মুভমেন্ট পাস
লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় প্রাইভেট কারের চলাচল বৃদ্ধি
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সরকার চলমান লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো সত্ত্বেও প্রাইভেট কারের চলাচল গত কয়েকদিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) নির্দেশনা অনুযায়ী, যে সকল ব্যক্তিরা তাদের মুভমেন্ট পাস পেয়েছেন তাদের নিজস্ব যানবাহনে চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের এই বিধিনিষেধ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি, প্রজ্ঞাপন জারি
অবশ্য বৃহস্পতিবার মিরপুর রোড, বনানী এবং মহাখালীসহ রাজধানীর অনেক রাস্তায় রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
লকডাউনে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্পগুলো খোলা রাখায় পোশাক শ্রমিকদের তাদের কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে সরকার কঠোর লকডাউন কার্যকর করায় দোকান ও শপিংমলগুলো অবশ্য বন্ধ ছিল।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চেক-পোস্ট স্থাপনের করে পুলিশ ও র্যা ব সদস্যদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান বলেন, 'গত কয়েকদিনে ব্যক্তিগত যানবাহন ও রিকশার চলাচল বেড়েছে। তবে যাদের মুভমেন্ট পাস আছে আমরা কেবল তাদের যাতায়াত করার অনুমতি দিই।'
তিনি বলেন, 'জরুরি পরিষেবাতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা অনায়াসেই চলাফেরা করতে পারে।'
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি সরকারকে ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের সর্বাত্মক লকডাউন আরোপ করে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তার দাবি অটোরিকশা, হালকা যানবাহনের কর্মীদের
পরবর্তীতে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সরকার চলমান লকডাউনটি ২২ এপ্রিল থেকে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।
২০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়, চলমান সর্বাত্মক লকডাউন ২২ এপ্রিল থেকে বাড়ানো হবে।
আন্তর্জাতিক বিশেষ ফ্লাইট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে এবং অন্যান্য বিধি-নিষেধ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
১৯ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, 'নতুন লকডাউনে আগের সপ্তাহের সকল বিধি-নিষেধ বহাল রেখে ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এটি আরও কঠোর হবে।'
মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকায় সরকার এর বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপের হিসেবে ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী একটি লকডাউন আরোপ করে। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও একটি কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৫ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৬৮৩ জনে।
বৃধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ২৮০ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ৪০৮টি। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
এর আগে, ১৯ এপ্রিল, দেশের আগের সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় ১১২ জনের মৃত্যু ঘটে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যু ঘটে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, করোনায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৩২ হাজার ৬০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন যা মোট আক্রান্তের ৮৬.৭৭ শতাংশ।
৩ বছর আগে
চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনা হাইকোর্টের নজরে এনেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ ওই ঘটনা নজরে আনেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, রবিবার একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছেন। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাচ্ছি।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও পিকে হালদার কীভাবে বিদেশে, জানতে চায় হাইকোর্ট
তখন আদালত বলে, পুলিশ-চিকিৎসক বাগবিতণ্ডা করেছেন। তারা আদালতে আবেদন নিয়ে আসতে পারেন। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।
আদালত থেকে বের হয়ে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ডাক্তারকে হেনস্থা করা হয়েছে এমন ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার তিনটি আলাদা পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আদালতের কাছে উপস্থাপন করি।
আরও পড়ুন: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেন, যেহেতু বিষয়টি ডাক্তার নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালতে আসতে চাইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আসতে হবে।
রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন। চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?
তিনি গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। এ সময় জেনি আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমি ডাক্তার। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনারা কয়জন মরছেন। আমরা ১৩০ জন মরেছি।’
সেসময় ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আপনি ধমক দিচ্ছেন কেন? আমরা প্রশাসনের লোক। ১০০ বার আপনার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চাইতে পারি।’
এরপর চিকিৎসক বলেন, ‘আমি বীর বিক্রমের মেয়ে।’
তখন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমিও বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। আমরা কি ভাইসা আসছি নাকি?’
চিকিৎসক বলেন, ‘আমি শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে। আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল বলেই তোমরা পুলিশ হয়েছ।’
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত নিউ মার্কেট থানা পুলিশের পরিদর্শক বলেন, ‘আমিও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আপনার বাবা একা যুদ্ধ করেননি।’
চিকিৎসক জেনি গাড়িতে উঠতে উঠতে বলতে থাকেন, ‘ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।’
তখন পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘কোনো ডাক্তার হয়রানি হচ্ছে না।’
এরপর গাড়ি রাস্তার একপাশে নিয়ে তিনি (চিকিৎসক জেনি) কেন খারাপ ব্যবহার করেছেন, তা জানতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই-তুকারি করতে পারেন না। জীবন আমরাও দিচ্ছি। আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন। আমরা কি ভাইসা আসছি?’
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রশাসনের লোক। ইউনিফর্ম থাকার পরও সঙ্গে আইডি কার্ড আছে।’
তখন চিকিৎসক বলেন, ‘আমি ডাক্তার। গায়ে অ্যাপ্রোন আছে। তুই মেডিকেলে চান্স পাস নাই বলে তুই পুলিশ
চিকিৎসক জেনি দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশকে সরি বলতে বলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ সরি বলেছে কি না, তা জানা যায়নি।
চিকিৎসক-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ভিডিওটি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এদিকে চলমান ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে আইডি কার্ড ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৩ বছর আগে
৪৬ ঘণ্টায় মুভমেন্ট পাসের জন্য ১৬ কোটি আবেদন
সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনে জরুরি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে ডিএমপিরচালু করা মুভমেন্ট পাস অ্যাপটিতে মাত্র ৪৬ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১৬ কোটি নক/হিট পেয়েছে।
পুলিশ ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি পাস ইস্যু করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র ইউএনবির কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত ডাটাবেজের একটি পর্যালোচনা থেকে দেখা যায় যে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার মধ্যে মুভমেন্ট পাসের জন্য প্রায় ১৫ কোটি ৯৯ লাখ ২২ হাজার ৬৫টি আবেদন জমা পড়ে।
আরও পড়ুন: লকডাউন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান আইজিপি’র
অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি প্রতি মিনিটে প্রায় ৫৭ হাজার ৯৪২টি নক পেয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার পুলিশে মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ মুভমেন্ট পাস অ্যাপটি চালু করেন।
কোনো ব্যক্তি তার নাম, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখ, গন্তব্যের বিশদ বিবরণ, বৈধ পরিচয় (এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স) এবং বাইরে যাওয়ার কারণ সরবরাহ করে মুভমেন্ট পাসের জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে, সাংবাদিক এবং জরুরি পরিষেবা সরবরাহকারীদের এই পাসের প্রয়োজন হবে না।
৩ বছর আগে
লকডাউন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান আইজিপি’র
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, 'আমরা আগামীকাল কাউকে সড়ক-রাস্তাঘাট এবং বাইরে দেখতে চাই না। বিনা প্রয়োজনে কাউকে দেখতে চাই না। আমাদের চাপ প্রয়োগের চেয়ে নিজ উদ্যোগেই এই দায়িত্ব পালন করুন। এসব না মানলে সমগ্র বাংলাদেশকে আইসোলেশনে নিতে হবে।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না: সচিব
মঙ্গলবার লকডাউনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস অ্যাপসের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, 'গতবছর আমরা করোনা পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, এবারও দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ন্ত্রণ সেভাবে করতে চাই। তবে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে হবে। গতবছর লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এবারও গত দুদিন ধরে ঢাকা ছাড়ছেন, এগুলো ঠিক না। এগুলো নৈতিকভাবে খুবই অন্যায় কাজ।
তিনি বলেন, ‘গতকাল বিভিন্নভাবে যারা যেখানে পৌঁছেছেন, তারা সেখানেই থাকবেন। গ্রামবাসীকে বলব, লক্ষ্য রাখবেন, যদি আক্রান্ত কেউ থাকেন, তাহলে সে গ্রামের অন্যকেও আক্রান্ত করবে। তারা সাতদিন ঘরে থাকবেন। সরকার যেভাবে বলছে সেভাবে নির্দেশ মানবেন।'
আইজিপি বলেন, যাদের সীমিত কারণে বের হওয়া লাগতে পারে তারা মুভমেন্ট পাস নেবেন। 'রাস্তাঘাটে কোনো আড্ডা দেবেন না। বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে আড্ডা দেবেন না। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তরুণরা কেউ বের হবেন না। বের হতে হলে অবশ্যই দ্রুত ঘরে ফিরতে হবে।'
আরও পড়ুন: রাজনীতির নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না: আইজিপি
গাড়ি বের করার বিষয়েও নিরুৎসাহী করে তিনি বলেন, 'অবশ্যই মুভমেন্ট পাস নেবেন।'
পুলিশকে সবাই সহযোগিতা করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এক ঘণ্টায় পাঁচ হাজার মুভমেন্ট পাসের আবেদন জমা নিয়ে আইজিপি বলেন, ঢাকার বাইরে গেলে মুভমেন্ট পাশ লাগবে। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে ও একটি গাড়ির নম্বর দিয়ে একাধিক পাস নেয়া যাবে না। একজন ব্যক্তির একাধিক পাস নেয়ার সুযোগ নেই। একের অধিক পাস নিতে গেলে অবশ্যই ধরা পড়ে যাবেন তিনি। সুতরাং মিথ্যা তথ্য দিয়ে একাধিক পাস নেয়ার সুযোগ নেই।
মুভমেন্ট পাস অ্যাপসের আইনগত ভিত্তি কী এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘এটার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। এটা সহযোগিতা। মুভমেন্ট পাস নিতে আমরা কাউকে বাধ্য করছি না। এটাকে সাপোর্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে। আপনি না চাইলে আমরা বাধ্য করব না।’
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আইজিপি বলেন, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা কোনো প্রাণহানি চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের প্রধান উপায় হচ্ছে ব্যক্তিগত সচেতনতা।
‘আমাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া। এসব বিধি আমাদের মনোযোগ ও আন্তরিকতা দিয়ে মানতে হবে,’ বলেন তিনি।
৩ বছর আগে