিন (২২) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) খুলশী থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর মাইনুল হোসেনের ছেলে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ পুলিশের ছেলেকে হাসপাতালে আনার পর দুপুর ৩টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার ২ শিশু সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বাবা মাইনুল হোসেন জুমার নামাজ পড়তে গেলে ছেলে মাহিন পিস্তল দিয়ে নিজের ডান বুকে গুলি করে। এ অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ চমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা বাড়ার কারণ
বয়স এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যার নাটকীয় উত্থানের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘আত্মহত্যা’ ও নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইকে হত্যার পর সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের ‘আত্মহত্যা’
কোভিডের ফলে সৃষ্ট মানসিক চাপকে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দান দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ও এডুকেশনাল এবং কাউন্সিলিং সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মেহজাবীন হক বলেন, ‘হতাশা, ব্যক্তিত্বজনিত সমস্যা এবং বিভিন্ন মানসিক রোগের কারণে বেশিরভাগ মানুষ আত্মহত্যা করেন। সময়মতো এই ব্যাধিগুলোর যত্ন নেয়া গেলে, আমরা সহজেই আত্মহত্যার সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারি।’
অধ্যাপক মেহজাবীন হক বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোট লেখা বা হতাশা প্রকাশ করা আত্মহত্যার কথা ভাবা মানুষের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ ইঙ্গিত। তাদের কথা আমাদের শুনতে হবে, তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে তারা একা নয়, তাদের জীবন মূল্যবান। ভবিষ্যতের বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে বর্তমানের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে যা আমাদের ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে। আমাদের আশাবাদী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বরিশালে ছেলের সাথে অভিমান করে মায়ের `আত্মহত্যা’
শারীরিক অসুস্থতার মতো মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় এই মনোবিজ্ঞানী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মেহতাব খানম বলেন, ‘কেস বিশ্লেষণ না করে কোভিড চলাকালীন আত্মহত্যা বা এ ধরনের প্রবণতার পেছনের কারণ চিহ্নিত করা খুব কঠিন। তবে কেউ যদি আত্মঘাতী হয়ে ওঠে, পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে মোকাবিলায় তাদের ব্যস্ত রাখা আমাদের কর্তব্য।’
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় কাউন্সিলর প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
৩ বছর আগে