জেলহাজতে প্রেরণ
ফরিদপুরে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
ফরিদপুরের মধুখালীতে মা-মেয়ের চক্রান্তে এক তরুণীকে (১৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে পারুল আক্তার, তার মেয়ে রোজিনা, জাকিরুল হক এবং অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মানবপাচার ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা জানান, তার মেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মধুখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রথিন্দ্র নাথ তরফদার বলেন, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের করে। রাতেই অভিযান চালিয়ে জাকিরুল হক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এর আগে রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তারকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, আটক রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তার মধুখালী আশ্রায়ন কেন্দ্রের বাসিন্দা। এছাড়া জাকিরুল হকের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। সে মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকলের বিদ্যুৎ বিভাগে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, আক্রান্ত তরুণীর অবস্থার উন্নতি হলে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি নিয়ে ঘটনার সাথে অন্যান্য জড়িতদের আটক করা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নার্সের মামলা
জানা যায়, মধুখালী পৌর এলাকার আশ্রায়ন কেন্দ্রে বাসিন্দা পারুল আক্তারের মেয়ে রোজিনার বান্ধবী ছিল ভুক্তভোগী। এক সন্তানের মা, ভুক্তভোগী তরুণী কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে।
গত রবিবার রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তারসহ কয়েকজন ওই মেয়েটির বাড়িতে যায়। ভুক্তভোগীর বাড়িতে গল্প গুজব করে চলে আসেন সবাই। পরবর্তী রোজিনা আবার ওই বাড়িতে যেয়ে মোবাইল ফোন ফেলে যাবার দাবি করলে, ওই তরুণী কোনো মোবাইল পাওয়া যায়নি বলে জানায়। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটে।
ঘটনার দিন বিকালে রোজিনা ও তার মা পারুল আক্তার কয়েকজন লোক নিয়ে ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে বলে অভিযোগে বলা হয়। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় বাড়ির সামনে পাওয়া যায়।
চিকিৎসাধীন ওই তরুণী ইউএনবি প্রতিনিধিকে বলেন, ‘মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে রোজিনা ও তার মা আমাকে অপহরণ করে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে খাবারের সাথে আমাকে কিছু খাওয়ানো হয়। আমি কিছুটা অচেতন হয়ে পড়ি। এরপরই জোড়পূর্বক আমাকে ধর্ষণ করে এক ব্যক্তি।’
আরও পড়ুন: পাবনায় গৃহবধূকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
মেয়েটি জানায়, পরদিন সোমবার সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মধুখালী চিনিকল মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে। ওইদিন রাতে সেখানে অচেতন করে দুই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষকদের নাম না জানলেও, তাদের দেখলে চিনতে পারবে বলে জানায় মেয়েটি। ভুক্তভোগী তার ওপর অমানবিক অত্যাচারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
৩ বছর আগে