কোরিয়া
দক্ষ কর্মী তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিতে চায় কোরিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে দক্ষ কর্মী গড়তে ১০০ কোটি টাকার সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা)।
রবিবার (৭ জুন) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে কোইকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, কোইকা চট্টগ্রামের বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন ও চাহিদানির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়তে আর্থিক সহায়তা করবে বলে প্রস্তাব করেছে। আমরা প্রস্তাবটিকে ভালো মনে করছি। এজন্য দ্রুত তাদের প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছি।
প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষ জনবল গড়তে কোরিয়ার এ ধরনের সহযোগিতার প্রস্তাব আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরও যুগোপযোগী করবে। এসব কেন্দ্র আমাদের জনবলকে দক্ষভাবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, বিএমইটিয়ের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিম।
আরও পড়ুন: ভিসার সময় বাড়াতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
কোরিয়া বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোরিয়া এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ইয়ুন-এর চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা কোরিয়া সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোরিয়া সরকারের সহযোগিতার পরিমাণ বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের কালুরঘাট পয়েন্টে কর্ণফুলী নদীর ওপর যৌথ রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণে অর্থায়নের চুক্তি সইয়ের জন্য ইউনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'এই সেতু নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মাতারবাড়ি (সোনাদিয়া) গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য একটি প্রশস্ত করিডোর তৈরি করবে।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পে সহজ শর্তে অর্থায়নের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার দু'বার কোরিয়া সফরের কথাও স্মরণ করেন।
২০১০ সালের সফরটি তিনি আন্তরিকভাবে স্মরণ করেন। তিনি সেসময় কোরিযা প্রজাতন্ত্রকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত একটি 'বিশেষ বন্ধু' বলে অভিহিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে রাসেলস ভাইপার সাপ না মারার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় তার সফল সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি তার এই সফরকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচনা করেন কারণ তিনি বাংলাদেশের চলমান প্রধান উন্নয়ন যাত্রা প্রত্যক্ষ করেন।
কোরিয়ান এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি, চলমান উন্নয়ন পরিক্রমা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।
তিনি দারিদ্র্য বিমোচন এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে সম্পূর্ণরূপে উত্তরণে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ইয়ুন বাংলাদেশে কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কারিকুলামে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান আনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল ইডিসিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড) এবং ইডিপিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফান্ড)’র আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তারা বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা ও অর্থায়নের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইয়ুন এই সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, মানব মূলধন হিসেবে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুবক রয়েছে। অন্যদিকে কোরিয়ান প্রজাতন্ত্র তার ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যার কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ এই চ্যালেঞ্জটি কাটিয়ে উঠতে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। যেটি সর্বোপরি উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে। এই সহযোগিতার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে শ্রোতাদের মধ্যে ইতিবাচকতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ইয়ুন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদারে তার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে প্রস্তাবটি শেখ হাসিনা উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে তার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
তিনি দু'দেশের জনগণের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব বলেন, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বৈঠক শেষ করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ইআরডি সচিব মো.শাহরিয়ার কাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ বাবদ ৩১৫ কোটি টাকার চেক গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
বাংলাদেশ হলো ‘গোল্ডেন মাইন ফর রিসার্চ’: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘জনবহুল দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ হলো গোল্ডেন মাইন ফর রিসার্চ। বিশেষ করে মলিক্যুলার লেভেল অব দ্য ক্যান্সার রিসার্চের জন্য। এ বিষয়ে কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ গবেষণা করতে পারে বাংলাদেশ।’
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথ উদ্যোগে গবেষণা পরিচালনা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে ইউনিভার্সেল হেলথ্ কেয়ারে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জাপানের মতো কোরিয়ায়ও বাংলাদেশি নার্স পাঠাতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রত্যাশা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে কাজ করতে আগ্রহী ইউনিসেফ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাপানে ইতোমধ্যে ২৫ জন নার্স পাঠানো হয়েছে। আরও ৫০ জন নার্স পাঠানোর জন্য পাইপলাইনে আছেন।
এ সময় তিনি জরুরি রেসপন্স, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও জয়েন্ট রিসার্চ চালুতে এবং মধ্য আয়ের মানুষের জন্য কোরিয়ার সহযোগিতায় আগারগাঁওয়ে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশাল হসপিটাল নির্মাণ উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশ-কোরিয়ার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
কাল ঢাকায় শুরু হচ্ছে কোরিয়া ফিল্ম অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল
বাংলাদেশে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসের আয়োজনে বার্ষিক কোরিয়ান চলচ্চিত্র ও পর্যটন উৎসব ২০২১ বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান অডিটোরিয়ামে এই উৎসব চলবে।
২০১৯ সালের জনপ্রিয় কোরিয়ান চলচ্চিত্র ‘প্যারাসাইট’ এর প্রিমিয়ারের মাধ্যমে ২০২১ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হবে। ২০১৯ সালে একাডেমি পুরস্কারের ৯২ বছরের ইতিহাসে সেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে এই সিনেমাটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে পুরষ্কার বিজয়ী বাংলাদেশের তরুণদের পক্ষ থেকে কে-পপ পরিবেশনাও থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
২৪-২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে মোট পাঁচটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।দেখানো হবে বিশ্ব-বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘প্যারাসাইট’, মাল-মো-ই: দ্য সিক্রেট মিশন। দ্য সিক্রেট মিশন একটি সত্য গল্পের উপর ভিত্তি করে এমন একটি চলচ্চিত্র যেখানে বিদেশি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তাদের কোরিয়ান মাতৃভাষাকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা লোকদের চিত্রিত করা হয়েছে।
এই উৎসবের জন্য নির্ধারিত অন্যান্য সিনেমা হল- `কিম জি-ইয়ং, বর্ন ১৯৮২’, #এলাইভ, এবং `রেড শুস অ্যান্ড দ্য সেভেন ডোয়ার্ফস’।
আরও পড়ুন: প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের স্মরণ করল ‘বঙ্গীয় সাহিত্য সংসদ’
পর্যটন উৎসবের দর্শনার্থীরা ভার্চুয়াল ট্যুর, কোরিয়ান লোক খেলা, হ্যানবক ওয়ারিং, ডালগোনা ক্যান্ডি তৈরি, তাৎক্ষণিক ফটোশুট এবং মিউজিয়ামে কোরিয়া কর্নারসহ বিভিন্ন লাইভ কার্যক্রম উপভোগ করতে পারবেন।
উৎসব সম্পর্কে আয়োজকরা বলেছেন, এখন আমরা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইভেন্টটি পুনরায় শুরু করতে পেরে খুব খুশি এবং কোরিয়ান চলচ্চিত্র এবং এর বাইরেও আগ্রহ মেটাতে প্রস্তুত।
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড: আইওএমকে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছে কোরিয়া
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানবিক সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রজাতন্ত্র কোরিয়া সরকার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির মতে, ২২ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের কারণে কক্সবাজারের কুতুপালং বালুখালী এলাকায় অবস্থিত ক্যাম্প নং ৯, ক্যাম্প নং ৮ই এবং ক্যাম্প নং ৮ ডাব্লিউ-তে প্রায় ১০,১০০টি বাসস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং এর ফলে প্রায় ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১
কোরিয়ান সরকারের এই সহযোগিতা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ এবং এলপিজি বিতরণ, ল্যাট্রিন এবং স্নান ব্যবস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্র ও বাসস্থান পুনঃনির্মাণে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে সহায়তা করবে।
২০১৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের প্রাদুর্ভাবের পরে, মানবিক সহায়তাস্বরূপ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রজাতন্ত্র কোরিয়া ইউএনএইচসিআর, ইউনিসেফ, আইওএম, ডব্লিউএফপিএবং আইএফআরসি-র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বার্ষিক চার থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ডলার দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
প্রজাতন্ত্রের কোরিয়া দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে নিবিড় সহযোগিতার মাধ্যমে মানবিক সঙ্কট এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চূড়ান্ত প্রত্যাবাসন মোকাবিলায় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
৩ বছর আগে