ব্যক্তিগত চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো হয়নি: ব্যক্তিগত চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত ২৬ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখনও তার শারিরীক অবস্থা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার মতো নয়।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ডাক্তার ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ম্যাডামকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তারা দিনে দুই বা তিনবার তার সঙ্গে দেখা করছেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করছেন এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে পাঠানো জরুরি: ফখরুল
জাহিদ জানান, তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে তার চিকিৎসা করছেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। এ কারণে তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সন কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখনও হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো উন্নতি হয়নি। তাই তাকে আর কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না মেডিকেল বোর্ড।
জাহিদ বলেন, চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুব ধীরগতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলেছেন, তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে ভুগছেন এবং তার এখন যা প্রয়োজন বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালেই তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা নেই।
তিনি বলেন, খালেদার জীবন বাঁচাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধাসহ বিদেশের যেকোনো অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো জরুরি। তবে আমরা তার অবস্থা যাতে খারাপ না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। কারণ এখানে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৯ আগস্ট খালেদাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং এরপর থেকে তিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা আশঙ্কাজনক, বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান ড্যাবের
খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
১ বছর আগে
খালেদার প্রেসক্রিপশনে নতুন ওষুধ যুক্ত করলেন চিকিৎসকরা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিম শুক্রবার তার সিটি স্ক্যান প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চিকিত্সায় একটি নতুন ওষুধ যুক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তারা খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মৃদু জ্বরে ভুগছেন খালেদা, অবস্থা এখনও স্থিতিশীল: ডাক্তার
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, 'স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞসহ চিকিত্সক দলের সদস্যরা এই প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেছেন এবং তার আগের প্রেসক্রিপশনে নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করেছেন।'
তিনি জানান, সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশের সাথে সাথে খালেদাকে তার গুলশানের বাসায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে তারা।
এই চিকিত্সক জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান লন্ডন থেকে তার শাশুড়ির চিকিত্সা প্রক্রিয়া তদারক করছেন।
সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদন অনুসারে তিনি বলেন, খালেদার ফুসফুসে খুব সামান্য সংক্রমণ পাওয়া গেছে। 'ম্যাডামের অবস্থা এখনও স্থিতিশীল।'
তিনি জানান, খালেদা তার দ্রুত সুস্থতার জন্য জনগণকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এইচআরসিটি স্ক্যান পরীক্ষা করানো হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
উল্লেখ্য, গত শনিবার খালেদা জিয়া ও তার বাসায় আরও আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত বছরের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধেই তাকে ছয় মাসের জন্য নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়। পরে, সরকার তার মুক্তির মেয়াদ দু'বার বাড়িয়েছে।
৩ বছর আগে