চার সন্তানের জন্ম
বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
যশোর সদরে বিয়ের আট বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৬ বছরের এক গৃহবধূ। সোমবার রাতে যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
প্রসূতি শম্পা বেগম উপজেলার বসুন্দিয়া খান পাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে একসাথে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
শম্পার পরিবার জানায়, সোমবার দুপুরে শম্পার প্রসববেদনা উঠলে তাকে দ্রুত কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. প্রতিভা ঘরাইয়ের তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়। এদের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি কন্যা সন্তান। শম্পা ও তিন শিশু বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
শম্পা বেগম জানান, তার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনিও খুব খুশি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে হাত-পাবিহীন সন্তানের জন্মগ্রহণ
কুইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রতিভা ঘরাই বলেন, নবজাতকদের স্বাভাবিক ওজন হলো আড়াই কেজি। কিন্তু এই চার নবজাতকের মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় তাকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ওই শিশুটি দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
২ বছর আগে
কুমিল্লায় চার সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
কুমিল্লায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া আক্তার নামের এক প্রসূতি। নগরীর গোমতী হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক শাহিদা আক্তার রাখির তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারিতে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়।
সাদিয়া সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজীর লালবাগের জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। জিল্লুর রহামান একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। বুধবার সন্ধ্যায় জন্ম নেওয়া চার শিশুকে কুমিল্লার মডার্ন হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় একসাথে ১০ সন্তান জন্মদানের দাবি নিয়ে ধোঁয়াশা
চার নবজাতকের বাবা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে গেলেই সিজার করে। তবে ডা. শাহিদা আক্তার রাখি আমার স্ত্রীকে চেকআপ করে বলেছেন, বাচ্চাগুলোর পজিশন ঠিক আছে। তিনি নরমাল ডেলিভারি করার জন্য বলেন। আমরাও রাজি হয়ে যাই। আল্লাহর রহমতে কোনও সমস্যা ছাড়াই চার সন্তানের বাবা হলাম। সবার দোয়া কামনা করছি।’
বুধবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে ডা. শাহিদা আক্তার রাখি বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারিতে চার শিশুর জন্ম হওয়ায় আমি খুবই খুশি। শিশুদের মা সুস্থ আছেন। চার শিশুর মধ্যে প্রথমজনের ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম, দ্বিতীয় জনের ১০০০ গ্রাম, তৃতীয় জনের ওজন ৯০০ গ্রাম এবং চতুর্থ জনের ওজন ৮০০ গ্রাম। বাচ্চাগুলো ইম্যাচিউর হওয়ায় এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবগুলো বাচ্চাই ভালো আছে।’
আরও পড়ুন: মরক্কোতে একসঙ্গে ৯ সুস্থ সন্তান প্রসব!
তিনি জানান, সিজার ছাড়াই চার শিশুর জন্মের ঘটনা কুমিল্লায় এর আগে ঘটেছে কি না জানি না। এর আগে একসঙ্গে তিন শিশুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রাখছি।
৩ বছর আগে
ফেনীতে একসাথে চার সন্তানের জন্ম দিলেন জান্নাতুল
ফেনী শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে একসাথে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস (২৪) নামে এক নারী। চার নবজাতকের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার তরী গরুকাটা হাজারী বাড়ির রাজমিস্ত্রি ফরহাদের স্ত্রী।
মা ও নবজাতকরা সুস্থ থাকায় শুক্রবার বিকালে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা।
আরও পড়ুন: একসাথে চার সন্তান প্রসব করলেন নোয়াখালীর বৃষ্টি
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর দেবীপুরে প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড ল্যাপারোস্কোপি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন গৃহবধূ জান্নাতুল এবং চার সন্তান জন্ম দেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, স্বাভাবিকভাবে একসাথে চার সন্তান প্রসব করান গাইনী বিশেজ্ঞ ডা. আবদুল কাইয়ুম।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় এক প্রসূতির ৫ সন্তান প্রসব
ডা. আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টের আলোকে জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বজনরা বলেছিলেন তিন বাচ্চা রয়েছে। একে একে তিন সন্তান প্রসব করেন ওই মা। পরে আরও এক সন্তান প্রসব করেন তিনি।
গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। আল্লাহ আমাকে এ চার সন্তান দান করেছেন।’
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হাসপাতালে ঠাঁই না পেয়ে রাস্তায় সন্তান প্রসব
নবজাতকদের বাবা ফরহাদ বলেন, ‘আশা করি চার সন্তান লালন-পালনে কোনো সমস্যা হবে না। আল্লাহ সুস্থ রাখলে পরিবারের সবাই মিলে লালন-পালন করবো।’
৩ বছর আগে