বিশ্বজুড়ে মৃত্যু
করোনায় একদিনে আরও ১৯৯ প্রাণহানি, শনাক্ত ১১৬৫১
সারাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে বুধবার আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২০১ জন। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭৯২ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একদিনে আরও ১১ হাজার ৬৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি। শনাক্তের হার ৩১.৬২ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ এবং ৬৬ জন নারী।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন। সুস্থতার হার ৮৬.৫৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬০ শতাংশ।
অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
এদিকে, সারাদেশের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ এবং করোনা রোগীদের শয্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি করণীয় ও চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সকল বিভাগ ও জেলার সাথে ভিডিও কনফরেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে একদিনে মৃত্যু ৫১
প্রধানমন্ত্রী মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস কোভিড-১৯ এর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ঘরে থাকার এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনই মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৪১ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৩২ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮২৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৬ হাজার ২১৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ৩৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬৫ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ২১১ জনে।
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯: বিশ্বে শনাক্ত ১৪ কোটি ১৮ লাখ ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে শনাক্ত ও প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জনে।
এছাড়া, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৩৫৩ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮২ জনের।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬৯ জন। দেশটিতে গত দুদিন ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১২ জন। যা এ পর্যন্ত দেশে একদিনে মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে টানা চারদিন শতাধিক মৃত্যু দেখলো দেশ।
এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৯৭ জনে।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে ৪ হাজার ২৭১ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ২৩ হাজার ২২১ জনে।
আরও পড়ুন: চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ভারতের টিকা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নতুন সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ২১ হাজার ৩০০ জন।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ১৫২টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৭.৬৮ এবং এ পর্যন্ত ১৩.৯২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতারহার ৮৫.৯১ শতাংশ।
চলমান টিকাদান কার্যক্রম
সরকার ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ হতে সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি ব্যবহার করছে, যা ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট হতে সংগ্রহ করা হয়।
৩ বছর আগে