নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস
রাতের আঁধারে অসহায় পরিবারের কাছে সহায়তা নিয়ে ছুটে যান ইউএনও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিক রাতের আঁধারে এলাকার লকডাউনের কর্মহীন বিভিন্ন অসহায় পরিবারের কাছে সরকারি সহায়তা নিয়ে ছুটে যান।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক যোগদানের পর থেকে তার ব্যতিক্রমী কিছু কর্মকাণ্ডে বেশ সাড়া পড়েছে নবীনগর উপজেলায়।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় লকডাউন প্রচারণায় হামলার শিকার ইউএনও
লকডাউনের কর্মহীন প্রকৃত হতদরিদ্র ৭০টি অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে তাদের বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, লবণ, চিনি ও ছোলা নিজে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পৌঁছে দেন । এই সময়ে এসব পেয়ে খুশি কর্মহীন মানুষগুলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি বিত্তবানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সারাদিন কর্মব্যস্থতার পর সন্ধ্যা অথবা গভীর রাতে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের বাড়িতে হাজির হন তিনি।
আরও পড়ুন: সেই আলোচিত ইউএনও এবারও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে
সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা বলছেন, এটা অসহায়দের প্রতি তার নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তাই কেউ কেউ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গরীব অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের প্রেমিক বলেও আখ্যায়িত করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খুঁজে সাতজন ক্যান্সার আক্রান্ত শয্যাশায়ী রোগীকে আর্থিক অনুদান, ৬ জন প্রতিবন্ধীকে নগদ অর্থ ও এক সপ্তাহের খাবার, কাল বৈশাখী ঝড়ে ফসল নষ্ট হওয়া প্রান্তিক কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তুলে দিলেন এক সপ্তাহের ত্রাণসামগ্রী ও নগদ আর্থিক সহযোগিতা। এভাবে সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পরেও মোট ৭০ জন অসহায় পরিবারকে খুঁজে খুঁজে রাতে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন নবীনগরের ইউএনও ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করলেন পুলিশের আইজিপি
একরামুল ছিদ্দিক বলেন, 'ত্রাণ বিতরণকালে দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। তারা প্রকৃত অর্থেই খুব কষ্টে আছেন। সামান্য সাহায্য পেয়েও তারা খুশি হয়েছেন।'
তিনি জানান, তারা অনেকে না খেয়ে, আবার অনেকে দু-এক বেলা খেয়ে দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে মহাখুশি কর্মহীন মানুষগুলো।
৩ বছর আগে