আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থী আটক
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে পৌনে ৩টার দিকে প্রায় ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা সরে না যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন ৫৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের আটক করে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এএসপি ইউএনবিকে বলেন, সচিবালয়ে বিক্ষোভ থেকে মোট ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওযা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
৪ সপ্তাহ আগে
প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আনসাররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েছিল, আনসাররা সে সময় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছে। সে সময় তারা দূতাবাস, বিমানবন্দর ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য নিঃসন্দেহে তারা সাধুবাদ ও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
রবিবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায় অবস্থিত ১৯ আনসার ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত দরবারে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, অঙ্গীভূত আনসারদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন ও অঙ্গীভূত আনসার উভয়েই তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে।
আরও পড়ুন: এবারের দুর্গাপূজায় প্রায় দ্বিগুণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভবিষ্যতে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আরও ভালোভাবে পালন করার জন্য নির্দেশনা দেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব সন্তোষজনক না হলেও উন্নতির দিকে রয়েছে। আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে। সেখানে আনসার বাহিনীরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীতে সংঘটিত বন্যা এবং চলমান ময়মনসিংহ ও শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কুমিল্লা দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজি উৎপাদনকারী জেলা। বন্যার কারণে এ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
রাজশাহীর নওহাটা ও খড়খড়ি বাজার পরিদর্শন করে বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের খোঁজখবর নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বাজারে যাতে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি না থাকে, সে ব্যাপারে তিনি উপস্থিত ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। কেউ চাঁদাবাজি করলে তৎক্ষণাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়াও রাজশাহী মহানগরীর আমচত্বরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আঞ্চলিক সার সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দশমী পর্যন্ত সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় মোড়ে মোড়ে তল্লাশি, আটক ১৬
কুষ্টিয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক তল্লাশিতে আটক হয়েছেন ১৬ জন। তাদের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।
বুধবার বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত শহরের মোড়ে মোড়ে তল্লাশি করে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ১৮১ ভরি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
এছাড়া মোল্লা তেঘরিয়া মোড়, চৌড়হাস মোড়, মজমপুর রেলগেট, সাদ্দাম বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের গাড়ির টহল দিতে দেখা যায়।
বুধবার ৪টার দিকে চৌড়হাস মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও ব্যাগ তল্লাশি করছে। সন্দেহ হলে তাদের আটক করে গাড়িতে করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া কালেক্টরেট চত্বরের সামনে সিএনজি থেকে পাঁচজন একসঙ্গে নামলে পুলিশ তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাগ ছিল। পরে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। তবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সন্দেহজনক ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। কোনো ছাত্রকে আটক করা হবে না। তবে কোনো দুষ্কৃতিকারীর তথ্য প্রমাণ পেলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে ২৩ শিক্ষার্থী আটক
বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
৩ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪ কেজি কোকেন জব্দ, বিদেশি নারী আটক
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ৪ কেজি কোকেন জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় স্টেলিয়া সানতায়ি নামে বিদেশি এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীর ব্যাগ তল্লাশি করে একটি ইউপিএসের ভেতর থেকে ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ৩ কেজি কোকেন জব্দ
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ওই নারী ১৫ জুলাই তার ব্যাগ নিতে আসেন। এর আগে গত ১২ জুলাই এমিরেটসের ফ্লাইটে ব্রাজিলের সাওপাওলো থেকে রওনা দিয়ে দুবাই ট্রানজিট হয়ে ফ্লাইদুবাইয়ে ১৩ জুলাই শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি। তখন থেকেই তিনি এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি, এপিবিএন ও ইন্টেলিজেন্সের নজরদারিতে ছিলেন।
বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বলেন, সোমবার ব্যাগেজে কোকেন জব্দসহ ওই বিদেশি নারীকে এপিবিএন, বিমানবন্দর সিকিউরিটি ও ইন্টেলিজেন্সের সদস্যরা আটক করে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে আড়াই কেজি কোকেন জব্দ
কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৪ মাস আগে
মাদকের উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্থায়ীভাবে মাদকের অবাধ ব্যবহার এবং মাদক নির্মূল করতে মাদকের সরবরাহ উৎসের মূলোৎপাটন করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দেশের সব সচেতন নাগরিককে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশ করে৷ তাহলে কেন আমরা মাদকের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করতে পারছি না?’
বুধবার (১০ জুলাই) সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মাদকাসক্তি- অপরাধ নাকি মানসিক রোগ এবং এর প্রতিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন৷
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
তিনি বলেন, ‘মাদকের প্রবেশ পথগুলো চিহ্নিত করতে হবে৷ একইসঙ্গে মাদক ব্যবসা বা মাদক সরবরাহের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদক নির্মূলে সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’
মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের মাদকের ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোচনার পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিসে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। মাদকবিরোধী কার্যক্রম এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে মাদকের শারীরিক ও মানসিক প্রভাব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’
ঢাকাসহ অন্য শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার মাঠ সংকটও উঠতি বয়সি ছেলেদের মাদকাসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের শহরগুলোতে পর্যাপ্ত বিনোদনের অভাব এবং খেলাধূলার জন্য মাঠের সংকট রয়েছে৷ যার ফলে উঠতি বয়সিরা অবসর সময়গুলো কাটানোর জন্য মাদক ব্যবহারে আকৃষ্ট হয়। একটি নগর পরিকল্পনায় যেমন ২৫ শতাংশ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনি ড্রেনেজ, খেলাধুলা ও বিনোদন ব্যবস্থার জন্য ১৫ শতাংশ থাকতে হবে৷’
এথেনা লিমিটেডের আয়োজনে ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, চিকিৎসক অরূপ রতন চৌধুরী, মেহের আফরোজ শাওনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
৪ মাস আগে
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের আবারো গুম করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী: বিএনপি
চলমান এক দফা আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আবারও বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুম করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সরকার বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে তাদের ওপর দোষ চাপানোর পরিকল্পনা করছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রফিক ও সাইফুল ইসলামকে ডিবি পুলিশ তুলে নেয়ার পর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নেতা-কর্মীদের গুম করা নতুন করে শুরু হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটারদের অংশগ্রহণ ছাড়া আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। ‘তাই জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য তারা (সরকার) গুমের নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জনাকীর্ণ কারাগারে মানবিক সংকটে বিএনপির নেতা-কর্মীরা
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবার তরুণদের গুম করার জন্য টার্গেট করছে, যেহেতু তরুণরা অগ্রগামী হিসেবে রাজপথে আন্দোলন করছে।
অবিলম্বে এফ মাহমুদুল ও সাইফুল ইসলামকে তাদের পরিবারের কাছে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। আমাদের অবরোধ কর্মসূচি জনগণের দাবির ওপর ভিত্তি করে। এটা শুধু বিএনপির কর্মসূচি নয়। যারা দেশের মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবার কর্মসূচি এটি।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় ১১২ মামলায় ১০ দিনে গ্রেপ্তার ১৬৩৬ জন : ডিএমপি
বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা-কর্মীদের অতীতের মতো সব বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি।
রিজভী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক অবরোধ করুন, মহাসড়ক অবরোধ করুন এবং শান্তিপূর্ণ থাকুন। কিন্তু তারা (সরকার) আমাদের বিরুদ্ধে নাশকতার বিভিন্ন মহাপরিকল্পনা করছে। আমরা রাজপথে থাকব এবং সরকারের অশুভ চক্রান্ত প্রতিহত করবো।
চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে দেশের লাখ লাখ মানুষ বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
রিজভী বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপির ৪৯৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
১ বছর আগে
১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত: জিএমপি কমিশনার
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০-২২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আমি আশা করি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সকলের প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন ও প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে এবং ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে সজাগ থাকবে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
১ বছর আগে
ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ: ৫ স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ঢাকায় দু’টি ওয়ানডে ম্যাচ শেষে চট্টগ্রামে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) একটি ওয়ানডে এবং বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) একটি টেস্ট অনু্ষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেলা চলাকালীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় থাকবে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। মোতায়েন থাকবে এক হাজার ৫০০ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
মহড়ায় দেখা গেল সাগরিকায় জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মাঠে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। ধোঁয়ায় অন্ধকার চারদিক। সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় খেলোয়াড়রা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে মাঠে শুয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে র্যাব
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে ডেইরি বাংলা ফুডের ২ লাখ টাকা জরিমানা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা পৌর শহরের দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ডেইরি বাংলা ফুডস লিমিটেডে দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা পনির রাখার দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহজাদপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় প্রায় দেড় হাজার কেজি দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা পনির জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডেইরি বাংলা ফুডস লি. দীর্ঘদিন ধরে দুর্গন্ধযুক্ত পঁচা পনির ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করে আসছে।
শাহজাদপুর পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন।
৩ বছর আগে
দেশে নতুন লকডাউন: দুর্দান্ত কোনো ফলাফলের বিষয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা
কোভিড-১৯ এর ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে বুধবার থেকে নতুন একটি লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অভাবে এই লকডাউনে কোনো দুর্দান্ত ফল লাভের সম্ভাবনা নেই।
তারা বলছেন, লকডাউনের সময় নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করে জনগণকে জোরপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বাড়ির অভ্যন্তরে থাকতে বাধ্য করে 'কারফিউ জাতীয়' পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের সময় কল-কারখানাগুলো খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছেন। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন এতে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত থাকবে।
তারা বলছেন, লকডাউন কার্যকর করার আগে সরকারের উচিত হতদরিদ্র, দিনমজুর ও বস্তিবাসীদের জীবন চালাতে খাদ্যের ব্যবস্থার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
৫ এপ্রিল থেকে প্রায় সবকিছু খোলা রেখে এক সপ্তাহের জন্য দেশব্যাপী লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল। আর এই লকডাউনের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান নয়। কারণ দেশে এই সময়ে ৪৭ হাজার ৫১৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয় এবং ৫০৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাণহানির সাপ্তাহিক বৃদ্ধি সর্বোচ্চ দেখা গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে সকল অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ করে সাত দিনের কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য সরকার সোমবার নতুন কতগুলো নির্দেশনা জারি করে। তবে, লকডাউনের সময় কারখানাগুলো খোলা থাকবে।
লকডাউনের প্রস্তুতি
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. বে-নাজির আহমেদ বলেন, লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'বড় সমস্যা হলো সরকার কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই আবারও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চলেছে। আপনি ১৭ কোটি লোককে সাত দিনের জন্য বাড়ির ভিতরে রাখতে চাইলে অনেক প্রস্তুতি নেয়াও জরুরি। এর সফল বাস্তবায়নের জন্য এমন পদক্ষেপে বিপুল সংখ্যক লোককে ব্যস্ত থাকার কথা।'
এই বিশেষজ্ঞ জানান, প্রতিটি এলাকায় অস্থায়ী দোকান তৈরি করা উচিত ছিল যাতে মানুষ রমজান মাসে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সেখান থেকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে সংগ্রহ করতে পারে।
তিনি বলেন, প্রণোদনার মাধ্যমে স্বল্প আয়ের লোকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং বাড়িতে থাকতে উৎসাহিত করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ৮টি বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলবে: রেলপথ মন্ত্রী
'একজন বস্তির বাসিন্দা প্রতিদিন রোজগার না করে বাঁচতে পারে না। আমাদের প্রয়োজন হতদরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করা এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা যেন তাদের লকডাউনে জীবিকার জন্য বাইরে যেতে না হয়।'
৩ বছর আগে