থানায় হামলা
থানায় হামলার চেষ্টাকালে পুলিশের গুলি, চাঁদপুরে নিহত ১
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে থানায় হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে শাহাদাত (২০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এমরান হোসেন (৩৮) নামের আরও একজন।
নিহত শাহাদাতের বাড়ি রায়পুর এবং আহত এমরানের বাড়ি ফরিদগঞ্জের গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দিল জনতা
স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপজেলা সদরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন। সোমবার বিকালে একটি বিক্ষোভ মিছিল থানায় প্রবেশের চেষ্টাকালে গেট ভেঙে ফেললে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে শাহাদাত ও এমরান হোসেন নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হন। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহাদাতকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠালে পথেই তার মৃত্যু হয়। তবে এমরান চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল ইউএনবিকে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুরে রেফার করা হয়। অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য আমরা এখন থানার বাইরে। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’
আরও পড়ুন: জনরোষ থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ, প্রাণ গেল আ.লীগ নেতার
জয়পুরহাটে হুইপের বাসা থানাসহ মেয়রের অফিসে হামলায় নিহত ১, আহত ৪০
৪ মাস আগে
থানায় হামলা: হেফাজত নেতা আবুল হুসাইন রিমান্ডে
ফরিদপুরে ভাঙ্গা থানায় হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হেফাজত নেতা মো. আবুল হুসাইনের (৬৪) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
ভাঙ্গা থানার পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার বিকালে আবুল হুসাইনকে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।
রিমান্ডের শুনানি শেষে ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসাইন তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে আদালত থেকে সরাসরি ভাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আবুল হুসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: সালথায় সহিংসতা: উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রিমান্ডে
মো. আবুল হুসাইন ফরিদপুর জেলা হেফাজতে ইসলামের আহ্বায়ক কমিটির সহ-সভাপতি ও ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ির কলোনি জামে মসজিদে ইমাম।
গত ২৭ মার্চ দুপুর সোয়া ২টার দিকে ভাঙ্গা থানায় হেফাজতে ইসলামসহ সমমনা দলগুলোর কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে থানার প্রধান ফটকসহ থানার ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় আহত ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলার আসামি হিসেবে মো. আবুল হুসাইনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ মন্ডল জানান, ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ সফরের পর ভিআইপিরা যাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকায় ফিরতে না পারেন, সে জন্য ভাঙ্গা থানায় পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। মামলার তদন্তের সূত্র ধরে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় জেলা হেফাজতের নেতা মো. আবুল হুসাইনকে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রফিকুল মাদানী রিমান্ডে
এসআই জানান, আবুল হোসাইনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া বাকি ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে