ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শনিবার
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস শনিবার পালিত হবে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেন।
আরও পড়ুন: ৯ বছরেও সংশোধন হয়নি মুজিবনগরে জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্যের ভুল তথ্য
তিনি বলেন, মুজিবনগর সরকার গঠনের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে একটি সাংবিধানিক সরকার যাত্রা শুরু করে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'মুজিবনগর দিবসে আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিমগ্ন হয়ে দেশের মানুষকে দেশ গঠনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাই।'
রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস জানতে সক্ষম হবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে অবদান রাখবে।
পৃথক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, '১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যা বাঙালি জাতির জীবনে স্মরণীয় দিন। এই দিনই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার মেহেরপুর মহুকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে।'
মুজিবনগর দিবসের ৫০ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
জাতির পিতা অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সকল সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের স্মৃতিকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে: মন্ত্রী
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিবসটির উদযাপন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল সাড়ে ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সকাল ১০টায় নগরীর ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রগুলোতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হবে।
দিবসটির তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই দিনটিকে ঘিরে ভার্চুয়াল আলোচনার সভার আয়োজন করবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসকে স্বল্প পরিসরে পালনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ভবন ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি দলের সকল জেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
আরও পড়ুন: মুজিব শতবর্ষ: গাইবান্ধায় বিশ্বের ‘দীর্ঘতম’ আলপনা উৎসব
আ.লীগ ধানমন্ডি-৩২ এলাকায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখবেন।
আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের নেতৃত্বে একটি দল রাত ১০টায় মুজিবনগরের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। আ.লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের দল ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সীমিত পরিসরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে