বিয়ের দাবি
বিয়ের দাবিতে সিরাজগঞ্জে প্রেমিকের ঘরের দরজায় কলেজছাত্রীর অনশন
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মারূফ হাসানের বাড়ির ঘরের দরজায় বসে অনশন শুরু করেছে এক কলেজছাত্রী।
প্রেমিক মারূফ হাসান ওই উপজেলার সিংড়াবাড়ি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ও স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী মারূফ হাসানের প্রতিবেশী। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক মারূফ হাসান বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট মেয়রের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন রায়হানের মা
কলেজছাত্রী জানান, তাদের মধ্যে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি দুই পরিবারই অবগত আছে। বিয়ের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে একাধিকবার। গত ১২ এপ্রিল দিবাগত রাতে একই উদ্দেশ্যে আবারো কলেজছাত্রীর বাড়িতে গেলে এলাকার মুরব্বিরা বুঝতে পেরে প্রেমিক মারূফকে আটকে রেখে তার বাবা লুৎফর রহমানকে খবর দেয়া হয়। লুৎফর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৬ এপ্রিল শুক্রবার দুজনের বিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বিয়ে না দেয়ায় ২৩ এপ্রিল শুক্রবার সকাল থেকে বিয়ের দাবিতে মারূফের বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজায় বসে অনশন শুরু করেছেন তিনি।
মারূফের বাবা প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, তার ছেলে বিয়েতে রাজি না থাকায় প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে কাজিপুর থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত প্রেমিক মারূফ হাসান পলাতক থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার দাবিতে আমরণ অনশনে জাবির দুই শিক্ষার্থী
কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পঞ্চানন্দ সরকার জানান, এ ব্যাপারে থানায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয় হবে।
৩ বছর আগে
মাগুরায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অনশন
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করে অনশন শুরু করেছে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী।
ওই প্রেমিকা জানায়, মোবারকপুর গ্রামের আয়ুব মোল্লার চৌকিদারের ছোট ছেলে সোহান মোল্যার সাথে তার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাসে সে নানা সময় শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্যও করেছে তাকে। এখন সে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রেমিক সোহান মোল্যার বাড়িতে মঙ্গলবার থেকে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানির জন্য হাহাকার
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘গত রবিবার রাতে সে তার কাছে আসলে প্রতিবেশীরা তাকে আটক করে মারধর করে। আমি তার বাড়িতে উঠেছি, হয় সে আমাকে বিয়ে করবে, না হলে এখানেই আমার মৃত্যু হবে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
অবস্থা দেখে বাপ-ছেলে সোহান মোল্লা প্রেমিক ও তার বাবা আয়ুব মোল্লা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বর্তমানে ওই বাড়িতে ওই ছাত্রী একাই অবস্থান করছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক নাথ বিশ্বাস জানান, মহম্মদপুর থানার নহাটা ইউনিয়নে মোবারেকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। কেউ কোন লিখিত অভিযোগ প্রদান না করলেও পুলিশ অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩ বছর আগে