যুবলীগকর্মী
রাজধানীতে যুবলীগকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় ১০ জন গ্রেপ্তার
রাজধানীর গুলবাগ এলাকায় শুক্রবার (২১ জুলাই) ভোরে যুবলীগ কর্মী অলিউল্লাহ রুবেল হত্যার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্দেহভাজন ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- হাবিব আহসান, মো. আলিফ হোসেন, মো. রবিউল সানি, মো. মেহেদী হাসান, মো. শাহজাল, মো. রফিকুল ইসলাম, নুর আলম, মো. সুমন মীর, আদনান আসিফ ও মো. শাকিল।
এর মধ্যে আসিফ ও শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর রবিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীতে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় র্যাব ও ডিবি পুলিশ।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ফোর্স মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শান্তিবাগ এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে শাহজালালের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জেরে রুবেলকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
সম্প্রতি রুবেল ইন্টারনেট ও ডিমের ব্যবসার পাশাপাশি পানি সরবরাহের ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করেন।
ডিবি প্রধান মো. হারুন-উর-রশিদ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আরেক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শান্তিবাগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিবিড় ও শাহজালাল নামে একজনের সঙ্গে ভুক্তভোগী রুবেলের বিরোধ ছিল।
তিনি বলেন, রুবেলকে হত্যার জন্য নিবিড় ও শাহজালাল হাবিবকে ভাড়া করেন এবং হাবিবকে চাকু কেনার জন্য ৪ হাজার টাকা দেন নিবিড়।
ডিবি কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী হাবিব খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি ছুরি কেনেন।
হারুন জানান, হত্যার দিন হাবিব আলিফ গুলবাগের মালিবাগ বাজার সড়কে রুবেলের বাসার সামনে অবস্থান নেন এবং মেহেদী ও সানি পাহারায় ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
হাবিব ও আলিফ রুবেলকে রিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে ধাওয়া করেন এবং একপর্যায়ে আলিফ রুবেলকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, হাবিব ও আলিফ তাকে নির্বিচারে কুপিয়ে জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাজিনা দেওয়ান বাদী হয়ে শাহজানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার ডিবি প্রধান বলেন, রুবেল হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন। তিনি কোনো পদে না থাকলেও স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
১ বছর আগে
চাঁদপুরে যুবলীগকর্মীর মৃত্যু: গ্রেপ্তার ৫
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় রবিবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত মোবারক হোসেন বাবু বাহাদুরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এদিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) সুদীপ্ত রায় ইউএনবিকে বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি কাজী মিজানসহ ৬০/৬৫ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২ কোটি টাকার হেরোইন জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত মুসা ও মিজানসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অন্যদিকে, যুবলীগকর্মী বাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও স্বাধীনতা পদক বিজয়ী মোফাজ্জল হোসেন মায়া চৌধুরি দলের নেতা কর্মীসহ গতকাল শনিবার বিকালে হাসপাতালে দেখতে যান।
এর আগে শনিবার (১৭ জুন) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। সমাবেশে যাওয়ার পথে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগকর্মী মোবারক হোসেন বাবু নিহত হন। নিহত বাবু মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার অনুসারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রব্বানী হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার ৯ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
রাজশাহীতে ভুয়া নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ফেনীতে যুবলীগকর্মীর সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার
লকডাউন চলাকালে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে এক যুবলীগকর্মী রিকশাযাত্রীর সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। সেই সাথে ঘটনাস্থলে থাকা দুই কনস্টেবলকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
সোমবার রাতে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে হারিয়ে যাওয়া ৬ লাখ টাকা ফিরে পেলেন ব্যবসায়ী
তিনি জানান, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়ানো যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার সাথে পুলিশ সদস্যরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতেন। পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী স্বাক্ষরিত ওই আদেশে এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তিন মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন রিকশাযাত্রী হঠাৎ করেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন লকডাউনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সাথে।
ফেনী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফেনী মডেল থানার দায়িত্বরত এসআই যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা রিকশার গতিরোধ করে রিকশায় বসে থাকা এক যাত্রীকে চলমান লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচল করতে বাধা প্রদান করছিলেন। এ সময় ওই যাত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাকে রিকশা থেকে নামতে বলেন পুলিশ সদস্যরা। কেন তার গতিরোধ করা হল বলে ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে- 'অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভূমিদস্যুদের হামলায় ভূমি কর্মকর্তাসহ আহত ১০
এক পর্যায়ে তাকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকেন। পুলিশ তাকে পাগল আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চায় যুবক।
তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। ওই ব্যক্তি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে পুলিশ সদস্যরা তাকে আঘাত করে। এ সময় ওই ব্যক্তিও পুলিশদের পাল্টা আঘাত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এক পর্যায়ে একাধিক পুলিশ সদস্য তাকে জাপটে ধরে এবং হ্যান্ডকাফ পরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ওই হ্যান্ডকাফ পরতে অস্বীকৃতি জানায় এবং গালাগালিসহ এলোপাতাড়ি হাত-পা ছুড়তে থাকে।
ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করলে ওই ব্যক্তি সবার উদ্দেশে বলেন, 'মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন।' একই সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে চিৎকার করে ভিডিও করতে বলে।
পরে এক পর্যায়ে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য তাকে হ্যান্ডকাফ পরানোর জন্য জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় উপস্থিত জনতার তোপের মুখে তারা আবার ওই ব্যক্তিকে ধরে উঠান এবং হ্যান্ডকাফ পরান।
আরও পড়ুন: ঈদে শিথিল হতে পারে লকডাউন: কাদের
এদিকে, মোটবী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন রিয়াদ বলেন, 'পুলিশের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা। আগে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন শহীদ। বর্তমানে ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। তার মানসিক সমস্যা আছে বলে আমার জানা নেই।'
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ মডেল স্কুলের সামনে থেকে অটক যুবক শহীদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলে। এক পর্যায়ে তার স্বজনদের ঢেকে আনলে তারা মানসিক সমস্যার কথা জানায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে