নিম্ন-আয়ের পরিবার
দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আজ (১০ জানুয়ারি) থেকে সারাদেশে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য ন্যায্য মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি শুরু করবে।
ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে প্রায় কার্ডধারী এক কোটি পরিবার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবে।
একটি কার্ডের বিপরীতে কেজি প্রতি ৬০ টাকায় চিনি, কেজি প্রতি ৭০ টাকায় মসুর ডাল ও লিটার প্রতি ১১০ টাকায় সয়াবিন তেল যথাক্রমে সর্বোচ্চ এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল কেনা যাবে।
কার্ডধারীরা টিসিবির স্থানীয় পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ১ কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
১ বছর আগে
কোভিড-১৯: ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্রদের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার করোনাভাইরাসের আরও বিস্তার রোধে চলমান লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র, দুস্থ ও অসচ্ছল মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সকল জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, লকডাউন চলাকালীন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র, দুস্থ ও অসচ্ছল মানুষের তালিকা তৈরির পরে জেলা প্রশাসকরা সহায়তা প্রদান করবেন।
বিভিন্ন জেলার দরিদ্র, দুস্থ ও অসচ্ছল মানুষের সংখ্যার উপর নির্ভর করে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ একেক রকম হবে।
ইহসানুল করিম বলেন, ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকরা বরাদ্দকৃত অর্থের অংশ পাবেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং প্রাণহানি- উভয় ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী সীমিত আকারের লকডাউন আরোপ করে।
সপ্তাহব্যাপী লকডাউন শেষে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আরও এক সপ্তাহের নতুন লকডাউন কার্যকর করে এবং পরবর্তীতে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এটি বাড়ানো হয়।
১৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী চলমান করোনাভাইরাস মহামারি এবং সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৩৬ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৬ লাখ পরিবারে মধ্যে ৩৫ লাখ পরিবার স্বল্প আয়ের যারা বিভিন্ন পেশায় জড়িত থাকলেও বর্তমান করোনাভাইরাসের পরিস্থিতিতে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি এক লাখ পরিবার কৃষক যারা সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের প্রণোদনার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
৩৫ লক্ষ পরিবারকে নগদ সহায়তা হিসাবে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং কৃষকদের এক লাখ পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
কোভিড-ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ৮৮০ কোটি এবং দুর্যোগ-ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় ৩৬ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ বিতরণে সরকার মোট ৯৩০ কোটি টাকা ব্যয় করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল ৩৬টি জেলার ৩০,৯৪,২৪৯ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ১০,৩০১ হেক্টর ফসলি জমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায় এবং ৫৯,৩২৭ হেক্টর জমির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের কারণে প্রায় ১ লাখ কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রত্যেক কৃষককে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কোভিড-১৯ মহামারি -দ্বিগুণ আঘাত দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার সুপারিশ করেছে।
মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এক লাখ কৃষকের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মোবাইল নম্বর অন্তর্ভুক্ত করে তালিকাভুক্ত করা শুরু করেছে। চূড়ান্ত তালিকার কৃষকের সংখ্যার উপর নির্ভর করে কৃষকদের জন্য আসল বরাদ্দ কম-বেশি হতে পারে।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা সরকার যাচাই-বাছাই করে ৩৫ লাখ পরিবারকে নগদ সহায়তা হিসাবে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে বিতরণ করেছে। দরিদ্র পরিবারগুলিকে নগদ সহায়তা প্রদানের জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার২৫৭ কোটি৫০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: মানুষের জীবন সর্বাগ্রে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের মে মাসে মোবাইল আর্থিক পরিষেবার (এমএফএসএস) মাধ্যমে জিটুপি (সরকার থেকে ব্যক্তি) মাধ্যমে নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সরকার লকডাউন কার্যকর করেছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা এবার ৩৫ লাখ পরিবারের প্রত্যেককে নগদ সহায়তা হিসাবে ২ হাজার ৫০০ টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছেন।
৩ বছর আগে