বিসিএস কর্মকর্তা
বাংলাদেশ গড়তে উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধা কাজে লাগান: বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিসিএস কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও মেধাকে কাজে লাগাতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো করেছি (উন্নয়ন) তার ধারাবাহিকতায় আপনাদের সকলকে নতুন করে ভাবতে হবে। কিভাবে আপনাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে এই দেশকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে তার কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি নতুন বিসিএস ক্যাডারদের এই মর্যাদা সমুন্নত রাখতে বলেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশ আমূল পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি নবনিযুক্ত কর্মকর্তাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বলেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা জনসংখ্যা, অর্থনীতি ও সকল সামাজিক ব্যবস্থাকে স্মার্ট করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন।
এ সময় তিনি নবীন কর্মকর্তাদের ‘২০৪১ স্মার্ট বাংলাদেশ’- রূপকল্প বাস্তবায়নের সৈনিক হিসেবে বর্ণনা করেন; কারণ তারা পর্যায়ক্রমে সরকারি চাকরিতে উচ্চ পদে যাবেন।
তিনি বলেন, ‘তাই প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে কীভাবে একটি বিষয়কে আরও সুন্দর এবং ভালোভাবে করা যায় সে সম্পর্কে নতুন চিন্তাভাবনা করতে হবে।’
ইউক্রেন যুদ্ধ কখন থামবে তা জানা না থাকায় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসসহ সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়ীতা বজায় রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সারা বিশ্বে প্রতিটি পণ্যের দাম ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, দেশের সমগ্র জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সঞ্চয় করতে হবে, মিতব্যয়ী হতে হবে এবং সবকিছু ব্যবহারে মিতব্যয়ীতা দেখাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে প্রশাসনকে সম্পদের ব্যবহারে মিতব্যয়ী প্রয়োগ এবং দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে জনগণকে উৎসাহিত করতে বলেছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
কোভিড-১৯: জীবিকা ও জনস্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও জীবিকা নির্বাহের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত। আমরা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলতে পারি না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অপরিহার্য।'
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করুন: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিসিএস কর্মকর্তাদের ‘৭১তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি দেশের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।
কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় তরঙ্গের বিষয়ে তিনি বলেন, 'করোনাভাইরাস মহামারি আবার দেখা দিয়েছে এবং এখন আমরা তারই আঘাত দেখতে পাচ্ছি। যদিও আমরা তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, জনগণকে বাঁচাতে আমাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আমরা তা করব।'
মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এবং অন্যকে সুরক্ষিত করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নতুন ক্যাডারদের প্রধানমন্ত্রী তাদের কর্মক্ষেত্রে, যেখানে তারা যোগদান করতে চলেছে, প্রত্যেকে যেন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সে বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও মাস্ক পরিধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব শাইখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিপিএটিসি রেক্টর রাকিব হোসেন ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও বগুড়ায় ছয়টি কেন্দ্রে ৮৯ জন নারীসহ মোট ৩০৭ জন নতুন ক্যাডার এই কোর্সটিতে অংশ নেয় এবং তারা সকলেই সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করে।
৩১ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১৮ জন পুরুষ কর্মকর্তা এবং ১৩ জন নারী কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ কোর্সে কৃতিত্বের জন্য সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: জনসমাগমে বিধিনিষেধসহ কোভিডের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিমন্ত্রী প্রশিক্ষণ চলাকালীন অসামান্য দক্ষতার জন্য প্রথম তিন অংশগ্রহণকারীকে সার্টিফিকেট তুলে দেন।
অন্যান্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অংশগ্রহণকারীরা ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে