বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি
৩ দিনের অবরোধে যানবাহন চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সমিতির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী বিএনপির ৩ দিনের অবরোধকে সামনে রেখে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সোমবার পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ’র সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার দুপুরে ঢাকায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অবরোধ অমান্য করে যানবাহন চলাচলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের ৩ দিনের অবরোধ শুরু মঙ্গলবার থেকে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত ১৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুনে পুড়ে মারা গেছেন নাঈম নামে অসিম পরিবহনের এক কর্মী।
এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ না হয় সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে দেশব্যাপী ৩ দিনের অবরোধ বিএনপির
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে সভায় মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান, ঢাকা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্বাস উদ্দিনসহ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাস্তা দখল ও অবরোধের হুমকি দিয়ে বিএনপির ইচ্ছা পূরণ হবে না: কাদের
১ বছর আগে
লকডাউনে খাদ্যসামগ্রী পেল কর্মহীন ১২০০ পরিবহন শ্রমিক
চলমান লকডাউনে কর্মহীন ১ হাজার ২০০ পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী সামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও এনা ট্রান্সপোর্ট লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
রবিবার সকালে নগরীর মহাখালী বাস টার্মিনালে তিনি তার নিজস্ব তহবিল থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে চাল, আলু, তেল, ডাল ও পিঁয়াজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের তৃতীয় দিন: ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা নির্জন
এ সময় খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে সকল গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সকল পরিবহন মালিক, মালিক সমিতি, পরিবহন কোম্পানির নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে বলতে চাই, আপনারা সবাই এসব পরিবহন শ্রমিকদের এমন দুর্দিনে নিজ নিজ জায়গা থেজে এগিয়ে আসুন। এসব অসহায় পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান।
‘আমি নিজ উদ্যোগে অল্প পরিসরে আজ থেকে শুরু করেছি। আজ এই ১২০০ কর্মহীন শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। আপনারাও এটি শুরু করে তাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা সবাই যেন তাদেরকে দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করে দেই,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: লকডাউন: সিরাজগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ জনকে জরিমানা
সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকরা কাজ করলে বেতন পায়, না করলে পায় না। ফলে যে কয়দিন লকডাউন অবস্থায় থাকে সে কয়দিন তারা বেতন পান না। তখন অনেকেই না খেয়ে থাকেন। তবে আমরা লকডাউনের মধ্যেও প্রতিটি টার্মিনালে শ্রমিকদের জন্য রান্না করে খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এই সময়টাতে আমরা যেন তাদের পাশে থাকি। আমরা সবাই যদি এগিয়ে আসি তাহলে তারা কেউ না খেয়ে থাকবে না। আমি আশা করবো সকল শ্রমিক ইউনিয়নও এই দায়িত্ব পালন করবে।’
আরও পড়ুন: যেমন গেল লকডাউনের দ্বিতীয় দিন
অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরু,কার্যকরী সভাপতি ওসমান আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ সদু, মহাখালী বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মো আবুল কালাম, সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
৩ বছর আগে