ডগ স্কোয়াড
নারী পুলিশ দিয়ে প্রথম ডগ স্কোয়াড পরিচালনা দলের যাত্রা শুরু
অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশ পুলিশ বিমানবন্দরের নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের সমন্বয়ে প্রথম নারী পুলিশ কুকুর পরিচালনা দল চালু করেছে।
কে-৯ ডগ হ্যান্ডলার কোর্স থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে সাতজন মহিলা এপিবিএন সদস্যকে পুলিশ ডগ হ্যান্ডলার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তারা পেশাদার কুকুর স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রিসন (ইউকে) এবং মেলিন ব্রডউইক (নিউজিল্যান্ড) থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। মার্কিন দূতাবাস ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৩-এর কমান্ডিং অফিসার তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কর্তব্যরত অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ২০১৭ সালে দুটি ল্যাব্রাডর, দুটি জার্মান শেপার্ড এবং চারটি ম্যালিনিও কুকুর নিয়ে কে-৯ ডগ স্কোয়াড ইউনিট শুরু করে।
ডগ স্কোয়াড ইউনিট যাত্রীদের চেকিং এবং লাগেজ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ডগ স্কোয়াড গ্রুপে কুকুরের সংখ্যা ৬৬-এ উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রমের কথা বিবেচনা করে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০২৩ সালে ডগ স্কোয়াডে আরও পনেরটি কুকুর যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড নাশকতা, মাদক চোরাচালান ও মুদ্রা চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোর উদ্দেশে নারী পুলিশ কন্টিনজেন্টের যাত্রা
১ বছর আগে
‘কে-নাইন’: ঢাকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় অন্যন্য এক বাহিনী
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিত বিমানবন্দরের দায়িত্ব এখন নিরাপদ হাতেই রয়েছে। দেশের প্রধান এবং ব্যস্ততম এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দেয়া যায় এখানকার প্রশিক্ষিত কুকুর বাহিনীকে (ডগ স্কোয়াড)।
এই স্কোয়াডের দক্ষ কুকুরগুলোর অধিকাংশই জার্মান শেফার্ডর প্রজাতির কুকুর। এটি মূলত জার্মান শেফার্ড এবং ল্যাব্রাডর রিট্রিভার শংকর একটি জাত।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এয়ার্পোট আর্মড পুলিশ (এএপি) নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব ডগ স্কোয়াড গঠন করে। আর এই বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে ‘কে-নাইন’।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ১০ হাজার ইয়াবাসহ আটক এক
২০১৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে মাত্র চারটি কুকুর আমদানি করে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুরু হয় এই বাহিনীর পথচলা। এর আগে এএপি-কে অন্যান্য বাহিনী ডগ স্কোয়াডের ওপর নির্ভর করতে হতো। ২০১৮ সালে কে-নাইন ফোর্সে শক্তি বাড়ায় আরও চার কুকুর সদস্য। ২০১৯ সালে আরও পাঁচটি কুকুর আনা হলেও এখনো সেগুলোকে কে-নাইনে যুক্ত করা হয়নি।
কে-নাইন সদস্যদের প্রাথমিক দায়িত্ব হল মাদক-বিস্ফোরক খুঁজে বের করা, ক্রাইম সিনে প্রমাণ খোঁজা এবং পুলিশের নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করা ব্যক্তিকে আক্রমণ করা। কুকুরগুলোকে অবশ্য বিভিন্নরকম শব্দ সংকেত ও ইশারা মনে রাখারও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কে-নাইন ডগ স্কোয়াড সম্পর্কে এএপির অ্যাডিশনাল সুপারিসটেনডেন্ট (অপারেশন এবং মিডিয়া) আলমগীর হোসেন ইউএনবিকে জানান, প্রথম দুই ব্যাচের আটটি কুকুরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে মাদক এবং বিস্ফোরক দ্রব্য খুঁজের বের করার জন্য।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই কে-নাইনের আটটি কুকুরই বিস্ফোরক শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা অন্য পাঁচটি কুকুরকে এখন মাদক শনাক্তের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ হল বিমানবন্দর এবং দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
তিনি জানান, কে-নাইনের কুকুরগুলোকে গত দুই বছর ধরেই প্রশিক্ষণের ওপর রাখা হয়েছে। চলমান এই প্রশিক্ষ কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশের আমেরিকান দূতাবাস।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস নয়: প্রতিমন্ত্রী
৩ বছর আগে