রাঙামাটি
না ফেরার দেশে রাঙামাটির ‘সাদা মনের মানুষ’ তিলোকানন্দ
সাদা মনের মানুষ উপাধিপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান ভিক্ষু মহাসংঘরাজ শ্রীমৎ তিলোকানন্দ মহাথেরো আর নেই। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে চিকিৎসা নিয়ে সড়ক পথে নিজ বিহারে ফেরার পথে মৃত্যু বরণ করেন।
ভান্তের বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮৬ বছর। ভান্তে দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ভান্তের লাশ বাঘাইছড়িতে তার নিজ বিহারে আনা হয়েছে এবং সংরক্ষণসহ বিহার কমিটির পরবর্তী সিদ্ধান্তনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভিক্ষু সংঘ থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা শেষে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভান্তে। তার চিকিৎসার জন্য যারা কায়িক, বাচনিক, মানসিক ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এসেছেন, তাদের প্রতি পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা ও আশীর্বাদ জানান।
তিনি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সুনামধন্য কাচালং শিশু সদনের অধ্যক্ষ, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশের চতুর্থ মহাসংঘরাজ, সাদা মনের মানুষ উপাধিপ্রাপ্ত। এ ছাড়া মিয়ানমার সরকারের কাছ থেকে অগ্রমহাপণ্ডিত উপাধিও পেয়েছেন তিনি। বহু প্রতিষ্ঠানের জনক, অসহায়দের অনাথ পিতা, মগবান শাক্য মনি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত
রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ‘আষাঢ়ী পূর্নিমা’ উদযাপিত
দীর্ঘ ৪৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে যাওয়া ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত পর্যটন ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘ ১ মাস ১৬ দিন পর ভেসে উঠেছে।
এতে পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুতে আগের দেওয়া পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরই মধ্যে পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি
রাঙ্গামাটিতে আগত পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতু। পাহাড়ের দুই দ্বীপ ও প্রকৃতিকে কাজে লাগিয়ে ৮০- এর দশকে তৈরি করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু। এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঝুলন্ত সেতু বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পর্যটন বোট ঘাটের ইজারাদার রমজান আলী জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বছরই সেতুটি হ্রদের পানিতে ডুবে যায়। এতে পর্যটন ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যাওয়া ঝুলন্ত সেতু পারাপারের টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এতে করে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে। আর পর্যটক না আসায় দেড় মাসেরও বেশি সময় পর্যটকবাহী বোটগুলোর চালকরা ঘাটে বসে দিন পার করতে হয়েছে। এতে অতি কষ্টে দিন পার করেছে। তবে সেতুটি ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এবার শীত মৌসুমে পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে গাছবোঝাই ট্রাক থামিয়ে চালককে গুলি
রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী আনসার ক্যাম্প এলাকা থেকে বিপন্ন প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পের পাশে পরিত্যাক্ত অবস্থায় বানরটিকে উদ্ধার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ছালেহ মো. শোয়াইব খানের নির্দেশনায় কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ বন বিভাগের সদস্যদের নিয়ে এই বানরটি অবমুক্ত করেন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় রাঙামাটি জেলা শহরের ভেদভেদি আনসার ক্যাম্পের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপন্ন এই প্রাণীটি দেখতে পান আনসার সদস্যরা।
পরে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জে সংবাদ দিলে, কর্মকর্তারা তাদের লোকবল দিয়ে এটি উদ্ধার করে কাপ্তাই রেঞ্জে বুঝিয়ে দেন।
পরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্দেশে লজ্জাবতী বানরটি রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করা হয়।
এই বন কর্মকর্তা বলেন, লজ্জাবতী বানর সাধারণত দিনের বেলায় চোখে দেখে না। রাতে চলাফেরা করে এবং খাদ্য খেয়ে জীবন ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, তাই এটাকে রাতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে এই নিয়ে চলতি বছরে তিনটি লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত করা হলো বলেও জানান তিনি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক এবং টেকসই ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাজ করে।
তাদের মতে জাতীয় উদ্যানের তালিকায় এই মহা বিপন্ন প্রাণীটির নাম নেই অথচ কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে প্রায়ই লজ্জাবতী বানর দেখেছেন বলে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বিপন্ন প্রজাতীর লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
লংগদুতে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
রাঙামাটির লংগদুতে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আড়াইটার সময় উপজেলার কালাপাকুজ্যা রশিদপুর এলাকার (কাপ্তাই হ্রদে) বড় বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হেলাল হোসেন (৩০) উপজেলার কালাপাকুজ্যা ইউনিয়নের রশিদপুর এলাকার পান্না মুন্সির ছেলে।
আরও পড়ুন: মতলব উত্তরে বজ্রপাতে কৃষক নিহত
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আড়াইটার সময় কালাপাকুজ্যার রশিদপুর এলাকার (কাপ্তাই হ্রদে) বড় বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় হঠাৎ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এ সময় হেলাল বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হেলাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মানসুরুর রহমান জানান, সোমবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে স্থানীয়রা বজ্রপাতে আহত হেলাল হোসেনকে হাসপাতাল নিয়ে আসে। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি-হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বজ্রপাতে নিহত ১
ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে শিশুর মৃত্যু
সাজেকে পর্যটকবাহী জিপ খাদে, নিহত ১
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের খাসরাং রিসোর্টের পাশে পর্যটকবাহী একটি জিপ (চাঁদের গাড়ি) (ময়মনসিংহ-ক ২২২) খাদে পড়ে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
জানা যায়, কংলাক পাহাড় থেকে ফেরার পথে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহত ফারদিন হাছান বিশালের (৩৫) বাড়ি ঢাকার শ্যামপুর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কংলাক পাহাড় থেকে ফেরার পথে পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। এসময় গাড়ীর নিচে চাপা পরে পর্যটক ফারদিন হাছান বিশাল (৩৫) নিহত হন।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এখনও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। তবে তাৎক্ষনিক অন্যান্য পর্যটকের পরিচয় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে রিকশাচালকের মৃত্যু
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ ও জেএসএস সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়েছে
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও জেএসএস (সন্তু লারমা) গ্রুপের সদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সন্তু লারমার নেতৃত্বে জেএসএস হলো সেই গোষ্ঠী যাদের সঙ্গে সরকার ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তিতে সই করেছিল। ইউপিডিএফ চুক্তির 'সন্দেহ' প্রকাশ করে এক বছর পরেই পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি দাপ্তরিক অবস্থান নিয়ে গঠিত হয়েছিল।
স্থানীয়দের মতে, রবিবার সন্ধ্যায় বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয় এবং প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে ব্যাপক উত্তেজনা অব্যাহত থাকে, এতে উভয় পক্ষ প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
গুলির শব্দে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত মাসে একই স্থানে তিনটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সাজেক অঞ্চলের ইউপিডিএফ সমন্বয়কারী আর্জেন্ট চাকমা জানান, জেএসএসের ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র ক্যাডার ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর অতর্কিত গুলি ছুড়তে শুরু করলেও ইউপিডিএফ পাল্টা জবাব দিলে পালিয়ে যায়।
একাধিকবার চেষ্টা করেও এ ঘটনায় মন্তব্যের জন্য জেএসএস সন্তু লারমা দলের নেতা ত্রিদীপ চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সাংবাদিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
রাঙামাটির পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৩ পুলিশ গুলিবিদ্ধ, চমেকে ভর্তি
রাঙ্গামাটির কাউখালীর পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং সেন্টার (পিএসটিএস) এ বার্ষিক ফায়ারিং প্রশিক্ষণের সময় একজন নারীসহ তিন পুলিশ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার বেতবুনিয়ায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কনস্টেবল মিনু আরা বেগম (আকবরশাহ থানা)), অভি বড়ুয়া (বাকলিয়া থানা) ও সুমন কান্তি দে (বাকলিয়া থানা)। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশিক্ষণের টিম লিডার সহকারী কমিশনার ডিবি (পশ্চিম) সিএমপি মো. তারেক আজিজ ও কাউখালী থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম বার্ষিক ফায়ার প্রশিক্ষণের জন্য বুধবার সকালে বেতবুনিয়া পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং সেন্টারে আসে তারা যথানিয়মে ফায়ারিং প্রশিক্ষণও শুরু করে। চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনসের নারী কনস্টেবল নারগিছ আক্তার ফায়ারিং শুরু করলে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেলে তার হাতে থাকা অস্ত্রও ঘুরে যায়। এতে তার হাতে থাকার অস্ত্রের গুলিতে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার নারী কনস্টেবল মিনু আরা, কনস্টেবল অভি বড়ুয়া ও সুমন দে শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলিবিদ্ধ হয়।
পড়ে অন্যান্য সঙ্গীয় ফোর্সরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তারা চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: চমেকে কিডনি ডায়ালাইসিসের ফি বৃদ্ধি: সড়ক অবরোধ করে রোগীদের বিক্ষোভ
চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীদের বিক্ষোভ
চমেক হাসপাতালের সেবা নিয়ে গণশুনানী করবে দুদক
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) শুভ বড়দিন। পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে বড়দিন উদযাপনে এখন উৎসবের আমেজ। পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষণীয় নানা রঙে সাজানো হয়েছে। গির্জায় গির্জায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
রাঙামাটি জেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল, নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে।
গির্জাগুলোও সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের ওপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারুকাজ।
এছাড়া শহরের তবলছড়ি বন্ধু যীশু টিলা গির্জায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এ উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালিরাও। আর বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে রাঙ্গামাটিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় উৎসবের সূচনা করবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করলেও এ বছর করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
আরও পড়ুন: রবিবার শুভ বড়দিন
রাঙামাটি শহরে সাতটি খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে। এরমধ্যে আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা ও রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গির্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিনের উৎসব পালনে ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লী গুলোতেও চলছে উৎসবের আমেজ। রাঙামাটিসহ কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা, বাঘাইছড়ি সাজেক ইউনিয়ন ও বিলাইছড়ির পাংখোয়া পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখোয়া ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড় দিন উদযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন করেছে প্রীতিভোজের।
অন্যদিকে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
খ্রিস্টান পল্লীগুলোর আশে-পাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রয় জানান, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ রূপে যীশু এসেছিলেন মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে। পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জেলা শহরসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। সৃষ্টি হবে সম্প্রীতি মেলবন্ধন।
দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করছে সকলে।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত
রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত
রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর উপজেলার রাঙ্গিপাড়ায় বুধবার প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
নিহত সুবাহু চাকমা ওরফে গিরি (৫৫) উপজেলার বিরাজ মোহন চাকমার ছেলে ও ইউপিডিএফের সহকারী পরিচালক।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন হালদার জানান, সকাল ৯টার দিকে ইউপিডিএফের কয়েকজন সদস্য গিরির ওপর গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ঘটনা তদন্তে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
সাজেকে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ১, আহত ১
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক চাকমা যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও এক যুবক আহত হয়েছেন। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের নিউলংকর দাড়ি পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুখেন চাকমা (২০) ওই এলাকার মঙ্গল চাকমার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল চালক।
আহত সজীব চাকমা (২২) ওই এলাকার বিধুমঙ্গল চাকমার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল চালক।
ঘটনার পর পরই আহত সজীব চাকমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় গ্রামবাসী।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আহত ও নিহত দু’জনেই পেশায় মোটরসাইকেল চালক ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে। তারা পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর সমর্থক বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান।
এদিকে, এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আরেক আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন জেএসএস সন্তু বাঘাইছড়ি উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা।
ত্রিদিপ চাকমা বলেন, আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সাজেক অঞ্চলের সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই।
এছাড়া নিউলংকর এলাকায় ইউপিডিএফ এর কোন কর্মকাণ্ড নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা
এটি জেএসএস-এর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানান তিনি।
বাঘাইছড়ি ও সাজেক থানার সার্কেল এএসপি, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরপরই এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
এলাকাটি খুবই দুর্গম। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, তাই কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাঘাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জনসমাবেশের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
তার দুইদিন আগে এমন ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সমাবেশকে ঘিরে বড় সংঘাতের আশঙ্কা করছে অনেকে। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: মাটিরাঙ্গায় গোলাগুলিতে আহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত