ফরিদুল হক খান
হজ প্যাকেজের খরচ কমাবে সরকার: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
হজ প্যাকেজের ডি ও সি ক্যাটাগরিতে খরচ কমানো হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেছেন, ‘সৌদি সরকারকে অনুরোধ করে করে হজের খরচ কিছুটা কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে নাটোর কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আন্তধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে সংলাপে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও মতাদর্শের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার আগের তুলনায় হজযাত্রীদের জন্য কিছু নতুন সুবিধা যোগ করায় প্রতি হজযাত্রীর জন্য প্রায় এক লাখ টাকা খরচ বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: এবছর আর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর সুযোগ নেই: বিমানের এমডি
২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি।
বাংলাদেশ থেকে হজের ব্যয় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বেশি হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।
এর মধ্যে প্রতিটি যাত্রীর জন্য বিমান ভাড়া হিসেবে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৪ মার্চ হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলেন সরকার নির্ধারিত প্যাকেজের খরচে সাধারণ মানুষ কীভাবে হজ করবে।
এতে প্রশ্ন করা হয়, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সরকার কেন হজের জন্য বাজেট বরাদ্দ করে না?
চলতি বছরের হজ প্যাকেজ সংশোধন নিয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর নির্দেশ সরকারের
গত ১৫ মার্চ রিট আবেদনের শুনানি শেষে হজের খরচ কমানোর উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
গত ১৭ মার্চ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিমানের বিমান ভাড়া যৌক্তিকভাবে কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়।
গত ১৯ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, এ বছর হজ ফ্লাইটের ভাড়া কমানোর কোনও সুযোগ নেই।
১ বছর আগে
২০১৪ সাল থেকে ১৯১৮ জন হজযাত্রী সরকারি খরচে হজ করেছেন: প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সংসদে বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ পালনের জন্য ১৯৮১ জনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দিনের অধিবেশন শুরু হলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সরকার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মুসলমানকে সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যে হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পাঠানোর একটি কর্মসূচি শুরু করেছিল।
সরকারি খরচে হজ করা ১৯১৮ জনের মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫; ২০১৫ সালে ২৬৮, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ২২৪, ২০১৮ সালে ৩৪০, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নড়াইলের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন
অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা রোধে রবিবার হজ্জ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিল ২০২১ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন এবং ৪০ দিনের মধ্যে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
দেখা গেছে, সরকার যখনই কোন হজ্জ এজেন্সির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়, তখনই এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে আসা হয়। তাই হজ্জ এজেন্সি পরিচালনার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রয়োজন। প্রস্তাবিত আইনের আওতায় নিবন্ধন না থাকলে কেউ হজ্জযাত্রী নিতে পারবে না এবং নিবন্ধনকৃত এজেন্সিদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: আ’লীগের সংসদ সদস্য আসলামুল হক মারা গেছেন
উত্থাপিত বিল অনুযায়ী, যে কোনো হজ্জ ও ওমরাহ এজেন্সির অসঙ্গতিপূর্ণ কার্যক্রমের জন্য নিবন্ধন বাতিল করা যেতে পারে।
এছাড়াও অনিয়মের জন্য একটি হজ এজেন্সিকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ওমরাহ এজেন্সিকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি সংসদের ১২তম অধিবেশন মুলতবি
বিলে বলা হয়, কোনো এজেন্সি যদি পর পর দুই বছর তিরষ্কৃত হয় তাহলে এজেন্সির নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত হয়ে যাবে। এছাড়াও হজ্জ ও ওমরাহ এজেন্সির সংঘটিত ফৌজদারি অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: চলতি সংসদের ১২তম অধিবেশন শুরু
নতুন আইনটি কার্যকর হওয়ার পর যদি কোনো বাংলাদেশি সৌদি আরবে হজ্জ-সংক্রান্ত অনিয়মের সাথে জড়িত হন, তাহলে ওই অপরাধ বাংলাদেশে হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপসহ আইনি পদক্ষেপ নেয়া যাবে।
৩ বছর আগে