রফিকুল মাদানী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুল মাদানী রিমান্ডে
রাজধানীর মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আবু সুফিয়ান মো. নোমান শুনানি শেষে (ভার্চুয়ালি) এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জন গ্রেপ্তার
সূত্র জানায়, মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা কাজি নাসিরুল ইসলাম (পরিদর্শক) মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ভার্চুয়াল আদালতে হাজির করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২১ এপ্রিল মতিঝিল থানার আরেক মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
গত ৭ এপ্রিল রফিকুল ইসলামকে নেত্রকোনা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় আরও গ্রেপ্তার ১১
এর আগে মাওলানা রফিকুল ইসলাম সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমাকে গুম করার চেষ্টা চলছে।’
গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় রয়েল রিসোর্ট মাওলানা মামুনুল হকসহ এক নারীকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুক লাইভে এসে মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী মামুনুল হকের সমর্থনে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হেফাজতের তাণ্ডব: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনসহ গ্রেপ্তার ৩১০
গত ২৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের মোদিবিরোধী মিছিল থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছিল। পরে আবার ছেড়ে দেয়া হয়।
ওই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের একটি মিছিল রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় শুরু হয়। এতে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলটি মতিঝিলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় রফিকুল ইসলামকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল।
৩ বছর আগে