মাস্টার্স
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেলেন ৪৮ স্কলার
বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন খাতের ৪৮ জন স্কলার প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেয়েছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য তাদের ফেলোশিপ প্রদান করেন।
এর মধ্যে ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন।
সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নির্বাচিত ফেলোদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিদেশে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন।
পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব সামর্থ্যে বিশ্বের ১০০ সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মাস্টার্সের জন্য স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব সামর্থ্যে বিশ্বের ২০০ সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
ভর্তি নিশ্চিত হলেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিআইইউ'র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ।
অনুষ্ঠানে দুই ফেলো শিবলী ইসলাম ও আফিফা আঞ্জুমান এবং ইতোমধ্যে এই বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব এ এম আলমগীর কবির, তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
১ বছর আগে
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে হলে ফিরতে চায় খুবি শিক্ষার্থীরা
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হলে ফিরতে চায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সকল শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সসহ সব বর্ষের চলমান ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থী।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনের পর চলমান পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের দাবিতে ‘একাত্মতা’: খুবির এক শিক্ষক বরখাস্ত ও দুজন অপসারণ
করোনাকালীন সময়ে সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে গত বছরের গত জুলাই থেকে অনলাইনে ক্লাস নেয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহাদ বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। এছাড়া করোনার টিকা যেহেতু চল্লিশ বছরের নিচে কেউ নিতে পারবে না বলে নীতিমালা করেছে সরকার সেই ক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা ও করতে হবে।প্রয়োজনে সকল শিক্ষার্থীরা করোনা টিকা নিব। তাছাড়া করোনা সঙ্কটের পর দীর্ঘদিন পড়াশুনার যে শূন্যতা রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে চাই।
আরও পড়ুন: গলায় ফাঁস দিয়ে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
আরেক শিক্ষার্থী আশিক বলেন, আর মাত্র একটা পরীক্ষা হলে আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সেই পরীক্ষাও স্থগিত রেখেছে। এতে করে আমাদের পড়াশানার যে উৎসাহ বা যে ধারাবাহিকতা রয়েছে তা হারিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের মোট ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। যার মধ্যে ছাত্রদের তিনটি এবং ছাত্রীদের জন্য দুটি। এই আবাসিক হলে প্রায় ৫ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীরা আছে। তবে এই করোনা সঙ্কটের পর থেকে সব আবাসিক হলগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে এখন তারা বাহিরে মেসে থাকছে। এতে করে তাদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ও মাসিক অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের করোনা টিকা দিতে চায়, আমরা অবশ্যই নিব। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে চাই।
আরও পড়ুন: আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোসাম্মাদ হোসনে আরা বলেন, সরকারিভাবে এখনও আবাসিক হল খোলার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তাছাড়া যেহেতু শিক্ষার্থীদের বয়সের একটি সীমা রেখা রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত একটি ব্যবস্থা নিবে। যেন শিক্ষার্থীরা দ্রুত আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারে।
৩ বছর আগে