মিশন
শুক্রবার ঢাকায় আসছে জাপানের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন তদারকির জন্য জাপানের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন আগামী ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
জাপান সরকারের পাঠানো মিশনটিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়াতানাবে মাসাতোর নেতৃত্বে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন বাইরের বিশেষজ্ঞ থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকাস্থ জাপানের দূতাবাস জানিয়েছে, ভোট গ্রহণ ও গণনা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মিশনটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের সঙ্গে মতবিনিময় ও তথ্য বিনিময় করবে।
আরও পড়ুন: মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার 'সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ' আইনি প্রক্রিয়া চায় যুক্তরাষ্ট্র
আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানানোর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে জাপানের সহযোগিতার অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাচ্ছে দেশটি।
বিরোধী দল বিএনপি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংকল্পে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন
১০ মাস আগে
মার্কিন মিশনের সুপারিশ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই: মোমেন
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলের সুপারিশের বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা তাদের মতামত দিয়েছে। এটা তাদের মতামত। এগুলো আলাদা কিছু নয়। আমরা এগুলোকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না।’
আরও পড়ুন: আশার আলো ভারত মহাসাগর, কার্যক্রম পরিচালনা নিরাপদ করতে হবে: মোমেন
ড. মোমেন বলেন, অনেক বিদেশি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে মজা করে এবং কিছু মিডিয়া তাদের অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, তারা সবসময় সবার সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারা ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর নির্ভর না করে তারা ভোটার চান।
তিনি আরও বলেন, তারা বিদেশিদের কাছে যান না, বরং বিদেশিরা দ্বিপক্ষীয় ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসে।
আইআরআই ও এনডিআই'র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক প্রাক-নির্বাচন-পূর্ব প্রতিনিধিদল রবিবার বলেছে, বাংলাদেশের জনগণই চূড়ান্তভাবে তাদের নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা এবং তাদের দেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন নির্ধারণ করবে।
প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে 'সমর্থন ও শক্তিশালী করার চেতনায়' তাদের প্রাক-নির্বাচনী বিবৃতি দেয়।
প্রতিনিধিদল বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের দিকে অগ্রগতির রোডম্যাপ হিসাবে নিচের সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেছে যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
সুপারিশগুলো হলো-
· সংযত আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী ইস্যুতে উন্মুক্ত ও অর্থপূর্ণ সংলাপে অংশ নেওয়া
· মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ভিন্নমতকে সম্মান করা
· অহিংসতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করা
· স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা জোরদার করাসহ সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা এবং
· নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সক্রিয় নির্বাচনী অংশগ্রহণের সংস্কৃতি প্রচার করা।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
আসন্ন সফরে নির্বাচন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন কর্মকর্তা আফরিন আখতার: মোমেন
১ বছর আগে
বিশ্বকাপ মিশন শুরু করতে প্রস্তুত টাইগাররা
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শনিবার (৭ অক্টোবর) বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে টাইগারদের জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রমাণিত আফগানিস্তান।
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ।
১০ দলের এই বিশ্বকাপে প্রতিটি দল প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ৯টি ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে ধর্মশালায় বাংলাদেশের প্রথম দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করছে টাইগাররা
যার প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবং ১০ অক্টোবর বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
১৭ বছরের বিরতির পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন এই ম্যাচ ভারতে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তনের প্রতীক। ভারতে ২০০৬ সালে তাদের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ ছিল।
মূল ইভেন্টের আগে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়।
অনুশীলনের সময় সামান্য ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন। তবে তাকে আফগানিস্তান ম্যাচের জন্য ফিট ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্বকাপের আগে, বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বকাপের রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজন করেছিল এবং একটি ম্যাচ ভারী বৃষ্টির কারণে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল।
আসন্ন বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর তাৎপর্যের উপর গুরুত্বারোপ করে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
স্কোয়াডে অভিজ্ঞ প্রচারক ও তরুণ প্রতিভাগুলোর মিশ্রণ রয়েছে। সাকিব, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান ও লিটন দাস বাংলাদেশ দলের মেরুদণ্ড।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপ মিশনের স্মরণীয় সমাপ্তি চায় টাইগাররা
এ ছাড়া নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, তানজিম হাসান সাকিব, নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা দলে রয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রতিভাবান অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকেও গর্বিত করেছে। যিনি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন এবং ভারতে অনুষ্ঠেয় এই বিশ্বকাপে জ্বলে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইনজুরির কারণে তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ায় ওপেনিং কম্বিনেশন নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে টাইগাররা। খ্যাতিমান এই ওপেনারের শূন্যতা পূরণ করেছেন আরেক বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ তামিম। যদিও তিনি প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে ভালো করেছেন, তবে বড় ইভেন্টগুলোর অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে তার।
তামিমের অভিজ্ঞতার পাশে দাঁড়ানো লিটন সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তার তরুণ সঙ্গীর পাশাপাশি শক্তিশালী শুরুর দায়িত্ব নিতে হবে।
টিম ম্যানেজমেন্ট যদি এই কৌশল অবলম্বন করে তবে লিটনের পাশাপাশি মেহেদী মিরাজকে ইনিংসের সূচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
এর আগে তিনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে এই ভূমিকা পালন করেছিলেন। একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন। সম্ভবত ম্যানেজমেন্ট একই পরিকল্পনা বহাল রাখবে।
পেস বিভাগে, বাংলাদেশ অন্য দিকের তুলনায় শক্তিশালী আক্রমণ করতে পারে। তাসকিন ও মুস্তাফিজের নেতৃত্বে শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে প্রস্তুত।
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিবের মতো অতিরিক্ত পেসার হিসেবে তিন উইকেট নিয়ে গর্বিত টাইগাররা।
১ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
শনিবার (৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী। মাত্র ২৬ বছরের জীবনে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসংখ্য অবদান রেখে গেছেন। একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শহীদ শেখ কামাল।’
আব্দুল মুহিত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে, তার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন।
অবশেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মকে অনুকরণ করে দেশের জন্য কাজ করার জন্য বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্য শেষ করেন।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুবসমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে আরও উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।
আলোচনাপর্ব শেষে কেক কেটে শেখ কামালের জন্মদিন পালন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ১০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩: ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু আজ
১ বছর আগে
অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে বিদেশি মিশন কি বিবৃতি দেয়: মোমেন
হিরো আলমের বিষয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশন থেকে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, অন্য দেশে যখন এ ধরনের ঘটনা বা কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে তখন তো কিছু বলেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটি গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু বাংলাদেশে কিছু ঘটলে তারা শোরগোল করে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বা অন্যান্য দেশে যখন একই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন কেউ কিছু বলেন না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হলে এসব দেশ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলে কি না। বাংলাদেশি এক নাগরিকের নিহতের বিষয় উল্লেখ করে তিনি জানতে চান, সে বিষয়ে কী কেউ কিছু বলেছে? জাতিসংঘ বা রাষ্টদূতরা দল বেঁধে কী কোনো বিবৃতি দিয়েছেন?
আরও পড়ুন: ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (বিদেশি কূটনীতিকদের) জিজ্ঞাসা করুন। আপনারা কেন তাদের জিজ্ঞাসা করেন না? কেন তারা বিবৃতি দেন না?’
মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে কারা এই (হিরো আলমের উপর হামলা) করেছে তা জানা দরকার। "আমরা জানি না। আপনারা কখনোই জানেন না... নির্বাচন বানচালের জন্য এই অপকর্মগুলো করা হয়।"
মোমেন বলেন, সাংবাদিকদের এটা খুঁজে বের করা উচিত। ‘আমাকে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দিন যে দেশগুলো তাদের নিজস্ব দেশে একই রকম ঘটনা ঘটলে এমন বিবৃতি জারি করেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের বক্তব্য প্রকাশ বা সম্প্রচার বন্ধ করার সময় এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান এবং সে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসছেন।
এর আগে ঢাকায় বিদেশি মিশন হিরো আলমের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের পূর্ণ তদন্ত ও জবাবদিহির আহ্বান জানিয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে বিদেশি মিশনগুলো বলেছে, “আমরা হিরো আলম নামে পরিচিত ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের উপর ১৭ জুলাই হামলার নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।”
ঢাকায় অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনগুলো বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের সাথে জড়িত প্রত্যেকেরই নিশ্চিত করা উচিত যে তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
যৌথ বিবৃতিতে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের দূতাবাস বা হাইকমিশনের কর্মকর্তারা স্বাক্ষর করেছেন। এ ছাড়া হিরো আলমের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে জয়ী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র ২০ মিনিট আগে যা ঘটেছিল তা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
আরাফাত বলেন, ‘আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্ট দলগুলো আওয়ামী লীগের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারেনি। এটা নির্বাচনকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গত ১৭ জুলাই বনানী এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন।
আরও পড়ুন: 'অভিন্ন অগ্রাধিকার' নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
১ বছর আগে
পর্তুগালের পার্লামেন্টের উভয় দেশের বন্ধুত্বে প্রথম গ্রুপ গঠন
পর্তুগালের অ্যাসেম্বলি অব দ্য রিপাবলিক (পার্লামেন্ট) পর্তুগাল-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের জন্য প্রথম ১০ সদস্যের সংসদীয় গ্রুপ গঠন করেছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ মিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অ্যাসেম্বলি অব দ্য রিপাবলিকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার) ড. আদাও সিলভা লিসবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি পর্তুগালের (বর্তমান) ১৫তম পার্লামেন্টের জন্য পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের হালনাগাদ তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার আরও দুটি দেশসহ ৫৮টি দেশও এই তালিকায় আছে।
গ্রুপের সভাপতিত্ব করবেন পর্তুগিজ পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ড. আদাও সিলভা মধ্য-ডান সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি) থেকে।
আরও পড়ুন: ভ্যানচালক বাবা ও চা বিক্রেতা মায়ের মেয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণে যাচ্ছে পর্তুগাল
পর্তুগালের বন্ধুত্বের জন্য পার্লামেন্টারি গ্রুপগুলো পর্তুগালের বন্ধু দেশগুলোর পার্লামেন্টগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতায় জড়িত হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক৷ তারা অন্যান্য রাজ্যের সংসদ ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্রিয়াকলাপের প্রচারের ক্ষেত্রে দায়ী, বিশেষ করে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, তথ্য বিনিময়, পারস্পরিক পরামর্শ এবং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সাধারণ স্বার্থের প্রচার ও প্রচারের বিষয়ে।
এটি সংসদীয় সহযোগিতার একটি ধারণার ফল যা ২০২২ সালের মে মাসে লিসবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম এবং ডেপুটি স্পিকার ড. আদাও সিলভা-এর মধ্যে একটি বৈঠকের সময় উত্থাপিত হয়।
এই গ্রুপ গঠন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের প্রতি পর্তুগালের জনগণের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি এবং এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ছাড়ার হুমকি দেননি রোনালদো: পর্তুগাল কোচ
পর্তুগালের বিনিয়োগ,বায়ু বিদ্যুতের অভিজ্ঞতা চায় বাংলাদেশ: শাহরিয়ার আলম
১ বছর আগে
বিদেশি মিশনের সঙ্গে নথি শেয়ারের কারণ জানালেন শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সরকার ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশনের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করার তাগিদ অনুভব করেছে, যেন কোনো ‘ভুল তথ্য’ বা ‘শঙ্কা’ না থাকে।
তিনি বলেন, ‘এটা নতুন নয়, দেশে কিছু ঘটলে আমরা সবাইকে জানিয়ে রাখি। এটা স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার মধ্যে পড়ে। অতীতেও এটা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি মিশনে নথি পাঠিয়েছে এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি সাতদিনই বিএনপি তাদের (কূটনীতিকদের) সঙ্গে বৈঠক করেছে। দেশে নির্বাচনের আগে এধরনের কর্মসূচি নিয়ে যেন কোনো ‘ভুল তথ্য’ বা ‘শঙ্কা’ না থাকে, তাই আমাদের উচিত প্রকৃত তথ্যটা তাদের (কূটনীতিকদের) জানিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশে-বিদেশে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। তারা ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছিল কারণ বড় কিছু দেশ ৯ ডিসেম্বর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি লবিস্টদের জন্য কোটি কোটি ডলার ও পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে, যারা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে যে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এটিকে কেন্দ্র করে তারা একটি সেলিব্রেশনের মুডে ছিল এবং প্রমাণ করতে চেয়েছিল যে সরকারের কোন বন্ধু নেই।’
শাহরিয়ার বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপি কমিশনার এবং অন্যান্যরা বলেছে যে কোনোভাবেই বিএনপির সমাবেশে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সরকার সে নিশ্চয়তা দেবে। কিন্তু তারা সেটা না মেনে অতি উৎসাহিত হয়ে ৭ তারিখ থেকে রাস্তাঘাট ব্যারিকেড করে দখল করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিএনপিকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসমাবেশের জন্য তাদের জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ার দায় সরকার নেবে না: শাহরিয়ার আলম
শাহরিয়ার বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বিশাল একটি ঐতিহাসিক স্থানে বিএনপি সমাবেশ করতে চায়নি তার প্রথম কারণ হলো-তাদের যে নৈতিক স্থলন হয়েছে তার সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্পিরিট মেলেনা। দ্বিতীয়ত- তারা এত পরিমাণ মানুষের সমাবেশ করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, রাজনীতি পিকনিকের মতো নয় যে জনগণ চলাচলের রাস্তা অবরোধ করে বাধা সৃষ্টি করা হবে।
১২ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় অবস্থিত সকল বিদেশি মিশন ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের অফিসের সঙ্গে ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক একটি নথি’ শেয়ার করেছে।
১৬ ডিসেম্বর গৌরবময় বিজয় দিবসকে সামনে রেখে রাজধানীর নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা, সম্পত্তির নিরাপত্তা, জনসাধারণের চলাচল এবং সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, ‘সম্ভবত, বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠানস্থল থেকে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চেয়েছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনসাধারণের চলাচলের ব্যস্ত রাস্তায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, যেমন তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে করেছিল।’
এতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি তাদের বেআইনি দাবি আদায়ের জন্য সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে চায়।
ইউএনবির দেখা নথি অনুসারে, বেআইনি ও সহিংস উপায়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য চাপ দেয়ার জন্য বিএনপি একটি চক্রান্ত করেছে।
পুলিশ জানায়, বিএনপি দলীয় কার্যালয়েও ককটেল পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নথি অনুসারে, পরিস্থিতি প্রমাণ করে যে বিএনপির প্রকৃত পরিকল্পনা ছিল নির্ধারিত জনসমাবেশের তিন দিন আগে জোরপূর্বক ও বেআইনিভাবে রাস্তা দখল করা।
পরবর্তীতে বিএনপি তাদের ১০ ডিসেম্বরের সভার জন্য একটি বিকল্প ভেন্যুর (গোলাপবাগ মাঠ) বিষয়ে রাজি হয় এবং কোনো বড় ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এটি মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সদিচ্ছা ও প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশৃঙ্খলা না করার আহ্বান কাদেরের
বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে
নাসার স্পেসএক্স মিশনের নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরছেন
ড্রাগন মহাকাশযানে চড়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন নাসার স্পেসএক্স ক্রু মিশনের চার নভোচারী। নাসা জানিয়েছে, শুক্রবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফ্লোরিডা উপকূলে নিরাপদে অবতরণ করেন নভোচারীরা।
চার সদস্যের আন্তর্জাতিক ক্রু সদস্যরা হলেন-নাসার মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন, বব হিনস, জেসিকা ওয়াটকিনস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোচারী সামান্তা ক্রিস্টিফোরেটি।
মহাকাশযানটি শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ এর দিকে ইস্টার্ন টাইম (১৬০৫ জিএমটি) এ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আনডক করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে এই অভিযাত্রীরা যাত্রা করেন।
আরও পড়ুন: মহাকাশযান গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করতে সফল হয়েছে: নাসা
দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
২ বছর আগে
৪ নভোচারীকে নিয়ে ফিরেছে স্পেসএক্স
স্পেসএক্স শুক্রবার মেক্সিকো উপসাগরে চার নভোচারীকে নিয়ে ফেরত এসেছে।
ক্যাপসুলে থাকা তিন মার্কিন মহাকাশচারী এবং একজন জার্মান নাগরিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে টাম্পার কাছে ফ্লোরিডা উপকূল পাড়ি দিয়েছে।
নাসার রাজা চারি, টম মার্শবার্ন এবং কায়লা ব্যারন এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ম্যাথিয়াস মাউরকে স্টেশনে থাকা সাত মহাকাশচারী উষ্ণ অর্ভ্যথনা জানান।
ম্যাথিয়াস মাউর বলেন, ‘এটি একটি ছয় মাসের মিশনের সমাপ্তি, কিন্তু আমি মনে করি মহাকাশ স্বপ্ন বেঁচে আছে।’
স্পেসএক্স গত সপ্তাহে একটি চার্টার ট্রিপ শেষ করেছে।
মাস্কের কোম্পানি দুই বছরেরও কম সময়ে ২৬ জনকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আটজন মহাকাশ পর্যটক ছিলেন।
আরও পড়ুন: মারিউপোলে ইস্পাত কারখানায় অবরুদ্ধ সেনাদের আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি
তেল আবিবের কাছে ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরাইলি নিহত
২ বছর আগে
আ.লীগের প্রচারণায় বিদেশে মিশন ব্যবহার করছে সরকার: বিএনপি
আওয়ামী লীগের প্রচারণায় সরকার বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দূতাবাস/মিশনের প্রাথমিক দায়িত্ব। জনগণের করের টাকায় এ সব মিশনের ব্যয় বহন করে রাষ্ট্র।’
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, লজ্জাজনক ও অপেশাদার উপায়ে এসব মিশন জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘এসব সংস্থা মিথ্যা ও জনগণকে প্রতারিত করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘খালেদাকে সম্মননা দেয়া প্রতিষ্ঠানটি বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছে। তিনি নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে (র্যাবের ওপর) নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তার (মিকস) বক্তব্যকে বিকৃত করে এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ধুম্রজাল তৈরি করে ওয়াশিংটনে অবস্থিত মিশন শুধু সচেতন মানুষকেই প্রতারিত করেনি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসম্যান মিকস নিজেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, তার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক হাউস কমিটির ওয়েবসাইটে পোস্ট করা বিবৃতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিকস স্পষ্টভাবে র্যাব ও এর কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছেন। মিকস বলেছেন তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় তা নিশ্চিত করাসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে তিনি কাজ করবেন।’
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংবাদ সম্মেলনের সূত্র ধরে সেখানে অবস্থিত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। যেখানে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মীর বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যা দূতাবাসকে রাষ্ট্রের বদলে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার প্রমাণ।’
তিনি বলেন, দুই দূতাবাসের এসব কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে সরকারের ‘অশুভ’ প্রচেষ্টার সর্বশেষ প্রমাণ।
২ বছর আগে