আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)
আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ২৫ কোটি ডলারের চুক্তি
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার বৃহস্পতিবার আরও বেশি ও উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যতের সঙ্কটে সহনশীলতা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে ২৫ কোটি ডলার অর্থায়নের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
চুক্তিতে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে যথাক্রমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন স্বাক্ষর করেছেন।
আরও পড়ুন: টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
তৃতীয় প্রোগ্রাম্যাটিক জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি- তিন ক্রেডিটের একটি সিরিজের শেষটি - কোভিড-১৯ সংকটের বিষয়ে সরকারের তৎপরতা সমর্থন করার সাথে সাথে মানসম্পন্ন এবং সর্বব্যাপী চাকরি সৃষ্টির মূল সংস্কারকে কেন্দ্র করে প্রণীত হয়েছে।
এটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের নীতিমালা সমর্থন করে; শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা উন্নত করবে; এবং যুবসমাজ, নারী এবং দুর্বল জনগণকে মানসম্পন্ন চাকরিপেতে সহায়তা করবে।
ক্রেডিটটি বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ), যা ছাড়সহ অর্থায়ন করে। এতে৩০ বছরের একটি মেয়াদ রয়েছেযার মধ্যে পাঁচ বছরের অনুদানকাল রয়েছে।
মার্সি টেম্বন বলেছেন, 'কোভিড-১৯ মহামারিটি দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর উপর অসতর্কিত প্রভাব ফেলেছে।'
তিনি বলেন, এই অর্থায়নটি মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের রক্ষা করতে এবং আরও উন্নত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারি নীতিমালাকে সমর্থন করে।কেননা বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ঝরে পড়া তরুণ ও বস্তির শিশুদের শিক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তা
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টির গতি ধীর হয়ে গেছে এবং কোভিড-১৯মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে।
চাকরি ও আয়হারানো গ্রামীণ ও শহর উভয় অঞ্চলে কয়েক লাখ জীবন-জীবিকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। বিশেষ করে, নারী ও যুবসমাজ কঠোর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।
জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট সিরিজটি সরকারকে পাঁচ লাখ চাকরির সুরক্ষায় সহায়তা করেছে এবং সংস্থাগুলোকে তাদের শ্রমিকদের মজুরি প্রদান অব্যাহত রাখতে সক্ষম করেছে।
এটি মহামারির কারণে বাংলাদেশে ফিরে আসতে হয়েছে এমন অভিবাসী কর্মীদেরও সমর্থন করেছে। এই কর্মসূচিটি ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা বাড়িয়ে অনানুষ্ঠানিক ক্ষুদ্র-উদ্যোক্তাদেরও পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেছেন, 'দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা এবং আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ব্যবসায়ের উপর কোভিড-১৯ মহামারির বিরূপ প্রভাব লাঘব করতে সরকার দ্রুত এবং সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।'
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাথে ১০ কোটি ডলারের অনুদান চুক্তি
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কর্মসূচিটি ইতোমধ্যে ব্যবসা শুরুর ব্যয় হ্রাস করেছে। এছাড়া,দক্ষতা উন্নয়ন খাতে আরও শ্রম-বাজার প্রাসঙ্গিক করা; কাজের উন্নত অবস্থার জন্য শ্রমবিধি জোরদার করাসহআরও নারীদের শ্রম বাহিনীতে যোগ দিতে সক্ষম করতে মানসম্পন্ন ডে কেয়ারের প্রচার করা শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট সিরিজের অধীনে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন মোট ৭৫ কোটি ডলার।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ১৪ বিলিয়ন ডলারের সর্বোচ্চ চলমান আইডিএ প্রোগ্রাম রয়েছে।
৩ বছর আগে