বিএএফ
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) তাদের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। সে কারণে প্রতিবছর এই দিনটি ‘বিমান বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়।
ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ভারত সরকারের দেওয়া একটি অটার বিমান, একটি ডাকোটা বিমান এবং একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার দিয়ে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাত্রা শুরু করে।
সেসময় ইউনিটটিতে বাঙালি পাইলট, প্রযুক্তিগত বাণিজ্যের এয়ারম্যান এবং বেসামরিক বিমানচালক সহ ৫৭ জন সদস্য ছিল।
আন্তঃসেবা জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকারি সফরে ইউএই’র উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিমান বাহিনী প্রধান
অনুষ্ঠানে ‘কিলো ফ্লাইট’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি, বিমান বাহিনীর বিবর্তনে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর অবদান, বিমান বাহিনীর বর্তমান উন্নয়ন এবং বাফওয়া’র উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান, আমন্ত্রিত ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এয়ারম্যান, এমওডিসি (এয়ার), বেসামরিক নাগরিক এবং ঢাকা এলাকার সকল বিএএফ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বিমানবাহিনীর সকল ক্ষেত্রের সদস্যদের উচিত মুক্তিযুদ্ধ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
এর আগে বর্ষপূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে বিএএফ ঢাকায় বিভিন্ন বিমানের ফ্লাইপাস্টের আয়োজন করে। এছাড়া দেশ ও বিমানবাহিনীর মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনীর ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ব্যানএয়ার কন্টিনজেন্টসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে বিমানে শিশু: ১০ কর্মকর্তা বরখাস্ত
বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও সম্পর্ক জোরদার করবে: বিসিসিআইজে সভাপতি
১ বছর আগে
বিমান বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যদের জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে পেশাগত দক্ষতা, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম ছাড়া লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব। আশা করি আপনারা এগুলো সম্পর্কে সচেতন হবেন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলবেন।‘
বুধবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) বহরে ‘গ্রোব জি-১২০ টিপি’ প্রশিক্ষণ এয়ারক্রাফ্ট অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যশোরে বিএএফ ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বিশেষ কার্ড পাবেন ১ কোটি মানুষ: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যুদ্ধে নয় শান্তিতে বিশ্বাস করে, কারণ দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।
তিনি বিমান বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে প্রযুক্তি, যুদ্ধ ও অন্যান্য সমস্ত প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, যদি আমাদের ওপর কখনও হামলা হয় সে চিন্তা মাথায় রেখে অবশ্যই আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজে গতি আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাহিনীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত ও যুগোপযোগী ফ্লাইট প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য, সরকার ইতোমধ্যেই ডিজিটাল ককপিটের সঙ্গে অত্যাধুনিক ফ্লাই-বাই-ওয়্যার ও ওয়াইএকে- ১৩০ কমব্যাট ট্রেনার, কে-৮ ডব্লিউ জেট ট্রেনার, এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষক, এডাব্লিউ ১১৯ কেএক্স,হেলিকপ্টার প্রশিক্ষক এবং বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের সিমুলেটর দিয়েছে।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১২টি গ্রোব জি-১২০ প্রশিক্ষণ এয়ারক্রাফ্ট বিমান বাহিনীর বহরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও কয়েকটি গ্রোব জি-১২০ প্রশিক্ষণ বিমান বাহিনীতে যুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলার স্লোগান ‘জয় বাংলা’: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী অংশীদারিত্বের প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বলেছেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।
তিনি উল্লেখ করেন যে, করোনা মহামারি আমাদেরকে মানব ইতিহাসের এক চূড়ান্ত পথে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।
তিনি বলেন, ‘মহামারির আর্থ-সামাজিক প্রভাব ব্যাপক এবং এখনও পর্যন্ত তা বাড়ছে। সুতরাং সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এ ওয়াল্ড ইন চেঞ্জ: জয়েন হ্যান্ডস টু ট্রেংদেন গ্লোবাল গভর্নেন্স এন্ড অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) কোঅপারেশন’ শীর্ষক চার দিনের বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া’র (বিএএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পূর্ব রেকর্ড করা ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
অংশীদারিত্ব এবং সংযোগ
শেখ হাসিনা তিনটি বিষয়ে মনোনিবেশ করেন –
প্রথমত, মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য দৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তা এবং বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসেবে ঘোষণা করে ভ্যাকসিনগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করা।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবন সর্বাগ্রে: প্রধানমন্ত্রী
দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য একসাথে কাজ করার প্রয়োজনয়ীতা এবং তৃতীয়, বিরামবিহীন শারীরিক এবং ডিজিটাল সংযোগ।
তিনি বলেন, ‘আসুন একসাথে চিন্তা করি, একসাথে কাজ করি এবং একসাথে এগিয়ে যাই।’
আরও তহবিল গঠন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি সংকট চলাকালীন কেউ যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাপী সম্প্রদায়েরর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, সব দেশকে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর করার জন্য একসাথে কাজ করা দরকার যাতে প্রত্যেকের ভ্যাকসিন এবং চিকিত্সার প্রয়োজনীয়তা পূরণ হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ডব্লিউএইচও, জিএভিআই এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সদস্য রাষ্ট্রের অধিকার, সাম্য এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: মহামারিতে বৈশ্বিক শান্তি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোকে অন্যদের সার্বজনীন ভ্যাকসিনের কভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে তাদের উত্পাদন করতে সহায়তা করা উচিত।
তিনি বলেন, এই সংকটময় সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তাও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর তহবিল থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহামারির বিরূপ প্রভাব হ্রাস করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি যা আমাদের জিডিপির ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।’
তিনি উল্লেখ করেন যে সার্ক, বিমসটেক, এসএএসইসি, বিবিআইএন এবং বিসিআেএম’র মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন আঞ্চলিক যোগাযোগের উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত।
‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং এর বাইরেও বহু মাল্টি মডেল লিংকেজের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বাংলাদেশ বিশ্বাস করে বৈশ্বিক গভর্নেন্স শক্তিশালী করা এবং অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং এর বাইরেও বহু-মাল্টিমডেল লিংকেজের সাথে সম্পৃক্ত এবং বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে বিআরআই এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে এই মহাদেশে বিপুল জনসংখ্যা, বিস্তৃত বাজার এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে আরও দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের এসডিজি অর্জন করতেও সহায়তা করবে যা আমরা প্রত্যেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । একে অপরের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা বাড়ানো দরকার।’
৩ বছর আগে