খুলনা করোনা হাসপাতাল
খুলনার চার হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু
খুলনার চারটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালে তিনজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন, বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পড়ুন: কিশোরগঞ্জে করোনা ও উপসর্গে ১৫ জনের মৃত্যু
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার হাসিনা বেগম (৭৫), ডুমুরিয়ার ফাতিমা খাতুন (৬৫) ও নড়াইল লোহাগড়ার হোসনেয়ারা বেগম (৪০)।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১৬ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৪১ জন, ইয়েলো জোনে ৪২ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন একজন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে খালিশপুরের ১৮নং লাল হাসপাতাল রোডের শিরিন আক্তার (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় দুজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার রূপসা রাজাপুরের বাদশা মিয়া (৬৫) এবং খুলনা মহানগরীর টুটপাড়ার অনিমা রানী ঘোষ (৬৫)। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫৭জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৪ মৃত্যু
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- খুলনার নিরালা ১৬নং রোডের মো. আব্দুস সালাম (৬৬), নগরীর ৪৮-৬ আহসান আহম্মেদ রোডের মো. বদরুদ্দীন (৭৮), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর তালশা এলাকার মো. মুনসুর (৭০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
৩ বছর আগে
খুলনায় করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু
খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে করোনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫৬ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেড জোনে ৯৮ জন, ইয়ালো জোনে ২২ জন, এইচডিইউতে ১৬ জন এবং আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন।
আরও পড়ুন: রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৩ মৃত্যু
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোসনে আরা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৪৯ জন। এর মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী রয়েছেন।
গাজী মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় একদিনে ৩ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৭
তিনি জানান, হাসপাতালে ৮১ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ছয়জন এবং এইচডিইউতে ৩ জন চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২২ জন ভর্তি হয়েছে এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন। এছাড়া হাসপাতালের আরটি পিসিআর মেশিনে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় একদিনে রেকর্ড ২৮ জনের মৃত্যু
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, মঙ্গলবার রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৪৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৮৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাগেরহাটে ২৭ জন, যশোরে সাতজন, সাতক্ষীরায় একজন, পিরোজপুরের তিনজন, গোপালগঞ্জের একজন ও চুয়াডাঙ্গা জেলার একজন রয়েছেন। খুমেক পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় শনাক্তের হার প্রায় ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা জানান, বুধবার সকাল ৮ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলার ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলা ও মহানগরীতে ৭৭১টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৩০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় যা মোট নমুনা পরীক্ষার ৩৯ শতাংশ।
৩ বছর আগে
খুলনার করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি
খুলনা করোনা হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রয়েছে। ১০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১২৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
৩ বছর আগে
খুলনা করোনা হাসপাতালে এক বছরেরও অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন হয়নি
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সারাদেশের মতো খুলনাও আশঙ্কাজনক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও হাসপাতালটিতে এখনও অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফলে করোনা রোগীদের অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
এ দিকে, নির্ধারিত অক্সিজেন প্লান্টটি খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে অদূরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসকরা। আর দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর গড়িমসি ও অবহেলার কারণে স্থাপন হচ্ছে না প্লান্টটি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক নেতারা।
আরও পড়ুন: করোনা: চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু ৪, শনাক্ত ২৩২
হাসপাতালে বর্তমানে লিকুইড (তরল) অক্সিজেন প্লান্ট থেকে ৩৬ জনকে সেবা দেয়ার কথা থাকলেও সক্ষমতা নিয়ে আছে প্রশ্ন। অথচ এই সক্ষমতা দ্বিগুণ করতে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া হয় গত নয় মাস পূর্বে। আইসিইউতে ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ১০টি হলেও মাত্র চারটি সচল রয়েছে। বাকি ৬ টি ভেন্টিলেটর ও ১৪ টি হাই ফ্লু নজেল অচল রয়েছে। কবে নাগাদ সচল হবে জানা নেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের। অপর্যাপ্ত রয়েছে ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আরও ২০ জন করোনায় আক্রান্ত
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মার্চ মাসে পূর্বের তুলনায় সংক্রমণের হার বেড়েছে ১৪ শতাংশ। গত ২৪ মার্চ থেকে শনিবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৭ জন। এছাড়া আইসিইউতে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১০টি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। প্রতিদিন আনুপাতিক হারে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না শয্যা সংখ্যা। এ নিয়ে বিপাকে চিকিৎসকরা। ফলে করোনা রোগীর চিকিৎসায় ভোগান্তি বাড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানান, ভর্তি রোগীদের অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এত রোগীকে একসাথে সিলিন্ডারে অক্সিজেন দেয়া সম্ভব হয় না। লিকুইড (তরল) অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছেন করোনায় আক্রান্ত রোগীরা।
করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কমিটির খুলনার সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। যা ধীরে ধীরে আরও প্রকট হচ্ছে। অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন না হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় সময় পার করছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: মহামারি করোনায় ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় আক্রান্ত ৩৮, মৃত্যু ২
তিনি জানান, শুধুমাত্র কয়েকটি দপ্তরের সমন্বয়হীনতা ও অবহেলার কারণে এই প্লান্টটি স্থাপন হয়নি এবং নির্ধারিত প্লান্টটি চরম অবহেলায় রয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বিষয়টি জানালে তিনি খুব শিগগিরই প্লান্ট স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন।
৩ বছর আগে