মানবাধিকার ইস্যু
মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।
তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সে বিবেচনায় বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হার অনেক কম এবং দিন দিন পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটছে।’
উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে মূলত আলোচনা হয়েছে মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে। মানবাধিকার ইস্যুতে আমরা যেন তাদের সহযোগিতা করি, তারা এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছে। তাছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উত্তরণ ও বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের কাজেও তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যানজট নিরসনে রাস্তা ও পার্কিংয়ের স্থান বাড়ানোর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
তিনি বলেন, মানবাধিকার প্রতিনিধিদল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের পাঠানোর ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে যাচাই-বাছাই ও স্ক্রিনিং করে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছে। তবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ যে ভালো পারফর্ম করছে, সে বিষয়ে তারা প্রশংসা করেছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পুলিশ সংস্কার কমিশনে মানবাধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি যেন গুরুত্ব দেওয়া হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা আমাদের বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষী সুরক্ষা ও ভিকটিম সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছি। যদিও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে আমাদের সাহায্য করছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় এটি অনেক কম।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারে সহিংস পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আরও কিছু রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
সেজন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণে আমরা চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছি।
ভলকার তুর্কের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি অফিসের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান, জেনেভায় অবস্থিত অফিস অব দ্য ইউএন হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের (ওএইচসিএইচআর) এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন, মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি, মানবাধিকার কর্মকর্তা লিভিয়া কোসেঞ্জা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম, বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোস্তফা জামান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ৩২ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩ সপ্তাহ আগে
মানবাধিকার ইস্যুতে শিগগিরই ভালো খবর পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার বলেছেন, বাংলাদেশ শিগগিরই মানবাধিকার ইস্যুতে ভালো খবর পাবে।
বুধবার সিলেটে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধু। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চায়। বাংলাদেশ সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আরও বলেন যে মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে তারা।
তিনি বলেন, অবস্থানগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঘন ঘন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোজন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন
শান্তিরক্ষী নিয়ে অ্যামনেস্টির আহ্বান উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখনও একটি বাধ্যতামূলক অগ্রাধিকার হিসেবে থাকায় এ বিষয়ে আঞ্চলিক বা বহুপাক্ষিক উদ্যোগকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'মানবাধিকার ইস্যুতে কাজের মাধ্যমে কানাডা এই ধরনের উদ্যোগে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। বাংলাদেশ সর্বদা এই দিক থেকে কানাডা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।'
আরও পড়ুন: উখিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ রোহিঙ্গা দোকান কর্মচারী নিহত
ড. মোমেন মঙ্গলবার রাতে `রোহিঙ্গা সংকট ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: প্রত্যাবাসন ও জবাবদিহিতা উদ্যোগে কানাডার ভবিষ্যত ভূমিকা' শীর্ষক ওয়েবিনারে এই মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরক্ষা ও মর্যাদার সাথে দেশে ফিরতে উদগ্রীব হয়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়িত করা আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। কেবল আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই স্থগিত প্রত্যাবাসন বাস্তবে রূপ নিতে পারে।'
আরও পড়ুন: ৬ষ্ঠ দফায় ভাসানচরের পথে ২৪৯৫ রোহিঙ্গা
কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডার সহযোগিতায় কানাডায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিসিবিএস) রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে প্রথম ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ডা. খলিলুর রহমান, সিনেটর মেরিলো ম্যাকফেডরান সিএম, হিদার ম্যাকফারসন, ব্র্যাড রেডেকপ, অধ্যাপক জন প্যাকার এবং ইন্টারন্যাশনাল কনফ্লিক্ট রেজোলিউশনের অধ্যাপক নিউবার্গার-জেসিন প্রমুখ এই ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন।
অধিবেশনটির মডারেটর ছিলেন সিআরআরসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. কাওসার আহমেদ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন
শিগগরই সমাধান না হলে রোহিঙ্গা সংকট বিস্তৃত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিণত হতে পারে বলে বক্তারা জানান।
তারা বলেন, কানাডাকে অবশ্যই মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে, কার্যকর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং মিয়ানমারে বিনিয়োগ বন্ধ এবং আইসিজে মামলা সমর্থন করার বিষয়ে বাস্তব 'পদক্ষেপ' এবং প্রকৃত 'আগ্রহ' সহ পদক্ষেপ নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বহুপাক্ষিক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন বাস্তবায়নে হস্তক্ষেপ করতে সমমনাদের সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তারা জানান, তাদের পার্লামেন্টে কানাডার সরকারকে আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ), যেখানে বাংলাদেশ ও কানাডা উভয়ই সদস্য, এর মাধ্যমে সমঝোতামূলক কূটনৈতিক সমাধানসহ সংকট নিরসনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নেয়ার অনুরোধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তারা বলেন, 'আচেহ মডেলটির সম্ভাবনা খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি কার্যকর সম্মেলনের অধীনে মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদের অধিকারের নিশ্চয়তা দেবে।'
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না সৌদি আরব: শাহরিয়ার
বক্তারা বলেন, ক্যাম্পে বেড়ে ওঠা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শিশুদের 'হারানো প্রজন্ম' হিসেবে শিক্ষার চাহিদাও হারাতে হতে পারে।
৩ বছর আগে