ডেঙ্গু রোগী
দেরি করে হাসপাতালে আসার কারণেই ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু বাড়ছে: ডা. আবু জাফর
দেশে অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও রোগটিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় তুলনামূলক মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।’
সোমবার (২ ডিসেম্বর) মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের জটিল পরিস্থিতি তৈরি না হলে সাধারণত তারা হাসপাতালে আসছে না। এতে দেখা যায়, খুব অল্প সময়ে রোগী ঘাবড়ে যাচ্ছে। রোগীদের পেটে ও ফুসফুসে পানি আসছে। এমন একটা সময়ে তারা হাসপাতালে আসছে, যখন আর তাদের জন্য কিছু করা যাচ্ছে না। শুধু দেরি করে হাসপাতালে আসার কারণেই মৃত্যুটা বেশি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে যোগ দিতে না পেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে গেছেন ডা. রোবেদ আমিন
ডা. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে ঢাকায়, যাদের বয়স ২০ থেকে ৪০ বছর। তবে চট্টগ্রামে শিশু ও বৃদ্ধদের মৃত্যুহার তুলনামূলক বেশি। এর কারণ হলো ডেঙ্গু হলে মানুষ গুরুত্ব কম দিচ্ছে,তাই মৃত্যুটা বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুর পাশাপাশি দেশে চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জিকা ও চিকনগুনিয়া নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তার কারণ নেই।’
অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই কোনো লক্ষণই দেখা দেয় না। এছাড়া এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ জানান, এ বছর চিকনগুনিয়ায় ৬৭ জন এবং জিকা ভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণের সময় এ তথ্য পাওয়া যায়। চিকনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাস এডিস মশার মাধ্যমেই ছড়ায়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি
২ সপ্তাহ আগে
এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যে পর্যন্ত এডিস মশা থাকবে সে পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীও থাকবে। তাই আমাদের মশা কমাতে হবে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চীন সরকারের ডেঙ্গু কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চীন সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ১০ লাখ ডেঙ্গু টেস্ট কিট পাব। পাশাপাশি তারা বেশ কিছু যন্ত্রপাতিও দিবে। এর মধ্যে রয়েছে- ব্লাড সেপারেটর, ফ্রিজার, অটো হেমাটোলাইজার ও ব্লাড ব্যাগ। এসব জিনিস আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজন হয়।
এসব জিনিস আমাদের রয়েছে এবং যেগুলো পেলাম তাতে আমাদের হাসপাতালগুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর টিকা আপাতত কোনো কাজে আসছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মশার ওষুধ স্প্রে করতে হবে, নিজের আঙ্গিনা ও ঘরের ভেতর নিজেদেরই পরিষ্কার রাখতে হবে। এর বাইরে ডোবা-নালা যেগুলো রয়েছে সেগুলো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা করবে।
তিনি আরও বলেন, তাদের আমরা সব সময় বলে আসছি, বছরব্যাপী একটি কর্মসূচি তাদের করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। তা না হলে প্রতিবছরই ডেঙ্গুর সমস্যা দেখা দেবে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা বেড রয়েছে, আইভি ফ্লুয়িড বা স্যালাইনের কোনো অভাব নেই।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও আছে, প্রতিদিন প্রায় ১০ জন ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে এবং দুই হাজারের বেশি লোক প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি যেটা দেখেছি, ঢাকার বাইরে সারাদেশে এখন ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বেশি। ঢাকায় সংক্রমণের হার কমে আসছে, কিন্তু মৃত্যু হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ক্রিটিকাল কেসগুলো ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। লম্বা সময় জার্নি করে আসার কারণে অনেক সময় রোগী শক সিনড্রোমে চলে যায়। ফ্লুইডের অভাবেও তারা মারা যান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নারীদের সংক্রমণ কম হলেও মৃত্যুর হার বেশি। নারীরা অনেক সময় চিকিৎসা নিতে দেরি করেন। নারীদের ব্যাপারে আরও বেশি সজাগ হওয়া প্রয়োজন। তাদের তাড়াতাড়ি পরীক্ষা ও চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই নারীদের মৃত্যুহার কমে যাবে।
আরও পড়ুন: জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কালাজ্বর নির্মূলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে ডব্লিউএইচও: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
ডিএসসিসির ২টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪ নম্বর ও ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওয়ার্ড দুটিতে প্রতি সপ্তাহে ১০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়ায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো তালিকা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর তথ্য যাচাই-বাছাই ও পর্যালোচনা শেষে এসব ওয়ার্ডে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ১১ জন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ড্যাপের অনুসরণে নতুন ১৮ ওয়ার্ডের সড়ক অন্তর্জাল সৃষ্টি করা হবে: ডিএসসিসি মেয়র
ঘোষিত রেড জোন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে দিনব্যাপী ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং বেলা ১১টায় ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অংশ নেবেন।
এ উপলক্ষ্যে রবিবার দিনব্যাপী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার প্রজননস্থল নির্মূলে ওয়ার্ড দুটিতে ব্যাপক কার্যক্রম চালানো হবে।
এ কার্যক্রমে ওয়ার্ড দুটিতে ৯০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাবে। এ ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে ১৩ জন ও বিকালে ১৩ জন করে মশককর্মী লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে অংশ নেবে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট দক্ষিণ সিটির ৫, ২২, ৫৩ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এডিস বিরোধী অভিযান: ডিএসসিসি’র ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএসসিসির মশকনিধন অভিযানে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
১ বছর আগে
খুলনায় আইভি স্যালাইন স্বল্পতায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত
খুলনায় তীব্র হয়েছে আইভি বা ইন্ট্রাভেনাস (শিরায় দেওয়া) স্যালাইনের সংকট। বাড়তি টাকা দিয়েও ফার্মেসিতে মিলছে না স্যালাইন। দুই-একটি দোকানে পাওয়া গেলেও রাখা হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দাম।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বাড়তি দাম রাখার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এতে সংকট আরও তীব্র হয়েছে।
এদিকে, জেলায় ডেঙ্গু রোগীদের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালেও রয়েছে স্যালাইন সংকট। গত সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীদের কোনো স্যালাইন দেওয়া হয়নি।
অবশ্য বৃহস্পতিবার হাসপাতালটিতে ৩ হাজার লিটার স্যালাইন এসেছে। কিন্তু চিকিৎসাধীন থাকা বিপুল সংখ্যক রোগীর তুলনায় এটি খুবই সামান্য।
চিকিৎসকেরা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন বেশির ভাগ রোগীর চিকিৎসার জন্য স্যালাইন প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্যালাইন খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ডিএনএস স্যালাইন সংকট, বিপাকে রোগীরা
তারা আরও বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের জলীয় অংশ কমে যায়। এতে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ কমে যায়। রক্তের তারল্য ঠিক রাখতে ও রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখতে রোগীকে স্যালাইন দিতে হয়।
একজন রোগীকে দিনে এক থেকে দুই লিটার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বেশি স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় সাধারণত দশমিক ৯ শতাংশ সোডিয়াম ক্লোরাইড স্যালাইন রোগীর শরীরে পুশ করতে হয়। চিকিৎসকেরা এটাকে ‘নরমাল স্যালাইন’ বলে থাকেন।
খুমেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১০ দিন আগেই শিরায় দেওয়া সব স্যালাইন শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগীদের আর স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে না। রোগীরা বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনছেন। অবশ্য বৃহস্পতিবার থেকে সংকট কিছুটা কমেছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন নাজমুল হক বলেন, ৬ দিন ধরে ভর্তি থাকলেও হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। সবই বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। বাইরের দোকানগুলোতে স্যালাইন না পাওয়ায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে স্যালাইন কিনতে হয়েছে, দামও পড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
আরও পড়ুন: স্যালাইন উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে ওষুধ কোম্পানিগুলো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নগরীর ময়লাপোতা মোড়, সোনাডাঙ্গা, খুমেক হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানগুলো ঘুরে ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি দেখতে পান, অধিকাংশ দোকানেই ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত আইভি স্যালাইন পাওয়া যায়নি।
দোকানদারেরা বলেছেন, ওই স্যালাইনের সরবরাহ নেই। তবে দুই-একটি দোকানে স্যালাইন পাওয়া গেছে, দাম তিনগুণ বেশি চাওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খুলনায় কিছুদিন ধরে সংকট চরম আকার ধারণ করছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও কোম্পানিগুলো স্যালাইন দিতে পারছে না। যার কারণে দাম বেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হাসপাতাল-দোকান কোথাও মিলছে না ডিএনএস স্যালাইন
১ বছর আগে
ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৪৫
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কেউ মারা যাননি।
একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৪৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৩
আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৭৯ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৭৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৩৭৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৩০২ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৬১ হাজার ৪০৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৮ হাজার ৬৮৮ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ৭২০ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬০ হাজার ৪৬১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদের মধ্যে ৩৮ হাজার ১৪৭ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২২ হাজার ৩১৪ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২৫
ডেঙ্গু: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ৪৯
২ বছর আগে
ডেঙ্গু: প্রাণ গেলো আরও ৩ জনের
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫১৫জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৫৯
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৬জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ২৪৯জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ২৩১জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ২৪৩জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৯৮৮জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২২ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৩ হাজার ৯২৮জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৪ হাজার ৬২৬জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৩০২জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫১ হাজার ৪৬০জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩৩ হাজার ২৪০জন ঢাকার এবং বাকি ১৮ হাজার ২২০জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৬০৬জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
আক্রান্তদের মধ্যে ২৮৯জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৩১৭জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৩৫১জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ২৫৮জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে এক হাজার ৯৩জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২১ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৩ হাজার ৪১৩জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৪ হাজার ৩৬০জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৫৩জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫০ হাজার ৮২৮জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩২ হাজার ৯৬২জন ঢাকার এবং বাকি ১৭ হাজার ৮৬৬জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৫৯
ডেঙ্গু: ৩ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫০
২ বছর আগে
নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩১ রোগী হাসপাতালে
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৮৬ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৩০ জনই ঢাকা বিভাগের। ঢাকার বাইরে একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯ রোগী হাসপাতালে
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি বর্তমানে ১৮৬ জনের মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৪৫ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৪২৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোধে বুধবার থেকে অভিযান শুরু: তাপস
তবে গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১০৫ জন মারা যান।
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নতুন আক্রান্ত সবাই ঢাকা বিভাগের হাসপালাতে ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৭৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৬৯ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে চার জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭৯ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪০৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭৫ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
২ বছর আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭ রোগী হাসপাতালে
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জনই ঢাকা বিভাগে এবং ঢাকার বাইরে একজন হাসপালাতে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: রাজধানীর অর্ধশতাধিক এলাকায় চিরুনি অভিযান
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৬১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে দুজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।
আরও পড়ুন: দেশে নতুন ২০ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩৯৮ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩৩৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
২ বছর আগে