অসহায় পরিবার
চারঘাট-বাঘায় ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার নিজ নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘায় ১০ হাজার অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গতকাল (শনিবার) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চারঘাট ও বাঘা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রান্তিক পর্যায়ের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে ১০ হাজার ব্যাগ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এসব খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি ব্যাগে পাঁচ কেজি চাল, তিন কেজি আলু, আধা কেজি মসুর ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি চিনি, দুইশ’ গ্রাম সেমাই ও গুঁড়া দুধ রয়েছে।
চারঘাট-বাঘা এলাকা থেকে তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম অন্যান্য বছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষের মাঝে ঈদবস্ত্র হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
এছাড়া এবার চলমান বৈশ্বিক মন্দায় দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যখন কিছুটা কমে গেছে এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানারকম সহায়তা দিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
শনিবার শাহরিয়ার আলম রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ও মনিগ্রাম ইউনিয়নেও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় খাদ্যসামগ্রী সহায়তা পাওয়া খদেজা বেগম, আব্বাস আলী ও রশিদা বেওয়া বলেন, আমাদের মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম অনেক ভালো মানুষ। তিনি প্রতি বছর সরকারি অনুদান ছাড়াও বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগতভাবে আমাদের আর্থিক সহায়তা দেন। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেনো তাকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
রাতের আঁধারে অসহায় পরিবারের কাছে সহায়তা নিয়ে ছুটে যান ইউএনও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক রাতের আঁধারে এলাকার লকডাউনের কর্মহীন বিভিন্ন অসহায় পরিবারের কাছে সরকারি সহায়তা নিয়ে ছুটে যান।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক যোগদানের পর থেকে তার ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকাণ্ডে বেশ সাড়া পড়েছে নবীনগর উপজেলায়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় লকডাউন প্রচারণায় হামলার শিকার ইউএনও
লকডাউনের কর্মহীন প্রকৃত হতদরিদ্র ৭০টি অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, লবণ, চিনি ও ছোলা নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পৌঁছে দেন । এই সময়ে এসব পেয়ে খুশি কর্মহীন মানুষগুলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি বিত্তবানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সারাদিন কর্মব্যস্থতার পর সন্ধ্যা অথবা গভীর রাতে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের বাড়িতে হাজির হন তিনি।
আরও পড়ুন: সেই আলোচিত ইউএনও এবারও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে
সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলছেন, এটা অসহায়দের প্রতি তার নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই কেউ কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গরীব অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের প্রেমিক বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খুঁজে সাতজন ক্যান্সার আক্রান্ত শয্যাশায়ী রোগীকে আর্থিক অনুদান, ৬ জন প্রতিবন্ধীকে নগদ অর্থ ও এক সপ্তাহের খাবার, কাল বৈশাখী ঝড়ে ফসল নষ্ট হওয়া প্রান্তিক কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তুলে দিলেন এক সপ্তাহের ত্রাণসামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহযোগিতা। এভাবে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরেও মোট ৭০ জন অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে রাতে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন নবীনগরের ইউএনও ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
একরামুল ছিদ্দিক বলেন, 'ত্রাণ বিতরণকালে দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রকৃত অর্থেই খুব কষ্টে আছেন। সামান্য সাহায্য পেয়েও তারা খুশি হয়েছেন।'
তিনি জানান, তারা অনেকে না খেয়ে, আবার অনেকে দু-এক বেলা খেয়ে দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে মহাখুশি কর্মহীন মানুষগুলো।
৩ বছর আগে