মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক ( ডিসি ) সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে আমাদের মন্ত্রনালয়ের দুটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে একটি হলো চট্টগ্রামের কালুরঘাটে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ করা। কারণ কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে প্রথম বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়, সেজন্য সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে। জেলা প্রশাসকদের বলেছি কোথাও জায়গা পাওয়া গেলে বা দিলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি এর আগে যখন চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম, তখন জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাছাকাছি কাট্টতলি মৌজা একটি জায়গা দেখেছিলেন। তখন আমি বলেছিলাম, কাগজপত্র পাঠিয়ে দিলে সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে স্মৃতিস্তম্ভ করব।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে দুটি প্রস্তাব রেখে আসছি। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- ভূমির সাব-রেজিস্ট্রি অফিস আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে, সেটার এলোকেশন অফ বিজনেস পরিবর্তন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনলে ভাল হয়। কারণ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যক্রম ভূমি অফিসের রিলেটেড, এটি যদি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসে তাহলে কাজে গতি আসবে। দ্বিতীয় প্রস্তাবটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে। সেটা হলো- আমরা যেসব জিনিসপত্র কিনি তার জন্য ভ্যাট দোকানদাররা রাখে। কিন্তু দোকানদাররা সেই ভ্যাট ঠিকমতো জমা দেয় কিনা সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আর জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের দোকান থেকে যেসব পণ্য কেনা হয়; সেসব পণ্যের ক্রয় রশিদ হাতে লেখা থাকে। ফলে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা হয়। এজন্য সরকার যদি নিজ উদ্যোগে সব দোকানদের ইএফটি মেশিন সরবরাহ করে তবে রাজস্ব সরকারের কোষাগারে জমা হবে। এতে সরকারের আয় বৃদ্ধি হবে। যদি কোনো দোকানদারের ইএফটি মেশিন কেনার সামর্থ না থাকে তবে সরকার লোন প্রদান করতে পারে। পর্যায়ক্রমে ২০টি কিস্তি বা ধাপে তাদের কাছ থেকে মূল্য কেটে নেয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর হলেই বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
করোনা টিকার ২য় ডোজ নিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী
কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ২য় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর সচিবালয় ক্লিনিকে তিনি টিকা নেন। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সংকটের মাঝেই ব্রাজিলের করোনা পরিস্থিতির অবনতি
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকা দিয়ে মন্ত্রী ভালো বোধ করছেন। কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি।
আরও পড়ুন: 'জনসন অ্যান্ড জনসন'-র করোনাভাইরাসের টিকা কিনবে না অস্ট্রেলিয়া
টিকা দেয়ার সময় সচিবালয় ক্লিনিকের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড আড়াই লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেন।