রপ্তানি খাত
বৈদেশিক আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তার জন্য দেশের কৃষিপণ্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনতে কৃষিপণ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের এক বা দুটি রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না।’
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পুরস্কারটি দেশের কৃষির উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশকে স্বাবলম্বী করা ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কৃষিপণ্য বৃদ্ধিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বদা এটি মনে রাখা উচিত। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াব।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী ও কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে শারমিন আক্তার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: সামনের কঠিন দিনগুলো মোকাবিলা করার জন্য খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের
২ বছর আগে
করোনায় সংকটে খুলনার চিংড়ি চাষিরা
হিমায়িত চিংড়ি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। অথচ উচ্চ মূল্যে চিংড়ির পোনা ক্রয়, মাছের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি ও চিংড়ির দাম অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় খুলনার চিংড়ি চাষিরা মহাসংকটে পড়েছেন।
ইতোমধ্যে চাষিদের লোকসান পুষিয়ে নিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। করোনার প্রথম কয়েক মাস চিংড়ি রপ্তানিতে ভাটা পড়লেও সেটি এখন কেটে গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলে হিমায়িত চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার পরিধি কমছে
মৎস্য কর্মকর্তা, হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও চাষিরা জানান, দেশের সবচেয়ে বেশি খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় চিংড়ি চাষ হয়। ঘের মালিকরা চাষকৃত চিংড়ি আড়তগুলোতে সরবরাহ করেন। হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় মৎস্য আড়তদারদের কাছ থেকে বাগদা অথবা গলদা চিংড়ি সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রপ্তানি করে। কিন্তু করোনার কারণে চিংড়ি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আড়তগুলো থেকে চিংড়ি সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। ফলে পাইকারি বাজারে মাছের দরপতন হয়। সেই প্রভাব পড়ে ঘের ব্যবসায়ীদের ওপর।
খুলনা অঞ্চলের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক তৌফিক মাহমুদ বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে ২৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য দুই হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ২১ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন মাছ। যার মূল্য এক হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। করোনার মধ্যেই চলতি অর্থবছরের সাত মাসে রপ্তানি খুবই ভালো।
৩ বছর আগে