আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
ভোটের মাঠে ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখার প্রস্তাব বিবেচনা করবে ইসি
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাঁচ দিনের পরিবর্তে ভোটের আগে ও পরে মোট আট দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে মূলত পাঁচ দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাখি। এবার আট দিন রাখার প্রস্তাব এসেছে— নির্বাচনের আগে তিন দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী চার দিন। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
আখতার আহমেদ জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনা সদস্য মাঠে থাকবে। এছাড়া নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য এবং ৫ থেকে ৬ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে।
এর আগে, আজ সকালে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগ; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ; পুলিশ সদর দপ্তর; বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি, ডিএজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, বিশেষ শাখা (এসবি) ও সিআইডিসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
ইসি সচিব বলেন, বৈঠকে মূলত কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়— এর মধ্যে ছিল ভোটকেন্দ্র ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা, মাঠ পর্যায়ের বাহিনীর সমন্বয়, অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, বৈধ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ও প্রচারণা প্রতিরোধ, বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক ও মনিটরিং সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় সাধারণ নাগরিকদের ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে প্রয়োজনে নিরাপত্তা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন-উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান আছে। সেই পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতেই আজকের আলোচনা, এবং এটি চলমান থাকবে,” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
৪৫ দিন আগে
গোপালগঞ্জে পরিস্থিতির কারণে গুলি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরিস্থিতিগত কারণে গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর এই জেলায় জারি করা ১৪৪ ধারা পর্যায়ক্রমে উঠিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার (২০ জুলাই) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গুলি ছোড়া নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যে সময় যে পরিস্থিতি, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হয়।’
গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের পর ওই জেলায় কারফিউ জারি করে সরকার। এখন কারফিউ প্রত্যাহার করে ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জে ধাপে ধাপে ১৪৪ ধারা উঠিয়ে নেওয়া হবে। অন্যায় করলে সে গ্রেপ্তার হবে। আমি একটি কথাই বলেছি— কোনো অবস্থাতেই যেন দুষ্কৃতিকারী ছাড়া না পায়, আর যে অপরাধ করেনি সে যেন ধরা না পড়ে।
তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি আমি অস্বীকার করছি না। এটা তো রাজনীতি। রাজনীতি করতে গেলে অনেক কিছুই অনেক সময় ঘটে। আগে যখন আমরাও রাজনীতি করেছি, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাই হচ্ছে আসল বিষয়। আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি কি না, সেটাই প্রশ্ন।
গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি— একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ মামলা করবে কি না, সেটি একটি কমিটি গঠন করে তারাই সিদ্ধান্ত দেবে। গোপালগঞ্জে গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অন্যায় করেছে, তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এছাড়া, গোপালগঞ্জের ঘটনায় ৯টি শিশুকেও আটকে রাখা হয়েছে বলে তথ্য দেন একজন সাংবাদিক। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এরকম কোনো খবর আমার কাছে নেই। এরপর তিনি জানতে চান, কোন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। তখন তাকে জানানো হয়, দৈনিক সমকালে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
ছাত্রলীগের হরতালে কম নাশকতায় স্বস্তি উপদেষ্টার
রবিবার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হরতাল নিয়ে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের তরফ থেকে একটি হরতাল ডাকা হয়েছে। হরতাল আদৌ হয়েছে কি না, সেটা বলেন? দুটি গাড়িই (পোড়ানো) হয়েছে, সত্যি কথা। নাশকতা হয়েছে। তবে অন্যান্য হরতাল আহ্বান করার সময় এই নাশকতা আরও বেশি হয়েছে। সেখান থেকে আমরা অনেকটাই কমিয়ে আনতে পেরেছি কি না, সেটি আপনারা দেখবেন।
আগামী ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে কি না— এ প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে, আরও তো অনেক সময় বাকি আছে। আমাদের প্রস্তুতি আছে, আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, নিয়মিত অনুশীলন করাচ্ছি। আল্লাহ চাইলে (নির্বাচন) করতে কোনো অসুবিধা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আমরা শুনলাম, তারা কিভাবে কাজ করছেন, আগে কী পরিস্থিতি ছিল, এখন কী পরিস্থিতি রয়েছে। তারা ফিডব্যাক দিয়েছেন। তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কি হয়নি, সেটি আপনারা বলতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: প্রয়োজনে লাশ উত্তোলন করে গোপালগঞ্জে নিহতদের ময়নাতদন্ত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩৭ দিন আগে
নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা সরকারের
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ‘মব’ সৃষ্টি করে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সবাইকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
রবিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এসময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক
সরকার দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আবারও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। অভিযুক্ত সব ব্যক্তির বিচার দেশের আইন মেনে হবে এবং বিচারাধীন বিষয় ও ব্যক্তির ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও ফৌজদারি অপরাধ। ‘মব’ সৃষ্টি করে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সবাইকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব নাগরিককে সহনশীল ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
১৬৫ দিন আগে
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থী আটক
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে পৌনে ৩টার দিকে প্রায় ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা সরে না যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন ৫৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের আটক করে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এএসপি ইউএনবিকে বলেন, সচিবালয়ে বিক্ষোভ থেকে মোট ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওযা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
৪০৭ দিন আগে
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আনসাররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছিল, আনসাররা সে সময় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। সে সময় তারা দূতাবাস, বিমানবন্দর ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা সাধুবাদ ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
রবিবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায় অবস্থিত ১৯ আনসার ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত দরবারে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, অঙ্গীভূত আনসারদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত আনসার উভয়েই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আরও ভালোভাবে পালন করার জন্য নির্দেশনা দেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব সন্তোষজনক না হলেও উন্নতির দিকে রয়েছে। আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। সেখানে আনসার বাহিনীরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীতে সংঘটিত বন্যা এবং চলমান ময়মনসিংহ ও শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কুমিল্লা দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজি উৎপাদনকারী জেলা। বন্যার কারণে এ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
রাজশাহীর নওহাটা ও খড়খড়ি বাজার পরিদর্শন করে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বাজারে যাতে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি না থাকে, সে ব্যাপারে তিনি উপস্থিত ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। কেউ চাঁদাবাজি করলে তৎক্ষণাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগরীর আমচত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আঞ্চলিক সার সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দশমী পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪১০ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় মোড়ে মোড়ে তল্লাশি, আটক ১৬
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশিতে আটক হয়েছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি করে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১৮১ ভরি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
এছাড়া মোল্লা তেঘরিয়া মোড়, চৌড়হাস মোড়, মজমপুর রেলগেট, সাদ্দাম বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের গাড়ির টহল দিতে দেখা যায়।
বুধবার ৪টার দিকে চৌড়হাস মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ব্যাগ তল্লাশি করছে। সন্দেহ হলে তাদের আটক করে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া কালেক্টরেট চত্বরের সামনে সিএনজি থেকে পাঁচজন একসঙ্গে নামলে পুলিশ তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাগ ছিল। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্রকে আটক করা হবে না। তবে কোনো দুষ্কৃতিকারীর তথ্য প্রমাণ পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ২৩ শিক্ষার্থী আটক
বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
৪৯১ দিন আগে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪ কেজি কোকেন জব্দ, বিদেশি নারী আটক
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৪ কেজি কোকেন জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় স্টেলিয়া সানতায়ি নামে বিদেশি এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীর ব্যাগ তল্লাশি করে একটি ইউপিএসের ভেতর থেকে ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ৩ কেজি কোকেন জব্দ
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ওই নারী ১৫ জুলাই তার ব্যাগ নিতে আসেন। এর আগে গত ১২ জুলাই এমিরেটসের ফ্লাইটে ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে রওনা দিয়ে দুবাই ট্রানজিট হয়ে ফ্লাইদুবাইয়ে ১৩ জুলাই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি। তখন থেকেই তিনি এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি, এপিবিএন ও ইন্টেলিজেন্সের নজরদারিতে ছিলেন।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বলেন, সোমবার ব্যাগেজে কোকেন জব্দসহ ওই বিদেশি নারীকে এপিবিএন, বিমানবন্দর সিকিউরিটি ও ইন্টেলিজেন্সের সদস্যরা আটক করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে আড়াই কেজি কোকেন জব্দ
কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫০৭ দিন আগে
মাদকের উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্থায়ীভাবে মাদকের অবাধ ব্যবহার এবং মাদক নির্মূল করতে মাদকের সরবরাহ উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দেশের সব সচেতন নাগরিককে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে৷ তাহলে কেন আমরা মাদকের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারছি না?’
বুধবার (১০ জুলাই) সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মাদকাসক্তি- অপরাধ নাকি মানসিক রোগ এবং এর প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন৷
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘মাদকের প্রবেশ পথগুলো চিহ্নিত করতে হবে৷ একইসঙ্গে মাদক ব্যবসা বা মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদক নির্মূলে সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোচনার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। মাদকবিরোধী কার্যক্রম এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে মাদকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’
ঢাকাসহ অন্য শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার মাঠ সংকটও উঠতি বয়সি ছেলেদের মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার জন্য মাঠের সংকট রয়েছে৷ যার ফলে উঠতি বয়সিরা অবসর সময়গুলো কাটানোর জন্য মাদক ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়। একটি নগর পরিকল্পনায় যেমন ২৫ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনি ড্রেনেজ, খেলাধুলা ও বিনোদন ব্যবস্থার জন্য ১৫ শতাংশ থাকতে হবে৷’
এথেনা লিমিটেডের আয়োজনে ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী, মেহের আফরোজ শাওনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
৫১২ দিন আগে
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আবারো গুম করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: বিএনপি
চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আবারও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুম করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সরকার বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে তাদের ওপর দোষ চাপানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ তুলে নেয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নেতা-কর্মীদের গুম করা নতুন করে শুরু হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। ‘তাই জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য তারা (সরকার) গুমের নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবার তরুণদের গুম করার জন্য টার্গেট করছে, যেহেতু তরুণরা অগ্রগামী হিসেবে রাজপথে আন্দোলন করছে।
অবিলম্বে এফ মাহমুদুল ও সাইফুল ইসলামকে তাদের পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন : ডিএমপি
বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের অতীতের মতো সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি।
রিজভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করুন, মহাসড়ক অবরোধ করুন এবং শান্তিপূর্ণ থাকুন। কিন্তু তারা (সরকার) আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা করছে। আমরা রাজপথে থাকব এবং সরকারের অশুভ চক্রান্ত প্রতিহত করবো।
চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
রিজভী বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ৪৯৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
৭৫৮ দিন আগে
১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত: জিএমপি কমিশনার
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০-২২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আমি আশা করি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সকলের প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন ও প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে এবং ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে সজাগ থাকবে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
৯২৫ দিন আগে