উপকূল
উপকূল, চর ও দুর্গম এলাকার উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার
দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নদীর তীর, উপকূল, চর ও পার্বত্য এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে উন্নয়ন কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
সংসদে উত্থাপিত একটি সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ‘সরকার এই অঞ্চলের জনগণকে অন্যান্য অঞ্চলের মতো একই মানের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছে।’
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) মাধ্যমে এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য স্বল্প খরচে জ্বালানি প্রাপ্যতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পারমাণবিক ও পুনর্নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহারের দিকে মনোনিবেশ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: কম রাজস্ব আদায় ঋণ ব্যবস্থাপনাকে বাধাগ্রস্ত করে: অর্থ মন্ত্রণালয়
নথিতে আরও বলা হয়েছে, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে উপকূলীয়, হাওর ও চরাঞ্চলের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে বরিশাল, চট্টগ্রাম (পার্বত্য এলাকা ব্যতীত) ও সিলেট বিভাগে আঞ্চলিক একাডেমি স্থাপনের মাধ্যমে কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেবে বার্ড।
পাশাপাশি পল্লী উন্নয়নের বিভিন্ন মডেল এবং দারিদ্র্য বিমোচনে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমে টেকসই পল্লী উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জামালপুর ও রংপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এছাড়াও উপকূল, হাওর ও চরাঞ্চলে লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, আকস্মিক বন্যা এবং বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য দুর্যোগ প্রভাব মূল্যায়ন (ডিআইএ) পদ্ধতি প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
দুর্যোগ সম্পর্কিত ঝুঁকি সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য একীভূত করে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে পরিকল্পনা করার আগে স্টেকহোল্ডারদের জানানোর জন্য এই নথি প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গৃহীত বিদ্যমান উদ্যোগের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি ডিজিটাল রিস্ক ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম (ডিআরআইপি) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নে দুর্যোগের বিষয়টি যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: আগামী ২ অর্থবছরে সহনীয় সীমার মধ্যে থাকবে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ
এছাড়াও এই প্ল্যাটফর্মের ফলে মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে বলে নথিতে বলা হয়েছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে যেখানে স্যাটেলাইট পরিষেবা অসম্ভব, সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার / মাইক্রোওয়েভভিত্তিক ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের ব্যাপারে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
পাশাপাশি, বন্যাপ্রবণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত দ্বীপগুলো যেখানে মৌলিক পরিষেবার অভাব রয়েছে, সেসব জায়গায় পরিষ্কার পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক অবকাঠামো ‘ওয়াশ’ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও পরিষেবার মান বাড়াতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে আর্সেনিক/লোহা অপসারণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে উন্নত প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে পানির ঘাটতি মোকাবিলা করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও প্রধান প্রধান নদীপথগুলোর স্মার্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাঁধ পুনর্নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও নাব্য বৃদ্ধির গুরুত্ব অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া এসব অঞ্চলে চরম দারিদ্র্য মোকাবিলা করতে চর উন্নয়ন বোর্ড গঠন ও সুনির্দিষ্ট জীবিকা কর্মসূচির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়ায় ক্ষতির মুখে বিপিডিবি
১৯৯৭ সাল থেকে ৮ লাখ ৪১ হাজারের বেশি পরিবার আবাসন ও ভূমি সহায়তা পেয়েছে, যার ফলে ৪২ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তি উপকৃত হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, 'দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান' প্রকল্পসহ বেশ কয়েকটি সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে, যা বিশেষত দরিদ্র অঞ্চলে বার্ষিক ৮ লাখ ব্যক্তিকে ৮০ দিনের কর্মসংস্থান দিয়েছে।
এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরও আধুনিক ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর কাজ চলছে।
জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে দায়িত্ব সুর্নিদিষ্টভাবে ভাগ করে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেন্দ্রীয় সরকারের যেসব কাজ দেওয়া যেতে পারে সেগুলো হস্তান্তরের উদ্যোগ চালিয়ে যেতে কাজ করছে সরকার।
আরও পড়ুন: রিজার্ভের পরিসংখ্যানের ভিন্নতা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারকে অস্থিতিশীল করছে
৬ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম উপকূলে লবণবাহী ৪ ট্রলারডুবি
বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকায় বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ৪টি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হয়েছে ট্রলারে থাকা ৩০ জন মাঝি-মাল্লা।
বুধবার (৮ মে) দুপুরে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ এখনও নিখোঁজ কনস্টেবল, পরিবারে চলছে আহাজারি
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সকালে কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী এলাকা থেকে লবণ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে আসার পথে বঙ্গোপসাগরে প্রবল ঝড় ও ঢেউ এ আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার।
এসময় প্রচণ্ড দমকা হাওয়ায় উল্টে সাগরে ডুবে যায় লবণবাহী ট্রলার ও মাঝি মাল্লাররা। পরে খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। চারটি ট্রলার ৩০ জনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মাঝি মাল্লাররা সুস্থ রয়েছে।
বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক বলেন, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে আরও কয়েকটি ট্রলার ডুবে যায়। কূলের কাছাকাছি হওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি। সবাই কূলে উঠে গেছে। তবে ট্রলার ডুবে লবণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করে ১২ জনকে উদ্ধার করি।
পরে চারটি ট্রলারও চিহ্নিত করা হয়। এখন তীরে তোলার জন্য কাজ চলছে। এছাড়া কোস্টগার্ডও আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে আর নিখোঁজ কেউ নেই।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপকূলে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবেছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯
মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ
আফ্রিকার দেশ লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দিবাগত (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৪টার দিকে। নৌকাটি লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নৌকায় চালকহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন। জীবিত আছেন ৪৪ জন।
জীবিতদের মধ্যে- বাংলাদেশের ২৭ জন, পাকিস্তানের ৮ জন, মিশরের ৩ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিশরের ১ জন। মিশরের ওই ব্যক্তি নৌকা চালাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৯৩৭০ প্রবাসী বাংলাদেশি ২৬ দেশে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশের এবং অন্যজন পাকিস্তানের।
৮ বাংলাদেশি হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সজল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মামুন সেখ, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দাদনের ছেলে রিফাত, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাসেল ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মো. পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭ জন পাসপোর্ট ছাড়া ভ্রমণ করছিলেন।
আরও পড়ুন: ২৩ বাংলাদেশির ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে ভারতের আদালতে
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
১০ মাস আগে
উপকূলে ‘সুন্দরবন দিবস’ পালন
১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলের মানুষ দিনটিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসেবে পালন করে।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষায় খুলনাসহ উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দশক ধরে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠন ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করে প্রতিবছর তা পালন করে আসছে।
সুন্দরবনসংলগ্ন পাইকগাছা উপজেলার বাসিন্দা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের বেঁচে থাকার বিরাট অনুষঙ্গ। সুন্দরবন দক্ষিণ এশিয়ার ফুসফুস। এটা রক্ষা করতে না পারলে আমাদের দেশ একটা বিরাট সংকটের সম্মুখীন হবে। তাই সবার আগে সুন্দরবনকে ভালোবাসতে হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে সুন্দরবন দিবস।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি বিদেশ রঞ্জন মৃধা বলেন, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা উপকূলের মানুষকে সুন্দরবনকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করতে চাই। অনেকেই বুঝতে পারছে না সুন্দরবনের কী ক্ষতিটা হচ্ছে। লবণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এখন সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ নেই। সেখানে গরান, গেওয়া, কেওড়া বাড়ছে। সুন্দরবনের পানি ও মাটিতে পরিবর্তন এসেছে। এই সুন্দরবন না থাকলে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে কয়রা উপজেলার নাম–নিশানা মুছে যেত।’
সুন্দরবনসংলগ্ন মহিশরীপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কেরামত মাওলা বলেন, ‘এখন আমাদের সুন্দরবনের পাশের নদীতেও সেভাবে মাছ পাওয়া যায় না। মুনাফালোভীরা সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য বিষ দিয়ে প্রাণী হত্যা করছে। আগে যে সংখ্যক হরিণ দেখা যেত, সেটা এখন দেখা যায় না। বিষ দিয়ে মাছ ধরার বিষক্রিয়ায় শূকর, বাঘ ও অন্য প্রাণীরা হুমকির মুখে পড়ে। গোলপাতা আহরণকারীরা ৫০০ মণের পারমিট নিয়ে কয়েক হাজার মণ পাতা কাটে। আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের এসব বিষয়ে সুন্দরবন দিবসে সচেতন করতে চাই।’
বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, সুন্দরবনে ৫ হাজার প্রজাতির সম্পূরক উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ আছে। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সমগ্র দেশের পরিবেশ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুই কোটি মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থাও সুন্দরবনের উপর কমবেশি নির্ভরশীল। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের প্রাকৃতিক এই সুরক্ষা দেয়ালকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়, এমন যেকোনো কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসতে হবে।
উল্লেখ করা যায় সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুন্দরবন অতুলনীয় ও জীববৈচিত্র্যে অসাধারণ। এটি শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছে নয়, বিশ্বের প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
১০ মাস আগে
মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১ দশমিক ২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ দশমিক ২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুরে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে এবং আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জন নিহত
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: সন্ধ্যা নাগাদ মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়, যা আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রাপ্ত আজ দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অভিভারি (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে: প্রতিমন্ত্রী
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার বা এর বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামানোর নির্দেশ
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় হামুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' দুর্বল হয়ে উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আগামী ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে কুতুবদিয়ার কাছে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, উপকূলের বাসিন্দাদের নিকটবর্তী সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' আজ রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'হামুন' পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- ঘূর্ণিঝড়টি আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়েছে, যা আরও পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আজ রাত নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার বা তার বেশি) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার নির্দেশ
অধিদপ্তর বলেছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯ টা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: চট্টগ্রামে প্রস্তুত রয়েছে ২৯০টি মেডিকেল টিম
আরও বলা হয়েছে- প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চাল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধ্বস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় হামুন: খুলনায় ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত
১ বছর আগে
‘বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৭.৯৫ শতাংশ পর্যন্ত তলিয়ে যাবে’
পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে এই শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ দশমিক ৩৪ থেকে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ পানির নিচে চলে যাবে।
রবিবার সংসদে একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন ৯ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ‘প্রজেকশন অব সি লেভেল রাইজ অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্টস অব ইটস সেক্টরাল (কৃষি, পানি ও অবকাঠামো) ইমপ্যাক্টস’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রকল্প সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ মোকাবিলায় ন্যাপ এ চিহ্নিত ১১৩ টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এতে দেখা যায় যে বিগত ৩০ বছরে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার বছরে প্রায় ৩ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার’।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দ্রুত ও ব্যাপক পদক্ষেপ না নিলে আগামী দুই দশকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প পর্যায়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে, যা ২১০০ সালের মধ্যে ৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে পারে।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণে অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলে যাওয়ার হারও বহুগুণ বেড়েছে বলে জানান তিনি।
১৯৯০-এর দশকের তুলনায় এখন দ্রুত গতিতে বিশ্বের বরফ গলছে। ২০২১ সালে 'দ্য ক্রায়োস্ফিয়ার' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বের মোট সমুদ্রের বরফ, আইসবার্গ এবং হিমবাহের প্রায় ২৮ ট্রিলিয়ন টন গলে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে তিন দশক আগে বরফ গলে যাওয়ার হার এখন ৫৭ শতাংশ দ্রুতগতির।
মন্ত্রী বলেন যে নাসা গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্টার্কটিকার বরফ প্রতি বছর গড়ে ১৫০ বিলিয়ন টন হারে গলে যাচ্ছে এবং গ্রিনল্যান্ডের বরফ প্রতি বছর গড়ে ২৭০ বিলিয়ন টন হারে গলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনা অনুসরণে দেশে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
শাহাব উদ্দিন বলেন, জার্মানওয়াচের প্রকাশিত গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০২ অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম, যদিও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বাংলাদেশের ভূমিকা নগণ্য।
প্রধানত শিল্পোন্নত এবং বৃহৎ উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিশ্বের প্রধান দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমানো এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
যাইহোক, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে, সরকার ইতোমধ্যেই বিশদ পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্রিটেনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় এবং রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বএয় দুর্বল হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা সামান্য দুর্বল হয়ে পড়েছে, মিয়ানামারের স্থলভাগে অবস্থান করছে: বিএমডি
এছাড়া, চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিনে ১০০ কিমি. বেগে বাতাস বইছে
১ বছর আগে