ফেনসিডিল বিক্রি
চট্টগ্রামে ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য আটক
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ফেনসিডিল বিক্রি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন সাজ্জাদ হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল। এ সময় তার কাছ থেকে ৭৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা্ হয়।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলার ভূজপুর থানার চিকনছড়া এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা ওই কনস্টেবলকে ফেনসিডিল জব্দসহ আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তাকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার: র্যাব
আটক সাজ্জাদ হোসেন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে। তার বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রামের বনরুপা আবাসিক এলাকায়।
ভূজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজ্জাদ হোসেন নামের এক যুবককে স্থানীয়রা ৭৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দসহ আটক করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করে।
তিনি জানান, পরে খবর পেয়ে আমাদের ডিউটি টিম সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রামগড় থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, সাজ্জাদ মঙ্গলবার রাতে ডিউটির পর থেকে থানায় উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
ফেনসিডিল বিক্রি: বগুড়ায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহারের পর তদন্ত কমিটি গঠন
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধারকৃত ৮৮ বোতল ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কমিটির প্রধান বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) আলী হায়দার চৌধুরী। দুই সদস্য হলেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ও শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
ফেনসিডিল বিক্রির ঘটনায় বুধবার শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে প্রত্যাহার করে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে এবং মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহীন উজ্জামান ও উপপরিদর্শক সুজাউদ্দৌলাকে তাদের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, তদন্ত কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের বাগবিতণ্ডা: হাইকোর্টের নজরে আনলেন এক আইনজীবী
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল রাতে শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। তল্লাশিকালে ঢাকাগামী বাস খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহনের একটি বাস থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পিংকি পরিবহন থেকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হলেও সেখানে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেয়া হয়। বাকি ৮৮ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন। এ খবর ফাঁস হলে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে স্থানান্তরের আদেশ দেন এবং গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার সাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরও পড়ুন: হেফাজত কর্মীদের হামলায় বাগেরহাটে ওসিসহ ৫ পুলিশ আহত
৩ বছর আগে