উপহারের ঘর
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেয়ে মহা খুশি হাজেরা
মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পেয়ে ভাগ্য বদলেছে সেই হাজেরা খাতুনের। এখন আর তাকে থাকতে হয় না অন্যের জমিতে। কাজ করে যা উপার্জন করেন তা দিয়ে তিনবেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারেন স্বামী-সন্তান নিয়ে।
আরও পড়ুন: মুজিববর্ষে খুলনায় ঘর পাচ্ছেন আরও ১৩৫১ গৃহহীন
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার হাজেরা খাতুনের কয়েকমাস আগেও দিনের পর দিন কেটেছে না খেয়ে। কখনও হোটেলে কাজ করে কখনও বা অন্যের জমিতে কাজ করে যা উপার্জন করতেন, তা দিয়েই কাটাতেন বছরের পর বছর। ঘর বলতে ছিল না কিছুই। অন্যের জমিতে থাকাই ছিল ভাগ্যের নিয়তি, এমনটাই মেনে নিয়েছিলেন হাজেরা খাতুন।
হাজেরা খাতুন জানান, আগে তিনি এবং তার স্বামী যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে মৌলিক চাহিদাগুলোই পূরণ করা সম্ভব হতো না। কিন্তু ঘর পাওয়ার পর তাদের দুজনের উপার্জন থেকে যা আসে তা দিয়েই ভালোভাবেই চলতে পারেন। চাল-ডাল কিনে ঘরে রাখতে পারেন। ছেলেমেয়েরাও আর আগের মতো অভুক্ত থাকে না। শেষজীবনে ভাগ্যে এমন আমূল পরিবর্তন আসবে, এটা তিনি কখনও কল্পনাও করেননি বলে জানান।
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের গৃহ দেয়া মানবাধিকারের অনন্য মাইলফলক: স্পিকার
এ বিষয়ে মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, মহম্মদপুর উপজেলায় জমিও নেই ঘরও নেই, এমন পরিবার রয়েছে ২৮৭টি। তাদের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জমি ও ঘর দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঘর পেয়ে ছিন্নমূল মানুষেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে