করোনার ঊর্ধ্বগতি
করোনার ঊর্ধ্বগতি আরও ২ সপ্তাহ চলবে: আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের
করোনার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ধরন ওমিক্রন বাংলাদেশে বর্তমানে পুরোদমে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন করছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও দুই সপ্তাহ দেশে করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকবে।
তারা বলছেন, করোনা শনাক্তের হার আগামী মাসের শেষের দিকে দ্রুত কমার আগ পর্যন্ত মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
সরকারি তথ্য মতে, গেল কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে করোনার শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনায় আক্রান্ত অনেক মানুষ পরীক্ষা না করায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ও শনাক্তের হার সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল, ডা. বে-নাজির আহমেদ, ডা. মুশতাক হোসেন ও এম এইচ চৌধুরী লেনিন করোনার সংক্রমণ কমাতে সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বাধ্য করার পরামর্শ দিয়েছেন।
চূড়ার দিকে যাচ্ছে করোনা
হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. লেনিন বলেন, ‘দেশে করোনা শনাক্ত চূড়ার দিকে যাচ্ছে। এজন্য করোনা শনাক্ত ক্রমাগত বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনার তৃতীয় ঢেউ ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের দিকে হ্রাস পাওয়ার ধাপ শুরু হতে পারে। তবে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে- এর ওপর নির্ভর করে এটি দ্রুত বা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করে দেশে দুই লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু আমি জানি না, কেন এ ধরনের পরীক্ষা দেশে এখনও এত কম। অনেক মানুষ করোনা পরীক্ষা বাইরে থেকে যাচ্ছেন এবং আমরা সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাচ্ছি না।’
ডা. লেলিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির আংশিক চিত্র পাওয়ায় আমাদের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাঝে মাঝে সঠিক পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।’
করোনা সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. ফয়সাল বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ দেখা যাবে। আগামী মাসের শেষের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।’
তবে তিনি বলেন, ‘অনেক আক্রান্ত মানুষই পরীক্ষা করান না। তাই সরকারি হিসাবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিফলিত হয় না। সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্তের খুব ক্ষুদ্র অংশ রেকর্ড করা হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত এক বা দুই লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঝুঁকিতে গ্রামীণ মানুষ
ডা. ফয়সাল বলেন, ‘ভাইরাসটির সংক্রমণ এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় বাড়তে থাকবে। ‘এই ভাইরাস কাউকে ছাড়বে না। এটা উদ্বেগের যে গ্রামীণ এলাকার অনেক মানুষ এখনও করোনার টিকা নেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষার করার বিষয়ে গ্রামীণ এলাকার মানুষ খুব কম সচেতন। অধিকাংশ জেলায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন চললেও আমরা করোনা পরিস্থিতির আসল চিত্র পাব না।’
এই বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বন্ধ করা যাবে না। আমাদের এখন রোগী ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেয়া উচিত। গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ মানুষ টিকা না নেয়ায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা উচিত।’
তিনি বলেন, যারা এখনও টিকার এক ডোজও নেয়নি তারা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। ‘তাই তাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়া বয়স্ক মানুষ ও যাদের একাধিক রোগ রয়েছে তাদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া উচিত। কেননা তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেশি।’
পড়ুন: করোনায় আরও ৩১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩ হাজার ৫০১
বিধিনিষেধ শুধু কাগজে
ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) পরামর্শক ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ভয়ানকভাবে বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধির প্রতি মানুষের এখনও চরম অনীহা।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে আইন প্রয়োগে সরকারও মনে হয় অনিচ্ছুক। যদি এটা চলতে থাকে, আমি মনে করি, বর্তমান ঢেউ আমাদের অনুমানের চেয়ে আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।’
ডা. ফয়সাল বলেন, ‘অধিকাংশ সরকারি বিধিনিষেধ শুধু কাগজেই আছে। কেননা সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অভিযান নেই। মানুষ এখনও মাস্ক পরতে এবং জনসমাগম এড়াতে অনিচ্ছুক।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড সংক্রমণ কমাতে সরকারের উচিত সব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।’
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব টার্গেট জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে টিকাদান কর্মসূচি আরও বাড়ানো উচিত।’
সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞা ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিক না। অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বিভিন্ন নির্বাচন, সব সামাজিক সভা চলছে এবং দোকানপাটও খোলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু হারও খুব কম হলেও প্রতিটি জীবনেরই মূল্য আছে। ‘জীবন বাঁচাতে এবং মানুষকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা নেয়া উচিত।’
এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘অন্তত আরও তিন সপ্তাহ মানুষকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া উচিত না এবং যে কোনো ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে যাওয়া। স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মেনা চলা উচিত এবং মাস্ক ছাড়া বাইরে বের না হওয়া।’
অঅরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: বাগেরহাটে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এপ্রিলে আসতে পারে আরেক ঢেউ
ডা. বে-নাজির মনে করেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে নিয়ন্ত্রণে এসে পড়তে পারে। দেশে আরেকটি ঢেউ পরে আবার আঘাত হানতে পারে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এপ্রিলে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় এর আগের দুই বছর এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে।’
তিনি এও বলেন, ‘মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস খুব শিগগিরই বিদায় নেবে না। কেননা আরও বিপজ্জনক ধরন যে কোনো সময় আবির্ভূত হতে পারে। ভাইরাসটিকে সঙ্গে নিয়েই কীভাবে বাঁচা যায়-তা আমাদের শিখতে হবে।’
২ বছর আগে
সাতক্ষীরায় শনিবার থেকে ৭ দিনের লকডাউন
সাতক্ষীরায় করোনার ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আগামী ৫ জুন শনিবার ভোর ৬টা থেকে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেন।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে দূরপাল্লার সকল যাত্রীবাহী বাস এবং জেলার অভ্যন্তরীণ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, নছিমন-করিমন সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিসেবা লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে। সকল ব্যাংক খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় ৭ দিনের লকডাউন
এছাড়া সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকবে। তবে বন্দরের সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। স্থলবন্দর এলাকায় ভারতীয় ট্রাক-চালক, হেলপারসহ সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি না মানলে জরিমানা করা হবে। মাস্ক না পরলে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা আদায় করা হবে।
আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট: সীমান্তবর্তী হওয়ায় ঝুঁকিতে খুলনা বিভাগ
জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরায় বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদর, কালিগঞ্জ ও কলারোয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ঘরে ঘরে মানুষের জ্বর, সর্দিসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। ফলে জেলাব্যাপী লকডাউন ঘোষণা ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রল করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১২ জুন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সভায় জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, করোনা সংক্রমণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় আগামী শনিবার থেকে সাত দিন জেলার সর্বত্র লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা হবেন তাদের বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি কঠোর নজরদারি করা হবে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ গত বুধবার সাতক্ষীরায় ৯৩ জনের করোনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি কঠোর নজরদারি করছে। কোন মানুষ যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় ভার্চুয়ালিযুক্ত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
৩ বছর আগে
করোনায় একদিনে রেকর্ড ৯৬ মৃত্যু, শনাক্ত ২০.৮৯ শতাংশ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একদিনে সর্বোচ্চ ৯৬ জন মারা গেছেন বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৫ হাজার ১৮৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জনে। নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮২৫টি।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০.৮৯ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৮০ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪২ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৪.০৯ শতাংশ।
করোনার সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে সারা দেশে আট দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহভাবে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার ১৮৮ জন মানুষ মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, বুধবার সকাল পর্যন্ত বর্তমানে বিশ্বে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৯০২ জন।
এছাড়া সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১৩ কোটি ৭২ লাখ ৫১ হাজার ৪৩৪ জন।
করোনার আঘাতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩১২ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৪০ জন মানুষ।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলা করছে। দেশটি বিশ্বে করোনা আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৫ লাখ ৯৯ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪২৫ জনের।
আরও পড়ুন: এবারও মহামারিতে উত্তাপ ছড়াতে পারল না পহেলা বৈশাখ উদযাপন
অপরদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত করোনায় আক্রান্তে দ্বিতীয় অবস্থান উঠে এসেছে। দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫৩ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৮ জন।
৩ বছর আগে