অগ্রণী ব্যাংক
অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ব্যাংকের প্রায় আড়াই কোটি ঋণ বিতরণ!
নেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব। তবুও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ব্যাংক প্রায় আড়াই কোটি ঋণ বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এদিকে ১০ মাসের মধ্যে একটি শাখা থেকে বিতরণ করা ৭৬টি ঋণের মধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দেওয়া ঋণের সংখ্যা অন্তত ৫০টি।
সব মিলিয়ে টাকার অংকটি সোয়া ২ কোটি! এমন ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন শরীয়তপুরের অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বাবুল মুফতি।
স্বল্পমেয়াদি এসএমই ঋণ বিতরণে তার এমন অনিয়মের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে অনুসন্ধানে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৩ মে অগ্রণী ব্যাংকের শরীয়তপুর শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন বাবুল। যোগদানের ৭ দিন পর থেকে মাত্র ১০ মাসের মধ্যে বেপরোয়াভাবে অস্তিত্ববিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৭৬ জন ব্যক্তিকে ৩ লাখ টাকা করে প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা স্বল্পমেয়াদি এসএমই ঋণ দেন তিনি।
ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে যাচাই, আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পরিদর্শক এবং শাখা প্রধানের যৌথ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনোটাই মানেননি তিনি।
এছাড়া বর্ণিত খাতে মাসিক ৫টির বেশি ঋণ দেওয়া যাবে না, ব্যাংকের এমন সার্কুলার থাকলেও গত বছরের আগস্ট মাসে ৮টি, সেপ্টেম্বর মাসে ৮টি, অক্টোবর মাসে ১৪টি, নভেম্বর মাসে ৯টি এবং ডিসেম্বর মাসে ১৬টি ঋণ দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানবিহীন এমন ঋণ প্রদানে ঝুঁকি জেনেও বেপরোয়াভাবে এমন অনিয়ম করে গিয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে তদন্ত এবং তথ্যসূত্রে জানা যায়, জেলা শহর থেকে অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরে ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর এলাকা। গত বছরের ২৩ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ২ এপ্রিলের মধ্যে মাত্র ৭ মাসেই এই এলাকাতেই ঋণ দেওয়া হয়েছে ৩২ জন গ্রাহককে। আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিদর্শন প্রতিবেদন ছাড়াই এলাকায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের নামে দেওয়া হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা। আর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত ২০ দিনের মধ্যে এলাকাটির ৫ জনের নামে ঋণ দেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। বাকি ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে মর্মে জানা গেছে।
এদিকে ঋণ দেওয়ার এমন অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ব্যাংকটির অডিট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিভিশন। পরিদর্শন শেষে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম উঠে এলে এ বিষয়ে আঞ্চলিক কার্যালয় মাদারীপুর থেকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। পরে মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে গত মে মাসে আঞ্চলিক কার্যালয়ের এসপিও মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, জাজিরা শাখার ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন ও শরীয়তপুর শাখার দায়ী ব্যবস্থাপক বাবুল মুফতিসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে অনিয়ম উঠে এলে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
ঋণ প্রদানে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিদর্শক ও অগ্রণী ব্যাংক মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের এসপিও মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বলেন, আমরা আঞ্চলিক অফিস থেকে পরিদর্শনকালে শরীয়তপুর শাখার ব্যবস্থাপক বাবুল মুফতির ঋণ বিতরণে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছি। যেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই, তিনি সেখানেও ঋণ বিতরণ করেছেন। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: অগ্রণী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্সের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
গত বছরের ১৯ নভেম্বর রামভদ্রপুরে জিয়াসমিন পোল্ট্রি ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেন জিয়াসমিন নামে এক নারী। এ বিষয়ে খোঁজ নিলে জানা যায় জিয়াসমিন নয়, মূলত ঋণটি নেন তার স্বামী জামাল মৃধা। তবে তার কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নেই।
জামাল মৃধাকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিপদে পড়ে আমার ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়েছে। কিন্তু আমার কোনো পোল্ট্রি ফার্ম নেই। সারা বাংলাদেশে এমন হচ্ছে। সবকিছু তো আর স্বচ্ছ হয় না।
ঋণ নেওয়া রেহেনা নামে এক নারী বলেন, আমার বাড়িতে একটি মুরগির ঘর ছিল। আমি যখন ঋণ নিয়েছি তখন এটি দেখিয়েছি। তবে আমার কোনো মুরগির ফার্ম নেই। আমি ঠিকঠাক ঋণ পরিশোধ করব।
এদিকে ঋণ বিতরণে কিছুটা ভুল হয়েছে স্বীকার করে শরীয়তপুর শাখার ব্যবস্থাপক বাবুল মুফতি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অডিট হয়েছে এবং লোন আদায় হচ্ছে। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে, আবার কিছু বন্ধ করে চলে গেছে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার কিছু ভুল হয়েছে, তাই জোনাল অফিস থেকে ব্যাখ্যা তলব করেছে এবং পানিশমেন্ট দিচ্ছেন।
মাদারীপুরের তৎকালীন অগ্রণী ব্যাংকের আঞ্চলিক উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খান বলেন, আমি চলে আসার আগে তাকে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা তলব করে এসেছিলাম। সময়সীমা দেড় মাস বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমান জোনাল ম্যানেজারকে অবগত করে ফলোআপ করার কথা জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, বাবুল মুফতি মাদারীপুরের কালকিনি শাখায় ২০১৬ ও ২০১৭ সালে শাখা ব্যবস্থাপক থাকাকালীন দুই বছরে তার দ্বারা সংঘটিত নানা অনিয়মের জন্য তিন বার ব্যাখ্যা তলব করা হয়।
২০১৬ সালে ৪৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রভিশন ঘাটতি রেখে ব্যয় কম দেখিয়ে লাভ বেশি দেখানো, ২০১৭ সালে বন্ধকি গ্রহণ ছাড়াই ফয়সাল ট্রেডার্স নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ টাকা সিসি ঋণ বিতরণ, তার দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসার সরকারি হিসাব থেকে ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা অর্থ লোপাট হয়।
সেসব সরকারি অর্থ লোপাটের ঘটনায় আদালতে দুটি মামলা এখনো চলমান। তার বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্তেও তাকে পুনরায় শরীয়তপুর প্রধান শাখার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সদ্য বদলি হওয়া অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান খানকে জিজ্ঞেস করা হলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, বাবুল কালকিনি শাখায় থাকা অবস্থায় কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কিছু তহবিল তছরুপ করেছিল, তাদের পানিশমেন্ট হয়েছিল। তবে ম্যানেজার ওইসব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
নিয়ম বহির্ভুতভাবে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক মাদারীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মনজুর হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে এবং বিষয়টি উনি কীভাবে সমাধান করবেন সে ব্যাপারে কার্যক্রম চলমান। আসলে তাকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছে সমাধান করার এবং ঋণগুলো আদায় করার জন্য।
অস্তিত্ববিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে স্বল্পমেয়াদি এসএমই ঋণ দেওয়ার অনিয়মের বিষয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ও অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সুস্মিতা মন্ডল বলেন, স্বল্পমেয়াদি এসএমই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করতে হবে, যাতে ভুয়া ঋণ দেওয়ার সুযোগ না থাকে। যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ঋণ দেওয়া হয়, এসব ঋণ খেলাপি হলে এর দায়ভার শাখা ব্যবস্থাপকের। কেননা তার ওপর নির্ভর করে ঋণ সঠিক লোককে দেওয়া হচ্ছে কী না। ঋণগুলো খেলাপি হয়ে গেলে শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
২ মাস আগে
অগ্রণী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্সের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ৩ সদস্য আটক
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি ব্যাংকে নকল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপ (রিয়া) তৈরি করে ব্যাংক থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। এ চক্রের তিন সদস্যকে আটক পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- মো. মামুন (৪৯) মিরাজ (২০), সাইমন (৪০)। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্র জানায়, পাঁচ সদস্যের প্রতারক চক্র সংশ্লিষ্ট অফিসারের স্বাক্ষর ও সিল নকল করে দুটি জাল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপের মাধ্যমে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০টাকা উত্তোলন করে নিয়ে পালিয়ে যায়। চক্রের আরেকটি অংশ আবারও একটি স্লিপ জমা দিলে ক্যাশিয়ারের সন্দেহ হয়। পরে জাল হিসাবে ধরা পড়ে। এসময় ধাওয়া করে প্রতারক চক্রের ৩ জনকে আটক করা হয়।
ব্যাংকটির প্রিন্সিপাল অফিসার ফজলুল হক বলেন, রেমিট্যান্স পেমেন্ট ভাউচার নকল বানিয়ে দুইটা ভাউচার দিয়ে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা উত্তোলন করে। এসময় ওই চক্রের সদস্যরা পুনরায় টাকা উত্তোলন করতে এলে ক্যাশিয়ারের সন্দেহ হয়। তখন আমাকে দেখালে এটি জাল পেমেন্ট ভাউচার ও এরা প্রতারক বুঝতে পেরে তাদের ধরতে ধাওয়া করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা তাদের মধ্যে তিনজনকে আটক করে। তবে দুইজন আগেই টাকা উত্তোলন করে পালিয়ে যায়।
ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক ইদ্রিস আলী জানান, নকল রেমিট্যান্স পেমেন্ট স্লিপ দিয়ে ক্যাশ কাউন্টার থেকে দুই লাখ টাকা তুলে পালিয়ে যায়। আবার জমা দিলে তখন সন্দেহ হয় ও ধরা পড়ে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতারক চক্রের তিনজনকে উপস্থিত জনতা আটক করেছে। পুলিশ গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
৮ মাস আগে
অগ্রণী ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপের মাধ্যমে নগদে ওয়ালেটে অ্যাড মানি চালু
এখন থেকে অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহকেরা খুব সহজে দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদে অ্যাড মানি করতে পারবেন। এর ফলে ডিজিটাল লেনদেন এখন আরও বেশি সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে গেল।
সম্প্রতি মতিঝিলে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে নগদ লিমিটেড ও অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর মধ্যে একটি লঞ্চিং সেরিমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শতভাগ ভাতা বিতরণে সক্ষম নগদ: সমাজসেবা ডিজি
এসময় নগদ লিমিটেড-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক, হেড অব বিজনেস সেলস মাহবুব সোবহান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. বায়েজিদ উপস্থিত ছিলেন।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. মুরশেদুল কবীর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা বেগম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজিনা পারভীন ও জেনারেল ম্যানেজার অ্যান্ড সিআইটিও মো. শাহীনূর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট মুহাম্মদ জিয়াউল হক।
অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড-এর সঙ্গে এই লঞ্চিংয়ের বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল লেনদেনকে আরও বেশি সহজ ও সাশ্রয়ী করার জন্য কাজ করছি। যার ধারাবাহিকতায় অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে এই চুক্তি করেছে নগদ। এখন ব্যাংকটির গ্রাহকেরা খুব সহজে চাইলে মুহূর্তেই ব্যাংক থেকে টাকা নগদ ওয়ালেটে আনতে পারবেন।’
দেশের ৩১টি ব্যাংকের গ্রাহকেরা নগদে অ্যাড মানি করার সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন।
এরমধ্যে রয়েছে-ট্রাস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, শাহাজালাল ইসলামি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ, সাউথইস্ট ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মেগা ক্যাম্পেইনের আয় দান করবে নগদ
নগদ-এর অর্জন মানে ডাক বিভাগের অর্জন: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
মিরসরাইয়ে হচ্ছে দেশের প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির কারখানা
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরির কারখানা (ইলেকট্রিক কার প্লান্ট) স্থাপনের জন্য চারটি ব্যাংক এবং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে।
বুধবার বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড (বিআইএফএফএল ) এবং অগ্রণী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
জানা গেছে, ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল ( ইভি ) ম্যানুফ্যাকচারিং প্রজেক্টের প্রথম ধাপের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৫ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের জন্য মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীতে বিইজেটএ কর্তৃক ১০০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইবার হামলা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি সক্ষম বাংলাদেশ ব্যাংক
উল্লেখ্য, একই স্থানে ইভি গাড়ি তৈরির পাশাপাশি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি, মোটর, কন্ট্রোলার এবং চার্জার তৈরি করা হবে; যাতে করে ইভি গাড়ির ৭৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন হবে। বাংলাদেশ অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃক গাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে।এছাড়া বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মেশিনারিজের কিছু অংশ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। কিছু জিনিস বিদেশ থেকে শিপমেন্ট করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরিকল্পনা মোতাবেক ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে পরীক্ষামূলক ইভি গাড়ি উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া দেশব্যাপী হোম চার্জিং সুবিধা তৈরির পাশাপাশি বর্তমানে ব্যবহৃত পেট্রোল ও সিএনজি পাম্পগুলোতে কমার্শিয়াল ইলেক্ট্রিক চার্জিং সুবিধা স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক বিথিসহ ৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
৩ বছর আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় মাগুরায় অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম নিহত
অগ্রণী ব্যাংক মাগুরা প্রধান শাখার এজিএম মো. নজরুল ইসলাম (৫০) মঙ্গলবার রাতে মাগুরা থেকে ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে ইছাখাদা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নুল আবেদিন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাগুরা থেকে ঝিনাইদহ যাওয়ার সময় পেছন থেকে অপর একটি সাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নেয়ার পথে রাত ৮টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন:মার্চে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫১৩: আরএসএফ
এ ব্যাপারে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ নিহত ৪
নজরুল ইসলাম ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের মো. জোয়াদ আলীর ছেলে। তিনি ঝিনাইদাহ শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিচিত মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিভে গেল কলেজছাত্রীর জীবন প্রদীপ
৩ বছর আগে