কন্টেইনার
খালি কন্টেইনারে সিঙ্গাপুর যাওয়ার চেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালি কন্টেইনারের ভিতরে লুকিয়ে অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগে লিটন মোল্লা (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) তাকে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এনে পুলিশে সোপর্দ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গ্রেপ্তার লিটন মোল্লা পেশায় একজন ড্রাইভার।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা জানান, শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের পরিদর্শক নাছির উদ্দিন আহমেদ বাদি হয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে থানায় সোপর্দ করেছেন।
তিনি বলেন, লিটন মোল্লা অবৈধভাবে কন্টেইনারের ভেতরে লুকিয়ে সিঙ্গাপুর যাত্রা করেন। জাহাজ যখন মাঝ সাগরের পথে লিটন ক্ষুধা-তৃষ্ণায় খাবার খুঁজতে কন্টেইনারের বাইরে আসেন। এসময় জাহাজের ক্রুদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাকে আটক করে জাহাজের ক্যাপ্টেন হাই ফং’র হেফাজতে রাখেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, অভিযুক্ত লিটন গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় তার ভোটার আইডি কার্ড, ছবি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি জমা দিয়ে বন্দর গেইট পাস পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কিশোরের পুকুরে ডুবে মৃত্যু
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে তাকে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় বন্দরে প্রবেশ কার্ড ইস্যু করেন। তার নামে ইস্যুকৃত গেইট পাস দিয়ে ওই দিন চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি-২ গেট দিয়ে বিকাল ৫টা ২৩ মিনিটে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করেন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, লিটন এমভি হাইয়ান ভিউ নামক জাহাজের পিছন দিয়ে রেলিং বেয়ে উঠে জাহাজে করে অবৈধ উপায়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য উক্ত জাহাজের খালি কন্টেইনারের ভিতরে লুকিয়ে থাকে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত লিটনের কাছ থেকে বন্দর প্রবেশের একটি কার্ড, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, নগদ ৩ হাজার টাকা, একটি বাটন মোবাইল সেট ও একটি ওয়ালেট জব্দ করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালি কনটেইনারের ভেতর লুকিয়ে গত ১৩ বছরে ১০ বারে ১১ জন বিদেশে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৯জনকে জীবিত ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে এমন ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
১ বছর আগে
ভাসানচরে দুর্ঘটনার কবলে কন্টেইনারবাহী জাহাজ
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভাসানচরে দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস। এতে মালামাল ভর্তি ৩টি কন্টেইনার সাগরে ভেসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সূত্রে এ এ তথ্য জানানো হয়। জাহাজটি উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর জানায়, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে কনটেইনারবাহী জাহাজ পানগাঁও এক্সপ্রেস আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। এ সময় জাহাজটি কাত হয়ে গেলে ৯৬ টিইইউসের মধ্যে তিনটি কনটেইনার পানিতে ভেসে গেছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানায়, বন্দর থেকে জাহাজটি সী গ্লোরি শিপিং এজেন্সিস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করছিল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এটি সাগরে দুর্ঘটনায় পড়ে। জাহাজের নাবিকদের একটি বোটে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর চার্টারারের নিযুক্ত একটি টেকনিক্যাল টিম (ডলফিন মেরিন) চেষ্টা করছে জাহাজের পানি ও কনটেইনার অপসারণের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে বন্দরের শক্তিশালী টাগবোট কাণ্ডারী-১১সহ ভাড়া করার একটি টাগ দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে চলন্ত লরি থেকে কন্টেইনার পড়ে দুই রিকশাযাত্রী নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিল মিল বাজারে চলন্ত লরি থেকে কন্টেইনার পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে স্টিল মিল খাল পাড় রোডের মুখে আলী প্লাজার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত দুজন রিকশাযাত্রী ছিলেন। তবে তাৎক্ষনিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, একটি কন্টেইনারবাহী লরি যাওয়ার সময় হঠাৎ কন্টেইনারটি উল্টে রাস্তায় পড়ে রিকশাকে চাপা দেয়। এতে রিকশাচালকসহ দুই যাত্রী নিচে চাপা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্রেনের সাহায্যে কন্টেইনারের নিচ থেকে দুই যাত্রীকে মৃত এবং রিকশা চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, কন্টেইনার চাপা পড়া তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাবুবাজার সেতুতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত
১ বছর আগে
কুমিল্লায় কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কিশোরের পুকুরে ডুবে মৃত্যু
প্রায় তিন মাস আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনারে মালয়েশিয়া যাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের রাতুল ইসলাম ফাহিম (১৪) নামের এক কিশোর শনিবার বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে মারা যায়।
রাতুলের বাবা ফারুক মিয়া বলেন, ‘তার ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে একা গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় রাতুল।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হিরণ বলেন, ‘সাঁতার না জানার কারণে পুকুরে একা গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় রাতুল। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তার দাফন সম্পন্ন করার জন্য কিছু টাকা দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:
এর আগে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয় রাতুল।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে 'এমভি ইন্টিগ্রা' নামের একটি জাহাজ মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। গত ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরে একটি খালি কন্টেইনার জাহাজের ভেতর থেকে নাবিকরা আওয়াজ শুনতে পেয়ে কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়।
১৭ জানুয়ারি জাহাজটিকে জেটিতে নিয়ে আসা হয়। কন্টেইনারটি খোলা হয় এবং কিশোরটিকে উদ্ধার করা হয়।
পরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতুলকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কিশোর রাতুলকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে: শাহরিয়ার আলম
চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার থেকে কিশোর উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার ভেঙ্গে এক বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কন্টেইনারের ভেতর লুকিয়ে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরে পৌঁছায়। পরে তার চিৎকার শুনে জরুরি ভিক্তিতে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর পর কন্টেইনার ভেঙ্গে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইন্টিগ্রেটররা জাহাজটি কন্টেইনার ভর্তি করে ১২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরের সাগরে পৌঁছে। এরই মধ্যে জাহাজটির একটি খালি কন্টেইনারের ভেতর থেকে জাহাজের নাবিকরা চিৎকার শুনতে পায়। পরে জরুরি ভিক্তিতে জাহাজ কেলাং বন্দরে ভিড়িয়ে কন্টেইনার থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে বাংলাদেশি এ কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার নাম-পরিচয় এবং বিস্তারিত জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিষয়টি নিশ্চিত করে কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্সের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে খালি কন্টেইনারে করেই কিশোরটি ক্লাং বন্দরে পৌঁছেছে। কিন্তু সেই খালি কন্টেইনারে ডিপো থেকে উঠল নাকি বাইরে থেকে এলো আমরা এখনও জানি না। তবে সে বাংলায় অস্পষ্টভাবে কথা বলছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজের ক্যাপ্টেন বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয়েই খালি কন্টেইনারটি শনাক্ত করে। পরে জাহাজ জেটিতে ভিড়িয়ে কন্টেইনার খুলে কিশোরকে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সে জীবিত আছে এটাই শুকরিয়া।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে যাওয়া জাহাজের কন্টেইনার ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পূর্বধলায় রাস্তার পাশ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
করতোয়া থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, স্ত্রী-শ্বাশুড়িসহ আটক ৪
১ বছর আগে
দেশে তৈরি ‘সবচেয়ে বড়’ কন্টেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে
বাংলাদেশে নির্মিত ৬ হাজার একশ’ টন লোড ক্ষমতার উচ্চ-গতির বহুমুখী কনটেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে।
জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, এটি দেশে নির্মিত রপ্তানি করা বৃহত্তম কন্টেইনার জাহাজ।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এনজিয়ান শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের চাহিদা অনুযায়ী জাহাজটি নির্মাণ করেছে আনন্দ শিপইয়ার্ড নামের একটি বাংলাদেশি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজটি হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস, এক্সপোর্ট, বন্ড ও আইটি) হোসেইন আহমদ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা এবং আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারী।
আরও পড়ুন:নৌপথ আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ড. আব্দুল্লাহেল বারী জানান, জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৬ হাজার ১০০ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজটি মাল্টিপারপাস হওয়ার কারণে ভারী স্টিলের কয়েল, খাদ্যশস্য, কাঠ এবং কন্টেইনারের পাশাপাশি বিপজ্জনক দ্রব্যাদিও বহন করতে পারবে। বাল্টিক সমুদ্রে চার ফুট বরফ আচ্ছাদিত অবস্থায় চলতে পারবে।
জাহাজটি রপ্তানি করে বাংলাদেশ ১০০ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা আমাদের গর্ব। জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের আরেকটি দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যাধুনিক জাহাজ নির্মাণের দক্ষতা রয়েছে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে এই শিল্প তৈরি পোশাক শিল্পের কাছাকাছি রপ্তানি আয় অর্জন করবে।’
১৯৮৩ সাল থেকে আনন্দ শিপইয়ার্ড ও স্লিপওয়েজ লিমিটেড ৩৫০ টি জাহাজ সরবরাহ করেছে।
জাহাজ রপ্তানি, জাহাজ ব্যবস্থাপনা, ক্যাপ্টেন ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ শিপিং লাইন দ্বারা সমুদ্র পরিবহন, উপকূলীয় এবং অভ্যন্তরীণ কার্গো ও যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্প বাংলাদেশে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকা অবদান রাখে।
আরও পড়ুন:চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
ডিপোতে বিস্ফোরক ছিল না, আগুন নাশকতা কি না তদন্তে বেরিয়ে আসবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারে পাওয়া গেছে ৩টি এয়ারগান
চট্টগ্রাম বন্দরের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে নিলামযোগ্য কনটেইনার খুলে পাওয়া গেছে মনোকুলার (এক চোখে দেখার যন্ত্রাংশ) সহ তিনটি এয়ারগান। এ গুলো আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আজ রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের গুপ্তখালের সাউথ কনটেইনার ইয়ার্ডে (অকশন ইয়ার্ড) ইনভেন্ট্রির সময় এয়ারগান গুলো পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার থেকে ধোঁয়া নির্গমনে আতঙ্ক
জানা যায়, দেশের নতুন অধ্যাদেশে এয়ারকুলার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনারের ইনভেন্ট্রির সময় তিনটি এয়ারগান পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো পাখি শিকারের কাজে ব্যবহৃত এয়ারগান। তবে চালানটি কার নামে এসেছে, কে পাঠিয়েছেন, কবে এসেছে এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি জাহাজে ২ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু!
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
২ বছর আগে
লকডাউনে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক
দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
করোনার প্রার্দুভাব বৃদ্ধিতে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম স্বাভাবিক রাখতে দেশে উৎপাদিত পণ্য ও কাচাঁমাল সরবরাহ ঠিক রাখতে মোংলা বন্দরে ২৪ ঘণ্টা স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।
লকডাউনে এক সপ্তাহে বন্দরে জাহাজ আগমন করে ২১টি, গত বছর সমসাময়িক সময়ে জাহাজ আগমন করেছে ১৮টি। কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন, গত বছর সমসাময়িক সময়ে ছিল ২ লাখ ৩ মেট্রিক টন। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩৭৩টি হাউজে এবং ৭ হাজার ১১৭ মেট্রিক টন।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমনে রেকর্ড সৃষ্টি
এছাড়াও এ সময়ে বন্দর থেকে ২৭২টি গাড়ি ডেলিভারি করা হয়েছে। জাহাজ, কার্গো, গাড়ি ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর ক্ষেত্রে সকল সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ফলে বন্দরের আয় স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, করোনাকালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে মোংলা বন্দরের যে সকল পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে-ডাল, ছোলা, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, কয়লা, হোয়াইট ক্লিংকার, পাথর, গ্যাস, কিচেন সিংক, ডাটা কেবল, ফেব্রিক্সস, এলইডি লাইট, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, অ্যালুমিনিয়াম সীট, এমএসি স্টীল, লেনটাইলস, মেশিনারিজ, চাল ও গাড়ি।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, ইতোমধ্যে মোংলা বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চালের প্রথম চালান জানুয়ারিতে মোংলা বন্দরে পৌঁছাবে
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের ফলে সর্তকতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ (সীমিত আকারে), অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিসগুলোতে এবং বন্দর এলাকায় করোনার সতর্কতামূলক বিভিন্ন ধরনের ব্যানার স্থাপন, বন্দরের মসজিদ গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় ইত্যাদি।
মোহাম্মদ মুসা বলেন, লকডাউনের মধ্যে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখতে মোংলা বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, ব্যাংক, শিপিং এজেন্ট, সিএনএফ এজেন্ট, স্টিভের্ডস ও অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারীর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যেহেতু আমরা বন্দরের সকল স্টক হোল্ডারদের সমন্বয়ে কাজ করছি ফলে করোনার মধ্যে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চলমান থাকবে।
৩ বছর আগে