হেফাজত নেতা
হেফাজত নেতা মামুনুলের ২ মামলায় জামিন আপিল বিভাগে বহাল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় তিন বছর থেকে জেলে আছেন মামুনুল হক। এ দু’টি মামলায় আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করেননি। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ লোকজন।
পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজত ও মাদরাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে হেফাজতের নেতা–কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান নেতা-কর্মীরা।
এরপর একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর, রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুরসহ বেশ কিছু অভিযোগে পৃথক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁও থানায় করা দুই মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগ দু’টি মামলায় তার জামিন বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে আহমদ শফির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত বাবুনগরী
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতের নিজের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসা কবরস্থানে হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির কবরের পাশেই শায়িত হলেন হেফাজতের সদ্য প্রয়াত আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে হাটহাজারী মাদরাসা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ইমামতি করেন বাবুনগরীর মামা এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী। এসময় দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ
এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বক্তব্য দেন।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরাসা কবরস্থানে হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন। তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
এদিকে, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজাকে ঘিরে মানুষের ভিড়ের কারণে রাত ১০টার পর থেকেই হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
৩ বছর আগে
হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ
হেফজাতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনটির শুরা কমিটির বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে হেফাজত নেতা মুফতি ফারুক গ্রেপ্তার
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস জানান, বৃহস্পতিবার রাতে শুরা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ শুরুর আগে মাদরাসার মাইকে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম এই ঘোষণা করেন। মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী এর আগে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। সম্পর্কে তিনি সদ্য প্রয়াত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী।
৩ বছর আগে
বিশ্বনাথে হেফাজত নেতা মুফতি ফারুক গ্রেপ্তার
সিলেটের বিশ্বনাথে রামপাশা ইউনিয়নের জমসেরপুর-ধলীপাড়া গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রধান অভিযুক্ত হেফাজত নেতা মুফতি ফারুক আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মুফতি ফারুক আহমদ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের জমশেরপুর গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে ও আমতৈল জামেয়া দারুসসুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, এসআই নূর হোসেন ও আফতাবউজ্জামন রিগ্যানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুফতি ফারুক আহমদকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বুধবার ফারুক আহমেদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
জানা গেছে, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে পিকেটিং করার জের ধরে বিশ্বনাথের বৃহত্তর আমতৈলের জমসেরপুর ও ধলিপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের ঘটনায় হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে ধলিপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে নাজমুল ইসলাম শিপু বাদী হয়ে ৬২ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞানামা অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা দায়েরের পর থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত মুফতি ফারুক আহমদ পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ৬
ফারুক আহমদকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান।
৩ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদত্যাগ করা হেফাজত নেতা আব্দুর রহিম কাসেমী গ্রেপ্তার
ঢাকা, ০৪ মে ( ইউএনবি)- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত কর্মী-সমর্থকদের বিচার চেয়ে পদত্যাগ করা সংগঠনটির জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে জেলা শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার সাবেক শিক্ষক ছিলেন।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশের একটি দল শহরের ভাদুঘর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তান্ডবের ঘটনা তদন্ত করে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য হোফাজতে ইসলামের চালানো তাণ্ডবের ঘটনার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচার চেয়ে গত ২৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করেন আব্দুর রহিম কাসেমী।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কওমী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ৬
ওইদিন সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম কাসেমী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলাম সম্মত হতে পারে না। সেখানে তিনি যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জনিয়েছিলেন।
৩ বছর আগে
হেফাজত নেতা হারুন ইজহার ৯ দিনের রিমান্ডে
চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত হওয়া কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুল মাদানী রিমান্ডে
পুলিশ জানায়, গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দুই মামলা ও গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর করা মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মুফতি হারুন ইজহার বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও লালখান বাজার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে।
আরও পড়ুন: সালথায় সহিংসতা: উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিমান্ডে
হারুন ইজহারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নেজাম উদ্দীন নিজা বলেন, মুফতি হারুন ইজহারকে হাটহাজারী থানার এক মামলায় ৭ দিন করে ৩ মামলায় মোট ২১ দিনের রিমান্ডে নিতে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে এক মামলায় ৩ দিন করে মোট ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মামুনুল ৭ দিনের রিমান্ডে
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে নগরীর লালখান বাজার জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার বাসা থেকে মুফতি হারুন ইজহারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আঞ্জুমান আরার ভার্চুয়াল আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৩ বছর আগে
সিলেটে হেফাজত নেতা মুফতি মাসউদ গ্রেপ্তার
সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি মাওলানা মাসউদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তিনি জকিগঞ্জ উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শাহবাগ জামিয়া মাদানিয়া ক্বাসিমুল উলুম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতমিম (ভাইস প্রিন্সিপাল) ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
শুক্রবার ভোররাত ৩ টায় জকিগঞ্জস্থ বারহাল কচুয়ায় তার নিজ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় দায়ের করা পুলিশের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় এর আগে আরও ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টায় জকিগঞ্জের বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রাম জামে মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলামের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে একটি মিছিল বের হয়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লকডাউন চলা অবস্থায় বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করায় তখন ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
এ ঘটনায় পরদিন ২০ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও হেফাজতে ইসলামের প্রায় ৩০-৩৫ জন অজ্ঞাত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় মাওলানা মুফতি মাসউদকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
৩ বছর আগে
হেফাজত নেতা কুরবান আলী কাসেমী ঢাকায় গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির সহ সভাপতি ও খেলাফতে মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কুরবান আলী কাসেমীকে মঙ্গলবার ঢাকার বাসাবো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কশিনার (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম জানান, বিকাল সাড়ে ৫টায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইসলামপন্থী নেতাকে গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে ১৮ এপ্রিল হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
গত মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত সমর্থকদের সহিংস কর্মকোণ্ডের পর সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নেতার মধ্যে রয়েছেন হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জুনায়েদ আল-হাবিব, সহকারী মহাসচিব জালালউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর শাখার সহ সভাপতি মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, সহ প্রচার সম্পাদক শরিফুল্লাহ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
৩ বছর আগে
হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে রবিবার দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখারুল ইসলাম জানান, পুলিশ, গোয়েন্দা শাখা ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল দুপুরে জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের আরও ৭ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির তেজগাঁও ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার হারুনুর রশিদ বলেন, ‘২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানায় ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ ছাড়া মামুনুলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সাম্প্রতিক মোদি বিরোধী আন্দোলনের সময় সহিংস ঘটনাসহ ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন মামুনুল হক।
এর আগে শনিবার গোয়েন্দারা রাজধানীর বারিধারা ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের আরও শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
৩ বছর আগে
হেফাজত নেতা ইসলামাবাদী গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার মো. মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে হেফাজত নেতা লোকমান হোসেন আমিনী আটক
রবিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আটকের পর তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম-কমিশনার জানান, ২০১৩ সালে ৫ মে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ থেকে জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুরের ঘটনায় দাযের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় হেফাজতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ ছাত্রলীগের
এদিকে, গতকাল রাত থেকে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান জেফাজত নেতারা ও তার পরিবার। তাদের দাবী রবিবার হাটহাজারীস্থ হেফাজতে ইসলামে সভায় যোগদান শেষে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দ্যেশে রওনা হওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ মিলছে না।
হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হাটহাজারী থেকে গত রাতে গুম হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। নিরপরাধ মানুষকে এভাবে গ্রেপ্তার ও হামলা মামলা বরদাশত করা হবে না।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ‘গোপন বৈঠকের’ সময় জামায়াত ও হেফাজতের ৯ নেতা গ্রেপ্তার
সোমবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বীগ্ন ও চিন্তিত। এবং নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে হেফাজতের সহ-অর্থ সম্পাদক মুফতী ইলিয়াস হামিদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকেও মুক্তি দিতে হবে। হেফাজতে ইসলাম দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা চায়। তবে জুলুমবাজদের জুলুমে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।'
৩ বছর আগে