বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
সন্ধ্যা ৭টার পর খুলনায় বাজার ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত
খুলনায় বাজার ও দোকান সন্ধ্যা ৭টার পর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একই সাথে পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখাসহ ৫ দফা নির্দশনা দেয়া হয়েছে। তবে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
জেলার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শনিবারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: খুবির সব কার্যক্রম ২২ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জনসমাগম, সামাজিক, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ন্ত্রণ, যান চলাচল, পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্রে জনসাধারণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরণের লক্ষ্যে খুলনা জেলার করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: অনির্দিষ্টকালের জন্য মিরপুর ও রংপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ
আগামী ৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দশনা না দেয়া পর্যন্ত জারি করা এ আদেশ কার্যকর থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খুলনা জেলার দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা উপজেলাধীন সুন্দরবন কেন্দ্রিক সকল ধরনের পর্যটন কার্যক্রম ও পর্যটকদের দর্শন বন্ধ রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ
সুন্দরবন কেন্দ্রিক ট্যুর আয়োজনকারীদেরকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ট্যুর কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হলো।
খুলনা জেলা ও মহানগরের সকল ধরনের পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, পিকনিক স্পট, বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে।
ক্লিনিক, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্যান্য সকল দোকান, বাজার প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সন্ধ্যা ৭টার পর কোনো দোকান, বাজার খোলা থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। খাবারের দোকান রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
৩ বছর আগে