সংগীতশিল্পী মিতা হকের মৃত্যু
রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই। তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর।
রবিবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত জটিলতায় তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে এবং ৩১ মার্চ তাকে বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে কয়েকদিন আগে মিতা হকের করোনা নেগেটিভ আসায় বাসায় নেয়া হয়। শনিবার রাতে তার রক্তচাপ কমে যায় এবং তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে ভেল্টিনেশনে রাখা হয়।
হক কিডনি রোগেও ভুগছিলেন এবং নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতেন।
সকাল ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মিতা হকেরমরদেহ ছায়ানটে নেয়া হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় এনটিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদকের মৃত্যু
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন মিতা হক।
চাচা রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন ও উস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শিখেছেন তিনি।
১৯৯০ সালে প্রকাশ হয়েছে তার প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। এরপর বাংলাদেশ ও ভারত থেকে মোট ২৪টি অ্যালবাম প্রকাশ হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় বগুড়ায় আরেক প্রবীণ সাংবাদিকের মৃত্যু
মিতা হক ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করতেন।
২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন তিনি। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে।
মিতা হকের স্বামী প্রখ্যাত অভিনেতা খালেদ খান ২০১৩ সালে মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে জ্বর-সর্দি নিয়ে সাংবাদিকের মৃত্যু
করোনায় কক্সবাজারে সিনিয়র সাংবাদিকের মৃত্যু
এদিকে, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হকের মৃত্যুতে রবিবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
৩ বছর আগে