মন্ত্রিসভা বৈঠক
স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন দিতে পারবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
কোনো এলাকায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হলে জেলা প্রশাসন লকডাউন দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ইতোমধ্যে বলা হয়েছে যে তারা যদি মনে করেন যে কোন এলাকার করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বা যেতে পারে সেক্ষেত্রে তারা সেই এলাকায় লকডাউন দিতে পারবে।
আরও পড়ুন:এবার ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ল লকডাউন
তিনি বলেন, মাঠ প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা অন্যান্য জেলা প্রশাসনকেও জানিয়ে দিয়েছি যে তারা যদি প্রয়োজন মনে করেন তবে তারা তাদের এলাকায় লকডাউন দিতে পারবেন। এমনকি পুরো জেলাতে লকডাউন না দিয়ে শুধুমাত্র সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে লকডাউন দিতে পারবে তারা।
আরও পড়ুন: এবার ‘লকডাউন’ বাড়লো ৩০ মে পর্যন্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেনারেলের পরামর্শে সাতটি সীমান্তবর্তী জেলাকে লকডাউনের আওতায় আনার প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ দিনের লকডাউন শুরু
বাংলাদেশ সচিবালয়ের অন্যান্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সাথে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
৩ বছর আগে
রমজানে অফিসের সময়সীমা নির্ধারণ
আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে সরকার সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অফিসের সময়সীমা সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই খুলনায় নিত্যপণ্যের বাজার চড়া
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ সচিবালয়ের বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘রমজানে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যোহরের নামাজের জন্য সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে।’
আরও পড়ুন: নিত্য পণ্যের বাজার এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ব্যাংক, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ও কারখানা, অন্যান্য সংস্থা এবং সুপ্রিম কোর্টের মতো জরুরি পরিষেবাগুলির সাথে জড়িত এজেন্সিগুলো রমজানের জন্য তাদের বিধি এবং জনস্বার্থ বিবেচনা করে অফিস সময় নির্ধারণ করবে।
আরও পড়ুন: রমজানে দরিদ্র ও দুস্থতের জন্য ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, রমজানের সময় শুক্র ও শনিবার যথারীতি সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।
এ বছর বাংলাদেশে পবিত্র রমজান ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৩ বছর আগে