আঞ্চলিক উদ্যোগ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও একটি বাধ্যতামূলক অগ্রাধিকার হিসেবে থাকায় এ বিষয়ে আঞ্চলিক বা বহুপাক্ষিক উদ্যোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'মানবাধিকার ইস্যুতে কাজের মাধ্যমে কানাডা এই ধরনের উদ্যোগে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশ সর্বদা এই দিক থেকে কানাডা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।'
আরও পড়ুন: উখিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ রোহিঙ্গা দোকান কর্মচারী নিহত
ড. মোমেন মঙ্গলবার রাতে `রোহিঙ্গা সংকট ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: প্রত্যাবাসন ও জবাবদিহিতা উদ্যোগে কানাডার ভবিষ্যত ভূমিকা' শীর্ষক ওয়েবিনারে এই মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরক্ষা ও মর্যাদার সাথে দেশে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কেবল আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই স্থগিত প্রত্যাবাসন বাস্তবে রূপ নিতে পারে।'
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ দফায় ভাসানচরের পথে ২৪৯৫ রোহিঙ্গা
কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডার সহযোগিতায় কানাডায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিসিবিএস) রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে প্রথম ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ডা. খলিলুর রহমান, সিনেটর মেরিলো ম্যাকফেডরান সিএম, হিদার ম্যাকফারসন, ব্র্যাড রেডেকপ, অধ্যাপক জন প্যাকার এবং ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রেজোলিউশনের অধ্যাপক নিউবার্গার-জেসিন প্রমুখ এই ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন।
অধিবেশনটির মডারেটর ছিলেন সিআরআরসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. কাওসার আহমেদ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
শিগগরই সমাধান না হলে রোহিঙ্গা সংকট বিস্তৃত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হতে পারে বলে বক্তারা জানান।
তারা বলেন, কানাডাকে অবশ্যই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে, কার্যকর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মিয়ানমারে বিনিয়োগ বন্ধ এবং আইসিজে মামলা সমর্থন করার বিষয়ে বাস্তব 'পদক্ষেপ' এবং প্রকৃত 'আগ্রহ' সহ পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বহুপাক্ষিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে হস্তক্ষেপ করতে সমমনাদের সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তারা জানান, তাদের পার্লামেন্টে কানাডার সরকারকে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ), যেখানে বাংলাদেশ ও কানাডা উভয়ই সদস্য, এর মাধ্যমে সমঝোতামূলক কূটনৈতিক সমাধানসহ সংকট নিরসনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, 'আচেহ মডেলটির সম্ভাবনা খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি কার্যকর সম্মেলনের অধীনে মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে।'
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
বক্তারা বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুদের 'হারানো প্রজন্ম' হিসেবে শিক্ষার চাহিদাও হারাতে হতে পারে।
৩ বছর আগে