ঢাদসিক
চৌকি বিছিয়ে ব্যবসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবাজার
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ-এর তত্ত্বাবধানে, করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ডস্থল ব্যবসায়ীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
প্রস্তুতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বঙ্গবাজারের এক দশমিক ৭৯ একর জায়গা জুড়ে বালি ও ইট বিছানো হবে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪০ গাড়ি বালি ফেলা ও প্রায় ৯০ হাজার ইট বিছানো হয়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় দুই দশমিক পাঁচ লাখ ইট বিছানো এবং প্রায় ১৫০ গাড়ি বালি ফেলা হবে জানা গেছে। আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে পুরো এলাকায় বালি ফেলা ও ইট বিছানোর লক্ষ্যে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।
এছাড়াও সোমবার সকাল থেকে অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. হায়দর আলীর নেতৃত্ব এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডস্থল হতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এখনও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
বঙ্গবাজারের স্থানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধ ছিল ব্যসায়ীদের
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এবং ঈদের দিনের বর্জ্য অপসারণ তদারকি করার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কমিটি গঠন করেছে।
ডিএসসিসি এলাকার পশুর হাট এবং ঈদের দিনে কোরবানির বর্জ্য দুপুর ২টার মধ্যে অপসারণর লক্ষ্যে কাজ তদারকি করার জন্য এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইউএনডিপি, স্কাউটসের উদ্যোগে পশুর হাটে মাস্ক বিতরণ
এছাড়াও করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
করপোরেশনের আওতাধীন যেকোনও নাগরিক তার নিজ এলাকায় সৃষ্ট বর্জ্য সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রেরণ বা পশুর বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত সমসা সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ তিন শিফটে ১৮ জুলাই দুপুর ২টা হতে ২৪ জুলাই দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।
সময়মতো বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএসসিসি এলাকায় নিয়মিত ৫০০০ কর্মীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ৫০০০ কর্মী কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিযুক্ত থাকবে।
ঢাদসিক'র অভিযানে তিন মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে তিন মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: মাস্ক পরা নিশ্চিতে রাজধানীতে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত
করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ও এ এইচ এম ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে রবিবার দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে তিনটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট তিন মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলশানে ডিএনসিসি’র ভ্রাম্যমাণ আদালত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বাধীন আদালত রবিবার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় রায়ের বাজারের শেরে বাংলা রোডস্থ ২৮৬ ও ২৮৭/১ নম্বর হোল্ডিংয়ের নির্মাণাধীন দুটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলা দায়ের ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন আদালত রবিবার মানিকনগর কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে আদালত চল্লিশটি বাড়ি পরিদর্শন করে এবং একটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলা দায়ের ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
সবমিলিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি অভিযানে মোট তিনটি মামলা দায়ের ও সর্বমোট ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, "আজকের অভিযানে যে আঠারটি স্থাপনা পরিদর্শন করেছি তার মধ্যে দুটি নির্মাণাধীন ভবনে অতিমাত্রায় এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফলে, দুটি মামলা দায়ের ও এসব মামলায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে।"
রাজধানী ছাড়া মানুষদের লকডাউনের পর ঢাকায় ফেরার অনুরোধ ঢাদসিক মেয়রের
ঢাকা হতে পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকার বাইরে যাওয়া ব্যক্তিদেরকে লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের পরেই ঢাকায় ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শুক্রবার সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের প্রথম ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ পরবর্তী গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এই অনুরোধ জানান।
ঢাদসিক মেয়র বলেন, ‘নাড়ির টানে যারা ঢাকার বাইরে বাবা-মা'র কাছে, পরিবারের কাছে ঈদ করতে গিয়েছেন, যেহেতু লকডাউনের বিধিনিষেধ রয়েছে, সেহেতু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হওয়ার পরেই আপনাদেরকে ঢাকায় ফেরার অনুরোধ করছি।’
ব্যারিস্টার শেখ তাপস সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পরে আজ আমরা ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছি। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ ঢাকাবাসী ও দেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক।’
ঢাদসিক মেয়র আরও বলেন, আমরা করোনা মহামারীর মাঝে ঈদ উদযাপন করছি। সুতরাং সবাই সুস্থ থাকবেন, নিরাপদ থাকবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এ সময় ঢাদসিক মেয়রের সাথে অন্যান্যের মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান এ.বি.এম. আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ঢাদসিক সচিব আকরামুজ্জামান, ঢাদসিক মেয়রের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ ফজলে নাশওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ: ঢাদসিকের অভিযানে ১৩ মামলায় ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের আওতায় আরোপিত বিধিনিষেধ তদারকিতে শুক্রবার ছুটির দিনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকায় একযোগে ৬ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঢাদসিকেরঅঞ্চল ১, ২ ও ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) পাশাপাশি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালন করেন।
অভিযানে সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে হোটেলে বসিয়ে খাবার পরিবেশন, স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং অনুমোদন ছাড়া দোকান খোলা রাখার দায়ে মোট ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় মোট ৩৩ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ঢাদসিকের অঞ্চল-১ এর আনিক মেরিনা নাজনিন রাজধানীর সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি ২৭, পান্থপথ, সোনারগাও রোড, বেইলী রোড ও মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ধানমণ্ডি ২৭ এ বিকেল ৩টার পরেও একটি চশমার দোকান খোলা রাখায় ৩ হাজার টাকা, বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়ায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে ১ হাজার টাকা এবং বেইলি রোড এলাকায় অনুমোদনবিহীন ফুটপাতের ওপর জিলাপি বিক্রি করায় এ-ওয়ান বেকারিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অভিযানে ৩টি মামলা দায়ের ও নগদ ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আনিক সুয়ে মেন জো’র তত্ত্বাবধানে ফকিরাপুল বাজার, মুগদা কাঁচাবাজার, ওয়াসা বাজার ও মান্ডা মেইন রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক না পরায় ১০ ব্যক্তিকে সাময়িক সময় আটকে রেখে পরবর্তীতে তাদেরকে মাস্ক পরিধান করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় শারীরিকভাবে অক্ষম এমন আরও কয়েকজনকে মাস্ক দেয়া হয়। এছাড়াও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলা এবং অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখায় প্রায় ১০০ ব্যক্তি ও দোকানকে সতর্ক করা হয়।
অঞ্চল -৬ এর আনিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার নগরীর নন্দী পাড়া বাজার এলাকায় আজ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং লকডাউনে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন: ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা নির্জন
এদিকে ঢাদসিকের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-৬ এর ডেমরা, সারুলিয়া, ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ও বনশ্রীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশনা না মানায় ৩টি মামলার মাধ্যমে ৭ হাজার ৭ শত টাকা জরিমানা আদায় করেন।
করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ যাত্রাবাড়ী, মাতুয়াইল, ডেমরা, কোনাপাড়া, শনির আখড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারি নির্দেশ ভঙ্গ করে বেলা ৩টার পরেও দোকান খোলা রাখা, হোটেলে বসিয়ে লোকজনকে খাবার পরিবেশন করা, সরকার ঘোষিত অনুমোদিত দোকান ব্যতীত অন্যান্য দোকান খোলা রাখায় আদালত ৫টি মামলা দায়ের এবং সর্বমোট ১৯ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবীর ত্রপা অঞ্চল ৩ এর আওতাধীন মৌলভীবাজার, চকবাজার ও ইসলামবাগ বাজার অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সরকারি নির্দেশনা না মানায় ২টি মামলা এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে লকডাউনের নির্দেশনা মেনে চলতে জনসাধারণকে উৎসাহিত করার লক্ষে মাইকিং করা হয়। এছাড়াও অভিযানে বিনা প্রয়োজনে অযথা বাড়ির বাইরে বের না হওয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়।